অম্বানী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। পোশাকের মাধ্যমেই সকলের নজর কাড়েন। সমাজমাধ্যমে অনুগামীর সংখ্যাও দেড় লক্ষের বেশি। তরুণীর পরিচয় কী?
প্রথম সারির শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে, অথবা অম্বানী পরিবারের সদস্যেরা কোনও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে গেলে তাঁদের পোশাক দেখে তাক লেগে যায়। কানাঘুষো শোনা যায়, স্ত্রী নীতা অম্বানী থেকে শুরু করে কন্যা ইশা অম্বানী এবং পুত্রবধূ শ্লোকা অম্বানীর পোশাক যিনি তৈরি করেন, তিনি দিয়া মেহতা জাটিয়া।
সম্পর্কে শ্লোকার বোন হন দিয়া। অন্য দিকে মুকেশ-কন্যা ইশার প্রিয় বান্ধবীও তিনি।
২০১৯ সালে মুকেশের পুত্র আকাশ অম্বানীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁর দীর্ঘকালীন প্রেমিকা শ্লোকা মেহতা। তার পর থেকেই অম্বানীদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক মেহতা পরিবারের।
ইশার সঙ্গে স্কুলজীবন থেকে বন্ধুত্ব থাকলেও দিদি শ্লোকার হাত ধরে অম্বানী পরিবারের আরও কাছাকাছি আসেন দিয়া। দিয়ার বাবা পেশায় হিরের ব্যবসায়ী।
দিয়ার মা গয়নার নকশা করেন। দিয়ার ভাইও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পরিবারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ জন্মায় দিয়ার।
মুম্বইয়ের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর ফ্যাশন ডিজ়াইনিং নিয়ে কলেজে ভর্তি হন দিয়া। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর পোশাকশিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অম্বানী এবং মেহতা পরিবারের মধ্যে দিয়ারই একমাত্র সমাজমাধ্যমে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নিজের তৈরি পোশাকের বিজ্ঞাপন দিতে সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের সাহায্য নেন তিনি।
নীতা, ইশা এবং শ্লোকাদের অধিকাংশ সময় দিয়ার তৈরি পোশাক পরে নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এমনকি সমাজমাধ্যমেও নিজের পোশাকের ছবি দেন দিয়া।
দিয়ার সমাজমাধ্যমে অনুগামীদের ভিড় উপচে পড়ে। ইতিমধ্যেই দিয়ার ইনস্টাগ্রামের পাতায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যা দেড় লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর অমিত জাটিয়ার সঙ্গে আংটিবদল সারেন দিয়া। পেশায় ব্যবসায়ী অমিত।
২০১৭ সালে বাহরাইনের মানামায় সাত পাকে বাঁধা পড়েন দিয়া এবং অমিত। ভারত ছাড়া আমেরিকা, ইউরোপ এবং বেলজিয়াম থেকে তাঁদের বিয়েতে সাড়ে সাতশোর বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
বিয়ের পর অমিতের সঙ্গে লন্ডন চলে যান দিয়া। সেখানে গিয়ে পারিবারিক ব্যবসার দিকে নজর দেন তিনি। স্বামী, পুত্র এবং কেরিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি।
লন্ডনে পাকাপাকি ভাবে থাকলেও কাজের প্রয়োজনে অধিকাংশ সময় মুম্বই যেতে হয় দিয়াকে। লন্ডন এবং মুম্বইয়ে কোনও পার্টিতে গেলে নিজের বানানো পোশাকই পরেন দিয়া। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলে তাঁর সৃষ্টির জন্য পোশাকপ্রেমীদের কাছে প্রশংসা কুড়োন তিনি।