বাবা, কাকা, তুতো ভাইয়েরা সকলেই নামকরা অভিনেতা। পরিবারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু ১৯ বছরের কেরিয়ারে ঝুলিতে একটিও একক হিট ছবি পুরতে পারেননি অভিনেতা। অথচ বর্তমানে ৪০০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক তিনি।
বলিপাড়ার জনপ্রিয় দেওল পরিবারের সদস্য অভয় সিংহ দেওল। ধর্মেন্দ্রের ভ্রাতুষ্পুত্র তিনি। বাবা অজিত দেওলও অভিনয়ের সঙ্গে যু্ক্ত ছিলেন। ববি দেওল এবং সানি দেওল তাঁর তুতো ভাই। কিন্তু পরিবারের সূত্রে নাকি অভিনয়ে নামেননি অভয়।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভয় জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকে নাটক করতেন তিনি। সেখান থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর।
১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্ম অভয়ের। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মুম্বইয়ের কলেজে ভর্তি হন তিনি।
কিন্তু অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেবেন বলে মাঝপথেই কলেজ ছাড়েন অভয়। নিউ ইয়র্কে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
২০০৫ সালে ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় ‘সোচা না থা’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন অভয়। তার পর ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘হানিমুন ট্রাভেল্স প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘এক চাল্লিশ কি লোকাল ট্রেন’, ‘মনোরমা সিক্স ফিট আন্ডার’, ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’, ‘দেব.ডি’র মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন অভয়।
অভয়ের কেরিয়ারে রয়েছে ‘আয়েশা’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘সাংহাই’, ‘চক্রব্যূহ’, ‘রাঞ্ঝনা’, ‘হ্যাপি ভাগ জায়েগি’র মতো ছবিও। প্রতিটি ছবিতে অভয়ের অভিনয় প্রশংসা পেলেও একক ছবি একটিও হিট হয়নি তাঁর।
‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ এবং ‘রাঞ্ঝনা’ ছবি দু’টি বক্স অফিসে হিট করলেও সেগুলি ছিল তারকাখচিত ছবি। ফলে অভয়ের কেরিয়ারে তা বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বড় পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি অভয়কে ছোট পর্দাতেও দেখা যেতে থাকে। ‘কানেক্টেড হম তুম’ এবং ‘গুমরাহ’ নামের দু’টি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অভয়।
২০২০ সাল থেকে ওটিটির পর্দাতেও দেখা যেতে শুরু করে অভয়কে। ‘জেএল ৫০’, ‘১৯৬২: দ্য ওয়ার ইন দ্য হিল্স’, ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’ নামের একাধিক ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেন অভয়।
২০১৯ সালে তামিল ছবি ‘হিরো’য় অভিনয়ের সুযোগ পান অভয়। ২০০৯ সালে নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা খোলেন তিনি। ‘ওয়ান বাই টু’ এবং ‘হোয়াট আর দ্য অড্স’ নামের দু’টি ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন অভয়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, অভয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। প্রযোজনা সংস্থার পাশাপাশি নিজের একটি রেস্তরাঁও খোলেন অভিনেতা। দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সেই রেস্তরাঁর শাখা রয়েছে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এক একটি ছবিতে অভিনয় করে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেন অভয়।
অভয়ের মাসিক উপার্জন প্রায় কোটি টাকা বলে বলিপাড়া সূত্রে খবর। প্রতি বছর ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেন তিনি।
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, খ্যাতনামী সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক আদায় করেন অভয়। তা ছাড়াও সমাজমাধ্যমে পোস্ট পিছুও আয় হয় অভিনেতার।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘বান টিক্কি’ নামের একটি হিন্দি ছবির শুটিং করছেন অভয়। এই ছবিতে শাবানা আজ়মি এবং জ়ীনত আমনের মতো বর্ষীয়ান তারকাদের অভিনয় দেখা যেতে পারে।