ম্যাডালিনা ইয়োনা ফিলিপ। ইটালির বাসিন্দা। ২০২২ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ১৪০ হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা) টাকার মালকিন ছিলেন তিনি। তার পরেও আরও বেড়েছে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ।
কিন্তু টাকা সঞ্চয় করতে দেশ বদলি করতে হল ম্যাডালিনাকে। ইটালি ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে গিয়েছেন তিনি। তবে, অন্য দেশে গিয়ে তাঁর অনুরাগীদের জন্য এনেছেন বিশেষ খবর।
‘পর্ন’ ছবি মুক্তি পেতে চলেছে ম্যাডালিনার— নিজের টেলিগ্রাম থেকে এক যুগলের নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করে এই খবর জানিয়েছেন তিনি।
‘অনলিফ্যান্স’ ওয়েবসাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট বানিয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন ম্যাডালিনা। খোলামেলা পোশাক পরে নিজের ছবি বা ভিডিয়ো শুধুমাত্র ‘অনলিফ্যান্স’-এই পোস্ট করেন না। তা ভাগ করে নেন নিজের অন্যান্য সমাজমাধ্যমেও।
সমাজমাধ্যমে ম্যাডালিনা নিজের ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেই নিজের অনুরাগীমহল তৈরি করেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, ইটালিতে এই ধরনের কন্টেন্ট পোস্ট করার জন্য প্রচুর কর দিতে হত তাঁকে।
ইটালিতে থাকাকালীন কন্টেন্ট তৈরির জন্য ম্যাডালিনাকে প্রায় ২৮ শতাংশের কাছাকাছি কর ধার্য করা হত। এই পরিমাণ কর দেওয়া তাঁর পক্ষে ক্রমশ অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।
তাই ইটালি ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে আসেন ম্যাডালিনা। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমাকে ২৭.৯ শতাংশ কর দিতে হত। কিন্তু এখন আমি খুব সহজেই এমন কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারব। ০.৭৭ শতাংশ কর দিতে হবে এখন আমাকে।’’
এই ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে ম্যাডালিনাকে সাহস জুগিয়েছিল তাঁর বোন। ম্যাডালিনার বোন নাকি তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, খোলামেলা পোশাক পরে সমাজমাধ্যমে ছবি দিলে বাড়তে থাকে ফলোয়ার সংখ্যা।
ম্যাডালিনা কন্টেন্ট তৈরি করার সময় তাঁর প্রথম অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমার ইনস্টাগ্রামে মাত্র ৮০ জন ফলোয়ার ছিল। বোন বলল, তখনই একটা ভিডিয়ো করে টিকটকে পোস্ট করতে। আমিও তাই করলাম।’’
বর্তমানে ম্যাডালিনার অনুরাগীর সংখ্যা দেখে বিস্মিত হতে হয়। ‘অনলিফ্যান্স’ ছাড়াও টিকটক, টেলিগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যা লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
ইনস্টাগ্রামে এখনও পর্যন্ত ম্যাডালিনার অনুরাগীর সংখ্যা ১২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। ইনস্টাগ্রামেও বেশ সক্রিয় তিনি। কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি বই পড়তে এবং ঘুরতেও ভালবাসেন তিনি।
প্রথম বার কোনও পূর্ণদৈর্ঘ্যের ‘পর্ন’ ছবিতে অভিনয় করতে পেরে আনন্দের জোয়ারে ভেসে গিয়েছেন ম্যাডালিনা। তবে, এই সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
ম্যাডালিনার অনুরাগীরা তাঁকে সব সময় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বলে জানান তিনি। ম্যাডালিনা বলেন, ‘‘আমার অনুরাগীরা কখনও আমাকে বলেছেন অন্তর্বাস পরে সামনে আসতে, কখনও বলেছেন স্যুইমস্যুট পরে ধরা দিতে। আমি তাঁদের কথা শুনে কাজ করেছি মাত্র।’’
‘অনলিফ্যান্স’-এর কথাও ম্যাডালিনাকে তাঁর অনুরাগীরাই জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। প্রথমে শুধুমাত্র টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামেই ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করতেন তিনি।
ম্যাডালিনার পাশাপাশি তাঁর পর্নজগতে আসার সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরাও। টেলিগ্রামে এই খবর জানানোর পর তাঁর পোস্টে অনুরাগীরা ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। সকলেই তাঁর ‘বিশেষ’ ছবি মুক্তির অপেক্ষায়।