২০২২ সালে আইপিএল শুরুর আগেই বহু দিনের বান্ধবী এবং প্রেমিকা ঈশানীকে বিয়ে করেন ভারতীয় দলের স্পিনার রাহুল চাহার। ‘রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী’ ঈশানী শুধু রাহুলের ঘরনি হওয়ার কারণেই নয়, নানা কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন।
ঈশানী পেশায় ফ্যাশন ডিজ়াইনার। বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ঈশানী ভারতের ফ্যাশন ডিজ়াইন দুনিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। একক প্রচেষ্টায় পেশাগত দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঈশানী।
ঈশানীর জন্ম বেঙ্গালুরুতে হলেও তাঁর শিক্ষাজীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে রাজস্থানের জয়পুর এবং দিল্লিতে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়েছেন তিনি।
একাধিক সাক্ষাৎকারে ঈশানীর প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথা জানিয়েছেন রাহুল। বিয়ের আগেও একাধিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
রাহুলের ঘরনি বেড়াতে খুব ভালবাসেন। সমুদ্র খুব প্রিয় তাঁর। বহু বার সমুদ্রতটে রাহুলের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
২০১৯ সালে প্রথম নিজের জীবনে প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনেন রাহুল। জানান যে, দীর্ঘ দিনের বান্ধবী তথা প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।
২০১৯ সালে আংটিবদল হয় রাহুল এবং ঈশানীর। একটি জমকালো অনুষ্ঠানে সারা জীবন একে অপরের পাশে থাকার কথা জানান তাঁরা।
রাহুল এবং ঈশানীর বিয়েটাও প্রায় রূপকথার মতো। সে বছর আইপিএল শুরুর আগেই হঠাৎ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
তবে অন্য তারকা দম্পতিদের মতো দিল্লি, মুম্বই বা বিদেশের কোথাও নয়, গোয়ায় গিয়ে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে রাহুল জানান, সমুদ্র তাঁদের দু’জনেরই খুব পছন্দের। তাই গোয়ায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে যান রাহুল এবং ঈশানী।
প্রথমে জোরে বোলার হিসাবে খেলা শুরু করলেও পরে স্পিন বোলার হিসাবেই সাফল্য পান রাহুল। ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজস্থানের হয়ে খেলে নির্বাচকদের নজরে আসেন তিনি। এই রাজস্থানেই ঈশানীর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় তাঁর।
২০১৮ সালে বিজয় হজারে ট্রফিতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকাতেও ছিল রাহুলের নাম। ২০১৭ সালের আইপিএলে রাইজ়িং পুণে সুপারজায়ান্ট টিমের হয়ে খেলেন রাহুল।
পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কিছু দিন খেলার পর ২০২২ সালে পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলতে দেখা যায় রাহুলকে। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান তিনি।
২০২১ সালের জুন মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে জাতীয় দলে অভিষেক হয় রাহুলের। রাহুলের দাদা দীপক চাহারও ভারতীয় দলের সদস্য।
রাহুলের বোন মালতী চাহার বলিউড অভিনেত্রী। দাদা দীপককে দেখেই ৮ বছর বয়স থেকে কাকা লোকেন্দ্র সিংহ চহারের কাছে ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন রাহুল।
তবে খেলার দুনিয়ার বাইরেও নতুন ঘরনি এবং গোয়ায় জমকালো বিয়ের কারণেও সংবাদ শিরোনামে এসেছেন রাহুল।