ভারতে গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি দেশের অনলাইন গেমারদের সঙ্গে আলোচনা বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার গেমারদের সঙ্গে সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অনিমেষ আগরওয়াল, মিথিলেশ পতঙ্কর, তীর্থ মেহতা, নমন মাথুর-সহ অনেকেই। তবে আলাদা ভাবে নজরে এসেছেন পায়েল ধারে।
আলোচনার পর নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন পায়েল। মোদীর সঙ্গে দেখা করে তিনি অভিভূত বলেও জানান পায়েল।
গেমিংকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিলে তার ভবিষ্যৎ কী, গেমাররা তাঁদের কেরিয়ারে কী ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ভারতীয় পুরাণের উপর ভিত্তি করে তৈরি গেমগুলি ভারতের বাজারে কতটা প্রভাব ফেলছে, প্রধানমন্ত্রী সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন পায়েল।
মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার উমরানালা গ্রামে জন্ম পায়েলের। ছত্তীসগঢ়ের ভিলাইয়ের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই গেমিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল পায়েলের। ভাইবোনদের সঙ্গে ভিডিয়ো গেম খেলার পর থেকেই গেমিংয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়েন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসে গেমিং ক্রিয়েটর হিসাবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালে ‘ডায়নেমিক গেমিং ক্রিয়েটর’ হিসাবেও পুরস্কৃত হন পায়েল। এমনকি সেই বছর ‘ফিমেল স্ট্রিমার’-এর পুরস্কারও তাঁর কেরিয়ারে সাফল্যের পালক হিসাবে যুক্ত হয়।
গেমিংয়ের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসাও চালান পায়েল। ২০১৯ সালে গেমিংয়ের দুনিয়ায় পরিচিতি তৈরি করেন তিনি। তবে পরিবারের তরফে প্রথমে সমর্থন পাননি তিনি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে পায়েল বলেছিলেন, ‘‘আমি এমন জায়গা থেকে এসেছি যেখানে মেয়েরা ভিডিয়ো গেম খেলবে সেটাই লোকে মেনে নিতে পারতেন না। আমার মা-ও প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাবা সব সময় আমার পাশে ছিলেন।’’
ইউটিউব মাধ্যমে গেম স্ট্রিম করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন পায়েল। তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৩৭ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতি মাসে ইউটিউব মাধ্যম থেকে প্রায় তিন লক্ষ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন পায়েল।
অর্থাৎ, প্রতি বছর ৩৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ইউটিউব থেকে আয় করেন পায়েল।
ইউটিউবের গেমিং চ্যানেলের পাশাপাশি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো পোস্ট করার জন্য আলাদা একটি চ্যানেল রয়েছে পায়েলের।
ইউটিউবে পায়েলের যে দ্বিতীয় চ্যানেলটি রয়েছে সেখানেও সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা নজরে পড়ার মতো। ছ’লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে সেই চ্যানেলে।
ইউটিউবের পাশাপাশি অন্য সমাজমাধ্যমেও জনপ্রিয় পায়েল। ইনস্টাগ্রামের পাতায় পায়েলের অনুগামীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।