দীর্ঘ দিনের বান্ধবীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে কম শোরগোল শুরু হয়নি। এ সবের মাঝেই লিয়োনার্দো ডিক্যাপ্রিয়োকে দেখা গেল জমিয়ে পার্টি করতে। সঙ্গে এক ইউক্রেনীয় মডেল। যা দেখে নতুন জল্পনার জন্ম হয়েছে— ওই মডেলই কি লিয়োনার্দোর নয়া বান্ধবী?
দক্ষিণ ফ্রান্সের সেন্ট ট্রপিজে একটি বিলাসবহুল ইয়টে হুল্লোড়ে পার্টিতে লিয়োর পাশেই দেখা গিয়েছে মারিয়া বেরেগোভাকে। এই ইউক্রেনীয় মডেলের সঙ্গে নাকি সময় কাটাচ্ছেন লিয়ো। তার আগেই চার বছরের বান্ধবী ক্যামিলা মোরোনের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তবে ক্যামিলা কি সত্যিই অতীত? প্রশ্নে প্রশ্নে ছয়লাপ নেটমাধ্যম।
মারিয়া যদিও লিয়োর সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্কের’ কথা নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে সেই কথা উড়িয়েও দেননি তিনি। ফলে দু’জনকে নিয়ে জল্পনার আগুন হু হু করে ছড়িয়েছে।
লিয়োর সঙ্গে মারিয়ার ‘সম্পর্ক’ নিয়ে আজকাল বেশ মাতামাতি চলছে। তার আগে অবশ্য লিয়ো এবং ক্যামিলার বয়সের ফারাক নিয়েও নেটমাধ্যমে তুফান উঠত।
২৫ বছরের ক্যামিলার সঙ্গে ২২ বছরের বয়সের ফারাক রয়েছে লিয়োর। তা নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি ৪৭ বছরের লিয়োকে। তবে এ বার কী হবে? যে মারিয়াকে জড়িয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তাঁর বয়স তো ২২!
লিয়ো কি তাঁর বয়ফ্রেন্ড? এ প্রশ্নে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন মারিয়া। কোনও ইঙ্গিত দেননি লিয়োও। সম্প্রতি ‘হিউসে, এড অ্যান্ড এরিন’ নামে সিডনির একটি জনপ্রিয় রেডিয়ো শোয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে মারিয়ার। সেখানে লিয়োর সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
লিয়োকে নিয়ে কোনও কথাই কি বলেননি মারিয়া? তা বলা ভুল হবে। ওই রেডিয়ো শোয়ে সাফ জানিয়েছেন, ‘টাইটানিক’ তাঁর প্রিয় সিনেমা। আর কে না জানে, ওই ছবির নায়ক ছিলেন লিয়ো।
লিয়োর বদলে বরং ‘টাইটানিক’ নিয়ে বেশ খোলামেলা মারিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই সিনেমাটা কে না দেখেছে? আর আপনি যদি এখনও দেখে না থাকেন, তবে আপনারও (সিনেমাটা) দেখা উচিত।’’
‘টাইটানিক’ নিয়ে খোলামেলা কখা বললেও নিজের জীবনে কী ঘটছে, তা জানাতে নারাজ মারিয়া। তাঁর সাফ কথা, ‘‘ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও আলোচনা করতে চাই না।’’
সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে অনীহা থাকলেও মারিয়া অবশ্য নিজের ছোটবেলার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, ইউক্রেনে জন্ম হলেও সুইৎজারল্যান্ডে বড় হয়েছেন। সেখানকার একটি আবাসিক স্কুলে থেকে পড়াশোনা করতেন।
মডেলিংকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার আগে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতেন বলে জানিয়েছেন মারিয়া। পরিবারের ওষুধের ব্যবসা সামলানোর কাজে সাহায্য করার জন্য আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন তিনি।
সুইৎজারল্যান্ডের যে অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মারিয়া স্নাতক হয়েছেন, সেখানে বহু খ্যাতনামীই পড়াশোনা করেছেন। লাক্সেমবার্গে রাজপরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার, কে নেই তাতে! ফি-বছরে যেখানকার টিউশন ফি-ই ছিল ৭০,০০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা।
লিয়োর সঙ্গে তাঁর ডেটিংয়ের জল্পনা শুরু হতেই ইনস্টাগ্রামে মারিয়ার ভক্তসংখ্যা বড়সড় লাফ দিয়েছে। যদিও তা দেখে মারিয়ার যেন তাপউত্তাপ নেই।
মারিয়া বলেছেন, ‘‘ইনস্টাগ্রাম এক ব্যাপার আর বাস্তব জীবন হল অন্য। ইনস্টাগ্রামে যা কিছুই হোক না কেন, তা হল (জীবনের) খুব ছোট একটা অংশ।’’
ইনস্টাগ্রাম তো এড়ালেন। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াবেন কী করে? সেখানকার বহু শিরোনাম আর ছবিতে তো শুধুই লিয়োকে জড়িয়ে মারিয়ার গল্প।
সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, সম্প্রতি মোনাকোর ব্যবসায়ী আহমেদ মাসুদ আবদেলহাফিদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই নিজের নাম থেকে স্বামীর পরিচয় ছেঁটে ফেলেছেন মারিয়া। তার পরেই ছুটেছেন দক্ষিণ ফ্রান্সে লিয়োর সঙ্গে ছুটি কাটাতে। সে সব ছবিই আজকাল ভেসে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যমে।