TMC Foundation Day

২৫ টপকে ২৬ তৃণমূলের, শুরুটা কিন্তু আরও অনেক আগে, মমতার উল্কার গতিতে উত্থান কী ভাবে?

২৫ বছর অনেকটা সময়। নানা ওঠাপড়া এসেছে। অনেকে তৃণমূল ছেড়েছেন। ফিরেও এসেছেন অনেকে। এক সময়ে ঘোর মমতা বিরোধীদেরও তৃণমূলের পতাকার তলায় এসেছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:২২
Share:
০১ ১৯

রজত জয়ন্তী পার করল তৃণমূল। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন দল। সেই হিসাবে ২৬ বছরে পা দিল বাংলার শাসক তৃণমূল।

নিজস্ব চিত্র।

০২ ১৯

দল হিসাবে জন্ম ১৯৯৮ সালে হলেও আসলে আলাদা দলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল আরও অনেকটা আগে। ক্রমেই জননেত্রী হয়ে ওঠা মমতা যে নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন তার ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছিল।

ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

Advertisement
০৩ ১৯

শুরুটা ১৯৯২ সাল। তখন মমতা যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী। একইসঙ্গে কেন্দ্রের নরসিংহ রাও সরকারের মন্ত্রী। সে বছর নভেম্বরে ব্রিগেডে তাঁর ডাকে বিপুল জনসমাবেশ হয়। সিপিএমের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন। মঞ্চ থেকেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে রাজ্যে আন্দোলন করার ঘোষণা করেন। ওই বছরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির লড়াইয়ে সোমেন মিত্রর কাছে ২৭ ভোটে হেরে যান মমতা।

নিজস্ব চিত্র।

০৪ ১৯

দলে তাঁর সঙ্গে বিবাদ ছিল সেই সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পরে মমতার দলেই যোগ দেন সোমেন। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের সাংসদও হন তিনি।

নিজস্ব চিত্র।

০৫ ১৯

১৯৯৭ সালের অগস্টে কংগ্রেসের প্লেনারি হয়েছিল কলকাতায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন সনিয়া গান্ধী। মমতা তত দিন আউটডোর কংগ্রেসের নেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন। সনিয়ার উপস্থিতিতেই নেতাজি ইন্ডোরের অনতিদূরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আলাদা সভা করেছিলেন তিনি। সে দিনই এ রাজ্যে কংগ্রেসের ভাঙন স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য দিকে সেই অগস্টেই তৃণমূলের বীজ রোপন হয়ে যায়।

ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

০৬ ১৯

এর পরে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন মমতা। কংগ্রেস ছেড়ে আসা বেশ কয়েক জন নেতা এবং অনেক কর্মীকে নিয়ে নতুন দল গঠনের বিষয়ে উদ্যোগী হন মমতা৷ সে দিন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা হলেন প্রয়াত অজিত পাঁজা, প্রয়াত পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়, সোনালী গুহ প্রমূখ। তবে ছিল না কাঁথির অধিকারী পরিবার।

নিজস্ব চিত্র।

০৭ ১৯

১৯৯৮ এর গোড়ায় প্রতিষ্ঠা হল দলের। নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের নাম আগেই নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছিল৷ নিজেই দলের প্রতীক এঁকেছিলেন মমতা৷ কংগ্রেসের তেরঙা পতাকার মাঝে জোড়া ঘাসফুল৷ প্রথমে দলের নাম রাখা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস। পরে নাম বদল করে রাখা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।

নিজস্ব চিত্র।

০৮ ১৯

মমতার মনে হয়েছিল, কমিশন যদি তাঁর পরিকল্পিত লোগোটিতে অনুমোদন দেয় তবে একই বৃন্তে দু’টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান, এক জন তাঁর নয়নমণি অন্যটি তাঁর প্রাণ— তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে। ঘোষণা করেছিলেন, নতুন দলের প্রাথমিক দর্শন হবে, ধর্মনিরপেক্ষতা।

নিজস্ব চিত্র।

০৯ ১৯

সেই প্রতীক ধরে রাখতে পরের নির্বাচনে কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পেতেই হত তৃণমূলকে। কিন্তু দেখা যায়, দল গঠনের পরে পরেই ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রয়োজনের অনেক বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আসন আসে সাতটি। সে বার জোট ছিল বিজেপির সঙ্গে।

নিজস্ব চিত্র।

১০ ১৯

উত্থানের শুরু প্রথম থেকেই। ১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোটে ফের বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল আটটি আসনে জয়ী হয়। কেন্দ্রের মন্ত্রী হন মমতা৷ কিন্তু তহেলকা ঘুষ কাণ্ডের অভিযোগ উঠতেই ২০০১ সালে মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি৷

নিজস্ব চিত্র।

১১ ১৯

তৃণমূলের প্রথম বড় সাফল্যের মুকুট ছিল ২০০০ সালে কলকাতার ছোট লালবাড়ি পুরসভা দখল। মেয়র হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব চিত্র।

১২ ১৯

২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধে তৃণমূল। সে বার রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন মমতা। স্লোগান তুলেছিলেন, ‘এ বার নয়, নেভার’। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হয়নি। জয় আসে ৬০টি আসনে।

নিজস্ব চিত্র।

১৩ ১৯

উত্থানের মধ্যে পতনও এসেছে। তবে তা সাময়িক। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফের বিজেপির সঙ্গে জোট। কিন্তু তৃণমূল জেতে শুধু একটি আসনে। দক্ষিণ কলকতা থেকে জেতেন মমতা। ২০০৫ সালে কলকাতা পুরসভাও হাতছাড়া হয়ে যায়।

নিজস্ব চিত্র।

১৪ ১৯

২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট। তৃণমূলের জয় মেলে ৩০টি আসনে। আবার ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। সে বার জয় মেলে ১৯টি আসনে।

নিজস্ব চিত্র।

১৫ ১৯

২০০৬ সাল থেকেই অন্য স্রোতে বইতে শুরু করে মমতার আন্দোলন। প্রথমে সিঙ্গুর এবং পরে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের আন্দোলন দলকে অনেকটা এগিয়ে দেয়। জননেত্রী হিসাবে মমতা আরও বেশি প্রতিষ্ঠা পান।

নিজস্ব চিত্র।

১৬ ১৯

এর পরে ২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্যের ক্ষমতা দখল। পরে অবশ্য জোট ভেঙে যায়। ২০১৬ এবং ২০২১ সালে একক ভাবে লড়েও টানা তিন দফার মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

নিজস্ব চিত্র।

১৭ ১৯

এই পর্বে কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশির ভাগ পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েতেও শাসক তৃণমূল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে নরেন্দ্র মোদী হাওয়াতেও বাংলায় সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি।

নিজস্ব চিত্র।

১৮ ১৯

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষয় হয়েছে তৃণমূলের। রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অনেকেই মনে করেছিলেন বিধানসভায় ক্ষমতার পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ফল বলে দেয়, মমতা ম্যাজিক অক্ষুণ্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে তৃণমূল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সহায়তা নেয়।

নিজস্ব চিত্র।

১৯ ১৯

২৫ বছর অনেকটা সময়। নানা ওঠাপড়া এসেছে। অনেকে তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আবার ফিরেও এসেছেন অনেকে। এক সময়ে ঘোর মমতা বিরোধীদেরও তৃণমূলের পতাকার তলায় আসতে দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement