জোড়া ভুরু, শ্যামলা রং, প্রথাগত সুন্দরীও নন— তবু একটা সময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন কাজল। ভক্তরা বলেন, তাঁর সরল হাসি আর সহজ অভিনয়ই নাকি ছিল তাঁর জনপ্রিয়তার কারণ।
‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া...’র লাজুক পঞ্জাবী তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন বলিউড ভক্তরা। সেই কাজলের নাকি এখন অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ে না। এমন দাবি অবশ্য করেছেন বলিউডের ছবি শিকারিরা।
ছবি শিকারিদের দৌলতে বলিউডের তাবড় তারকারা খবরে থাকেন। তাঁদের জন্যই কখনও খবরের কাগজের বিনোদনের পাতায়, কখনও টিভির পর্দায় দেখা যায় তাঁদের। শাহরুখ, হৃত্বিক, রণবীর, দীপিকা, আলিয়াদের মতো বড় তারকারাও এঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন।
সেই ছবি শিকারিদেরই অভিযোগ, কাজল ইদানিং প্রায়শই দুর্ব্যবহার করেন তাঁদের সঙ্গে। কথা তো বলেনই না। মাঝে মধ্যে ডাকলে সাড়াও দেন না।
বরাবর প্রচার চাওয়া বলিউডে এমন ধারা স্বাভাবিক নয়। তবে দু’একজন যে ব্যতিক্রম হন না তা নয়। বলিউডে অনেক প্রচারবিমুখ তারকাও আছেন। তবে তাঁরাও ক্যামেরার সামনে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ দেখান।
কিন্তু কাজল নাকি সেই সৌজন্যবোধটুকুরও ধার ধারেন না! ছবি শিকারিদের অভিযোগ, কাজলের মধ্যে এক অদ্ভুত বেপরোয়া ভাব আছে। কখনও সখনও তাঁর আচরণ দেখে মনে হয় কে কী বলল, তিনি তা পাত্তাই দেন না।
কাজলের আগে বলিউডে এই দুর্নাম ছিল জয়া বচ্চনের। সেই দুর্নাম এখনও রয়েছে। তবে ছবি শিকারিদের দাবি, কাজল এ ব্যাপারে জয়াকেও টেক্কা দেন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছবি শিকারিদের সঙ্গে নাকি এমনই দুর্ব্যবহার করেছেন কাজল। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে কাজলকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কাজল তাঁদের দিকে ফিরেও তাকাননি।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি গাড়ি থেকে নেমে নাকি গটগটিয়ে চলে যান। সাংবাদিকদের দেখে মুখে সামান্য হাসিও ফোটেনি তাঁর।
বলিউডের ছবি শিকারিদের দাবি, এমনটা যে কাজল প্রথম বার করলেন তা নয়। এর আগেও বহু বার তাঁকে একই ভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের।
অভিযোগ, একবার তাঁর ছবি তোলার জন্য না কি সাংবাদিকদের উপর রেগে গিয়ে তাদের ভর্ৎসনাও করেছিলেন কাজল। সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, কে তাঁর ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছে তাঁদের? ছবি শিকারিদের মতে, কাজলের হঠাৎই একটু বেশি অহংকারী হয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু কেন? কাজলের সমালোচকদের প্রশ্ন, কিসের জোরে এক সময়ের লাজুক অভিনেত্রী এমন ‘উদ্ধত’ হয়ে উঠলেন?
সমালোচকরা এমনও বলেছেন, কাজলের হাতে ভর্তি অভিনয়ের কাজ— এ কথা বলতে পারবে না কেউ। মূলত সংসার নিয়েই আছেন। তবে বলিউডের সব অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ থাকে অভিনেত্রীর।
তাঁর সমকালীন বহু অভিনেত্রী এখন বলিউডে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। হারিয়েও গিয়েছেন অনেকে। যাঁরা আছেন তাঁদের নাকি খবরে থাকতে রীতিমতো পরিশ্রম করতে হয় বলে দাবি ছবি শিকারিদের।
তাঁরা জানিয়েছেন, শাহরুখ, কর্ণ জোহরের মতো বলিউডের বড় মহলগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগই কাজলকে এখনও বলিউডে প্রাসঙ্গিক রেখেছে। কিন্তু সেই যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে এমন দুর্ব্যবহার করলে কি কাজল বলিউডে নিজের সম্মান শেষপর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারবেন?