বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ে না! বলিপাড়ায় স্বজনপোষণ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরাবরই রাখঢাক না রেখে সরব হন তিনি। আর যত বারই তিনি গর্জে ওঠেন, তত বারই জন্ম নেয় এক একটা বিতর্ক। বি-টাউনের সেই ‘বিতর্কের রানি’ কঙ্গনা রানাউতের আরও একটি মন্তব্য হইচই ফেলে দিল।
সম্প্রতি পুরনো দিনের এক অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন কঙ্গনা। এক সংবাদপত্রের সম্পাদক তাঁকে ‘ডাইনি’ বলেছিলেন। এমন দাবি করেই অতীতের কাহিনি ভক্তকুলে জানালেন বলিপাড়ার ‘ক্যুইন’।
বলিউডে সাফল্য পেতে কালোজাদু করেছিলেন কঙ্গনা! এমন দাবিই নাকি করেছিলেন ওই সম্পাদক। আর তা নিয়েই মুখ খুলে আবার চর্চায় অভিনেত্রী।
ধর্মগুরু সদগুরুর একটি ভিডিয়ো তুলে ধরেন কঙ্গনা। ওই ভিডিয়োতে ধর্মগুরু বলেছেন যে, ২০০ বছর আগে ডাইনি সন্দেহে মহিলাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হত।
ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এই ভিডিয়ো তুলে ধরে কঙ্গনা লেখেন, ‘‘তোমার কাছে যদি সুপার পাওয়ার থাকে, তা হলে তোমায় ডাইনি বলা হবে...। আমাকেও ডাইনি বলা হয়েছিল।’’
এই কথার রেশ ধরে কঙ্গনা আরও লিখেছেন, ‘‘তবে আমায় পোড়াতে পারেননি ওঁরা...।’’ লেখার শেষে আগুনের ইমোজিও দেন অভিনেত্রী।
এর পরই অতীতের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেন কঙ্গনা। তিনি লিখেছেন, ‘‘২০১৬ সালে প্রথম সারির একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক লিখেছিলেন যে, তাঁর তদন্তকারী সাংবাদিকরা আমার কালোজাদুবিদ্যা সম্পর্কে নাকি প্রমাণ পেয়েছেন!’’
কঙ্গনার কথায়, ‘‘ওই সম্পাদক এ-ও লেখেন যে, আমি আমার ঋতুস্রাব লাড্ডুতে মিশিয়ে তা দীপাবলির উপহার হিসাবে সকলকে দিয়েছি।’’
এই কথা জেনে কঙ্গনা যে হেসে খুন হয়েছেন, সে কথাও তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে ধরা পড়েছে। নায়িকা লিখেছেন, ‘‘ওই দিনগুলি মজার ছিল।’’
প্রসঙ্গত, খাবারে ঋতুস্রাব মেশানোর অভিযোগ করেছিলেন কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা অধ্যয়ন সুমনও। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, পানীয়ে ঋতুস্রাব মিশিয়েছিলেন কঙ্গনা।
এর পাল্টা মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। এনডিটিভিকে সেই সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, এই ধরনের অভিযোগ তাঁকে হতাশ করে না। তাঁর কথায়, ‘‘লোকেরা যখন আমার নাম ও আমার ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলেন, তা আমায় আর হতাশ করে না।’’
কঙ্গনা মানেই বিতর্ক। তাঁর একাধিক মন্তব্য ঘিরে বার বার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিপাড়ায় স্বজনপোষণের অভিযোগ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন কঙ্গনা।
‘নেপোটিজম’ নিয়ে সরাসরি বলিউডের প্রথম সারির প্রযোজক ও পরিচালক কর্ণ জোহরের দিকে আঙুল তুলেছিলেন কঙ্গনা। তাঁর নিশানায় ছিল বলিপাড়ার আরও অনেকে।
রণবীর কপূর, আলিয়া ভট্টদের মতো তারকা-সন্তানদের নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে। তবে বিতর্কের পরও দমেননি কঙ্গনা।
সম্প্রতি নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কঙ্গনা। তাতে দেখা গিয়েছিল, কঙ্গনার পরনে শাড়ি। কঙ্গনা দাবি করেছেন, ওই শাড়িটি তিনি কলকাতা থেকে কিনেছেন। যার দাম মাত্র ৬০০ টাকা।
দশেরার দিন সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কঙ্গনাকে। সেখানে তিনি অস্ত্রপুজো করেন। যে ছবি ঘিরেও চর্চা শুরু হয়।
বলিউডে তথাকথিত নায়িকাদের থেকে অনেকটাই ছক ভেঙেছেন কঙ্গনা। শাহরুখ-সলমন-আমিরের নায়িকা না হয়েও বলিপাড়ায় নিজের ভিত শক্ত করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর একার জোরেই বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ করেছেন অনেক ছবি।
তাঁর আগামী ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ভক্তকুলে। এই ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা যাবে কঙ্গনাকে। এ ছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে ‘তেজস’ নামে একটি ফিল্ম।