‘রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী’ বিশেষণটি মনে হয় তাঁর সঙ্গে যেতে পারে। কথা হচ্ছে শিল্পপতি অনিল অম্বানীর জ্যেষ্ঠপুত্রের স্ত্রী কৃশা শাহকে নিয়ে।
২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে একটি তারকাখচিত অনুষ্ঠানে কৃশার সঙ্গে বিয়ে হয় অনিল অম্বানী এবং টিনা অম্বানীর জ্যেষ্ঠপুত্র জয় আনমোল অম্বানীর। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিল্পজগৎ এবং বলিউডের রথীমহারথীরা।
বিয়ের আগে অবশ্য ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই আংটি বদল করেন দু’জনে। সেই অনুষ্ঠানেও বহু বিশিষ্ট মানুষজন হাজির ছিলেন।
দেশের অন্যতম নামজাদা শিল্পপতির পুত্রবধূ— শুধু এই পরিচয়েই সীমাবদ্ধ নন কৃশা। কৃশার বাবাও শিল্পপতি ছিলেন।
কৃশার পিতা নিকুঞ্জ শাহ ‘নিকুঞ্জ এন্টারপ্রাইজ় লিমিটেড’ নামক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন। ২০২১ সালে অকালে প্রয়াত হন এই শিল্পপতি।
কৃশার মা নীলম শাহ পেশাগত পরিচয়ে এক জন পোশাক পরিকল্পক বা ফ্যাশন ডিজ়াইনার। ফ্যাশন ডিজাইনের দুনিয়ায় নীলম এক পরিচিত নাম।
কৃশার এক দিদিও রয়েছেন। তাঁর নাম নৃতি শাহ। কৃশার দাদা মিশল শাহ-ই এখন পারিবারিক ব্যবসা দেখভাল করেন। কৃশার বিয়ের আগেই বিয়ে হয় দিদি নৃতির।
কৃশা নিজে কৃতী ছাত্রী, সফল পেশাদার। সমাজকর্মী হিসাবেও নামডাক রয়েছে তাঁর।
মেধাবী ছাত্রী হিসাবে বিশ্বের অন্যতম নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে ‘সামাজিক প্রকল্প এবং উন্নয়ন’ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন কৃশা।
উচ্চশিক্ষার জন্য অনিল অম্বানীর পুত্রবধূ যান আর এক খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি অর্জন করেন কৃশা। গবেষণা চালানোর পাশাপাশি কর্মজীবনেও প্রবেশ করেন তিনি।
আমেরিকায় একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদে কাজ শুরু করেন কৃশা। ২০১৬ সালে অবশ্য আমেরিকার পাট চুকিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
দেশে ফিরে একাধিক সেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন কৃশা। পারিবারিক ব্যবসাতেও অংশ নেন তিনি।
তবে পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তুলতে ডিসকো নামের একটি পেশাদার সংস্থা গড়ে তোলেন কৃশা। এখনও বহু মানুষ তাঁর এই সংস্থায় কাজ করেন।
কৃশার সম্পত্তির পরিমাণও প্রায় চোখ কপালে তোলার মতোই। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে শুধু তাঁর নামেই রয়েছে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। শিল্পপতির পরিবারের যে তিনি এক যোগ্য সদস্য, নিজের কাজের মাধ্যমেই তাঁর প্রমাণ দিয়েছেন কৃশা।