Weightlift

Sanjita Chanu: তিনিও চানু, তিনিও ভারোত্তোলক, ‘টাইপিং এররে’ যাঁর মীরাবাই হওয়া হয়নি

মীরাবাইয়ের সঞ্জিতাও সাই মণিপুর কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষণ নিতেন। বিভিন্ন স্তরে পদক জয়ী সঞ্জিতাও মীরাবাই হতে পারতেন। কিন্তু হওয়া হয়নি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২২ ০৮:৫৩
Share:
০১ ১৩

২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমে একের পর এক পদক এনেছে ভারত। বিশেষত, ভারোত্তোলন বিভাগে এসেছে একের পর এক সাফল্য। হাওড়ার অচিন্ত্য শিউলি থেকে মিজোরামের জেরেমি লালরিনুঙ্গা, মীরাবাই চানু থেকে গুরুরাজা পুজারি, সাফল্যের তালিকা নজরকাড়া। এই তালিকায় যুক্ত হতে পারতেন আরও এক চানু। কিন্তু হননি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

০২ ১৩

কমনওয়েলথে ভারোত্তলনে তিনটি সোনা-সহ মোট ১০টি পদক পেয়েছে ভারত। বাকি প্রতিযোগীদের কোনও লড়াইয়েই রাখেননি মণিপুরের চানু। তিনি স্ন্যাচিং ও ক্লিন এবং জার্ক বিভাগ মিলিয়ে ২০১ কেজি তোলেন। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা মরিশাসের মেরি রানাইভোসোয়া তোলেন ১৭২ কিলো।

ফাইল চিত্র।

Advertisement
০৩ ১৩

টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো জয়ের পরই অবশ্য মীরাবাই চানু ভারতীয় ভারোত্তোলন-ক্রীড়ার ‘পোস্টার গার্ল’ হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আগে ছিল আরও এক সম্ভাবনাময় চানু। চেনেন তাঁকে?

ফাইল চিত্র।

০৪ ১৩

তাঁর পদবিও চানু। তিনিও মণিপুরের বাসিন্দা। তিনিও অ্যাথলিট। মীরাবাইয়ের মতো তিনিও ভারোত্তলন খেলোয়াড়। নাম— সঞ্জিতা চানু।

ফাইল চিত্র।

০৫ ১৩

শুধু এখানেই সাজুয্যের শেষ নয়। মীরাবাইয়ের সঞ্জিতাও সাই মণিপুর কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষণ নিতেন। বিভিন্ন স্তরে পদক জয়ী সঞ্জিতাও মীরাবাই হতে পারতেন। কিন্তু হওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ক্রীড়াবিদ সঞ্জিতা। এমনকি, ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় কমনওয়েলথ গেমে সোনাও জিতেছিলেন। সে বার মীরাবাইও পদক পান— রুপো।

ফাইল চিত্র।

০৬ ১৩

সঞ্জিতা চানুর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখে সবাই ভাবতেন, অলিম্পিক্স ভারোত্তোলনে পদক জয়ের ক্ষেত্রে তিনিই হবেন বাজি। তাঁর সুঠাম হাতের জোরেই ভারোত্তোলনে দুই দশকেরও বেশি খরার অবসান ঘটবে।

ফাইল চিত্র।

০৭ ১৩

কিন্তু সঞ্জিতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সমস্ত প্রস্তুতি, আশা-ভরসা শেষ হয়ে যায় একটি মিথ্যা ডোপিং মামলায়। সঞ্জিতাকে নির্বাসিত করা হয়। প্রায় শেষ হয়ে যায় তাঁর কেরিয়ার। তাঁর শরীরে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশন নিষিদ্ধ অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের নমুনা মেলে বলে চানুকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির সুপারিশ অনুসারে ডোপিং মামলায় ক্লিন চিট পান চানু। সংস্থা একে ‘প্রশাসনিক ভুল’ কিংবা তাদের ‘লেখার ভুল’ বলে উল্লেখ করে!

ফাইল চিত্র।

০৮ ১৩

কিন্তু সঞ্জিতার এতে আর কোনও লাভ হয়নি। তত দিনে তাঁর পেশাদার জীবনের দু’টি মূল্যবান বছর শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বিনা অপরাধে এই শাস্তি সঞ্জিতাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দেয়। যে খেলা নিয়ে তাঁর এত স্বপ্ন, সেই খেলাই ছেড়ে দেন। এমনকি, আত্মহত্যার কথা ভাবেন।

ফাইল চিত্র।

০৯ ১৩

সে সব দিন আর ভুলতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, “আমি বুঝতেই পারছিলাম না, আমার সঙ্গে এটা কী ঘটছে! লোকেরা শুধু মিথ্যা আর গুজবকে বিশ্বাস করল। মানুষের ভালবাসা পেতে পেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সেটাই কেমম যেন অবজ্ঞায় বদলে গেল!”

ফাইল চিত্র।

১০ ১৩

সঞ্জিতার খেদ, “ওরা শুধু ‘টাইপিং এরর’ বলেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে ফেলল। আর অদ্ভুত ভাবে ভারতীয় ফেডারেশনও তখন নীরব হয়ে থাকল! এক জনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। কোনও অপরাধ না করে দুটো বছর নষ্ট হয়ে গেল।”

ফাইল চিত্র।

১১ ১৩

চানুর কথায়, “২০১৮ সালে আমাকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই পুরস্কার এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছল না। হঠাৎ ফেডারেশন আমাকে জিজ্ঞাসা করে পুরস্কার পেয়েছি কি না। ওদের কি জানা উচিত নয় আমি কবে পুরস্কার পাব?”

ফাইল চিত্র।

১২ ১৩

সঞ্জিতা চানু বলেন, “নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বছরের পর বছর পার হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা আজও শাস্তি পেলেন না।” চানু ভাল করে জানেন, তাঁর পুরনো সম্মান ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হল প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি হওয়া।

ফাইল চিত্র।

১৩ ১৩

এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে মেল করেছেন চানু। জানতে চান, ঠিক কার ডোপিং নমুনা তাঁর সঙ্গে মিশেছিল। তবে আর খেলার দুনিয়ায় ফিরতে চান না চানু। শুধু যাঁর বা যাঁদের কারণে তাঁর ক্রীড়াজীবনের এমন শোচনীয় পরিণতি, তাঁদের খুঁজে বার করতে চান।

ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement