Imperial Policy

আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের অঙ্গীকার কিউবা আর ইরানের! নেপথ্যে চিন?

কিউবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমেরিকার ‘আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদ নীতি’-র মোকাবিলার কথা ঘোষণা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে গত কয়েক দিন ধরেই আমেরিকার বিরোধিতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হাভানা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ০৮:৫৪
Share:
০১ ১৫

শত্রুর শত্রুই প্রকৃত মিত্র! এখন এই নীতি মেনেই চলছে ইরান। একে একে ঘোষিত ‘আমেরিকা-বিরোধী’ দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজে নেমেছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশ। আর তা করতেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ছুটে গিয়েছেন কিউবায়।

০২ ১৫

কিউবার প্রেসিডেন্ট সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমেরিকার ‘আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদ নীতি’-র মোকাবিলার কথা ঘোষণা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে গত কয়েক দিন ধরেই আমেরিকার বিরোধিতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের মতো দেশ আমেরিকার সমালোচনা করেছে। প্রকাশ্যেই এ বার সেই রেশ কি ছড়িয়ে পড়ল পশ্চিম এশিয়ায়? নেপথ্যে মদত কি চিনের!

Advertisement
০৩ ১৫

কিউবা এবং ইরান, দুই দেশই ঘোষিত আমেরিকা-বিরোধী। কিন্তু এর আগে যৌথ ভাবে তারা প্রকাশ্যে আমেরিকার নীতির সমালোচনা করেনি। বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-ক্যানেল বলেন, ‘‘সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং তার সঙ্গীদের বাধা, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, চাপ, হুঁশিয়ারির মোকাবিলা করতে হবে নায়কের মতোই।’’

০৪ ১৫

কিউবা এবং ইরান, দুই দেশের উপরেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। ‘সন্ত্রাস’-এ মদতকারী দেশের তালিকায়ও রেখেছে তাদের। এ বার আমেরিকার এ সব নিষেধাজ্ঞাকে হাত ধরাধরি করে পাল্টা মাত দিতে উদ্যত হল কিউবা আর ইরান।

০৫ ১৫

আবগারি, টেলিকমিউনিকেশন, ন্যায়বিচার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরের পাশে থাকার চুক্তি সই করেছে।

০৬ ১৫

বৃহস্পতিবার সকালে কিউবার উদ্যোগপতিদের একটি সম্মেলনে যোগ দেন রাইসি। সেখানে জানান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, জল ও তাপবিদ্যুৎ, খনির মতো বিষয়ে কমিউনিস্ট কিউবার সঙ্গে কাজ করবে তার দেশ।

০৭ ১৫

কিউবার পাশাপাশি নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলাতেও গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এই দেশগুলির উপরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। এই দেশগুলিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ‘সাধারণ শত্রু’ বলে উল্লেখ করেছেন।

০৮ ১৫

ভেনেজুয়েলা এবং নিকারাগুয়ার সঙ্গেও বেশ কিছু চুক্তি সই করেছে ইরান। প্রসঙ্গত, এই সব দেশই আবার রাশিয়ার জোটসঙ্গী, যারা এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এই দেশগুলির প্রকাশ্য আমেরিকার-বিরোধিতার নেপথ্যে রাশিয়ার উস্কানি রয়েছে? না কি চিনের সক্রিয়তা!

০৯ ১৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ‘বিদ্রোহ’-এর নেপথ্যে যেমন একটা অংশ চিনের মদতই দেখছে। গত মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদভবনে একটি বক্তৃতায় আমেরিকার দিকে আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ করেছেন, সে দেশ গণতন্ত্রকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে আমেরিকা। একাংশ মনে করছেন, বিরোধী বিএনপির সঙ্গে আমেরিকার যোগাযোগ ভাল ভাবে নেননি হাসিনা।

১০ ১৫

পাশাপাশি তাঁরা মনে করছেন, হাসিনার এই বক্তব্য তাঁর একার নয়। তাঁরা মনে করেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বক্তব্যও উঠে এসেছে তাঁর কথায়।

১১ ১৫

শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে আমেরিকার সমালোচনার অনেক আগে থেকেই সে দেশের কট্টরপন্থীরা আমেরিকার দিকে আঙুল তুলেছে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে তারা ইসলামের জয় বলেই ধরেছে।

১২ ১৫

১৯৭০ সাল থেকেই আমেরিকাকে সুনজরে দেখে না শ্রীলঙ্কা। তাদের গৃহযুদ্ধে আমেরিকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা, উদ্বাস্তু এবং মানবাধিকার নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি শ্রীলঙ্কাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি করেছে। অতীতে শ্রীলঙ্কায় আমেরিকার পণ্য বয়কটের দাবিও উঠেছে।

১৩ ১৫

পঞ্চাশের দশক থেকে আমেরিকাকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে নেপালেও। তাদের মাটি ব্যবহার করে তিব্বতে অশান্তি তৈরি করা এবং চিনের উপর নজরদারি নেপালবাসী ভাল ভাবে নেয়নি বলেই মত একটা অংশের।

১৪ ১৫

এই তিন দেশের ক্ষোভের আগুনে চিন ঘি ঢালছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। আর দক্ষিণ এশিয়ার আগুন এখন ক্রমেই ছড়াচ্ছে পশ্চিম এশিয়ায়। সেখানেও অনেকে চিনের ‘অদৃশ্য হাত’ দেখতে পাচ্ছেন।

১৫ ১৫

এ ক্ষেত্রে সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যখন দক্ষিণ এশিয়ার কিছু কিছু দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব, সে সময়ই ইরান দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আমেরিকা-বিরোধী দেশগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করছে বাইডেন প্রশাসনকে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement