আইপিএলের ‘মিনি’ নিলাম। কেরলের কোচিতে সেই নিলামের আসরেই তারকাদের বদলবদল হয়ে গেল প্রথম পর্যায়ের। তাতে কেউ দাম বাড়িয়ে অন্য দলে গেলেন। আবার কেউ মাঠে যতই ভেলকি দেখান, আইপিএলের মিনি নিলামে অবিক্রিতই রয়ে গেলেন।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, নিলাম শুরুর আগে কোন দলের হাতে কত টাকা ছিল। কত জন খেলোয়াড় নিতে পারবে কোন দল, দেখে নিন তা-ও।
ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। এই অলরাউন্ডারই এ বার ছিনিয়ে নিলেন সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হওয়ার তকমা। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় পঞ্জাব নিল কারেনকে। আইপিএলের নিলামের সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন স্যাম।
মুম্বই দল থেকে কিয়েরন পোলার্ড সরে গিয়েছেন। তার জায়গায় একজন ক্রিকেটারকে দরকার ছিল। ক্যামেরুন গ্রিনকে বিশাল অর্থে কিনে নিল রোহিতের দল। ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলেন গ্রিন।
ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসকে নিতেও কাড়াকাড়ি দলগুলোর মধ্যে। বিস্তর হাঁকাহাকির পর ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় চেন্নাই কিনে নিল স্টোকসকে। ধোনির দলে খেলবেন ইংরেজ অলরাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের দরও বাড়ছিল চড়চড়িয়ে। ১৬ কোটি দাম উঠল পুরানের। লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত লখনউতেই থেকে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা টি-২০ খেলোয়াড়।
মিনি নিলামে বিরাট দর ইংল্যান্ডের তরুণ তারকা হ্যারি ব্রুকের। হায়দরাবাদ ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় কিনে নিল তাঁকে। ব্রুককে নেওয়ার জন্য লড়াই চলে হায়দরাবাদ এবং রাজস্থানের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদই কিনে নেয় ব্রুককে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিক ক্লাসেনও ভালই দর পেলেন আইপিএলের মিনি নিলামে। ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় ক্লাসেনকে নিল হায়দরাবাদ।
তিনি টি-২০ বিশেষজ্ঞ। জেসন হোল্ডারকে পেতে চাইবে যে কোনও দলই। আইপিএলের মিনি নিলামে ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় রাজস্থান কিনল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডারকে।
৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দর পেলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। হায়দরাবাদ কিনে নিল তাঁকে।
বিশেষজ্ঞ টেস্ট ব্যাটার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অজিঙ্ক। আইপিএলের মিনি নিলামে চেন্নাই ৫০ লক্ষ টাকায় কিনে নিল তাঁকে।
জম্মু-কাশ্মীরের বিভ্রান্ত শর্মাকে কিনে নিল হায়দরাবাদ। তাঁর দাম ছিল ২০ লক্ষ টাকা। কলকাতা তাঁকে কেনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কিনল হায়দরাবাদ।
৯০ লক্ষ টাকায় উইকেটরক্ষক এন জগদীশনকে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
পেসার বৈভব অরোরাকে ৬০ লক্ষ টাকায় কিনে নিল কলকাতা।
৬ কোটি টাকায় শিবম মাভিকে তুলে নিল গুজরাত। এই পেসারকে নেওয়া জন্য লড়ছিল কলকাতাও।
বোলার মুকেশ কুমারের দর উঠল সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। বাংলার এই পেসারকে নিল দিল্লি।
১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে অলরাউন্ডার মায়াঙ্ক ডাগরকে কিনে নিল হায়দরাবাদ।
অবিক্রিত রাইলি রুসো। বাংলাদেশের জোরে বোলার তাসকিন আহমেদকেও কেউ নিল না।
১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় শাকিব আল হাসানকে কিনে নিল কলকাতা। এর আগেও কলকাতায় হয়ে খেলেছেন এই বাঙালি তারকা। আবার এক বার ইডেনে দেখা যাবে শাকিবের কেরামতি।
বাংলাদেশের ব্যাটার লিটন দাসকে তুলে নিল কলকাতা। ৫০ লক্ষ টাকায় তুলে নিল তারা। প্রথম দফায় অবিক্রিত ছিলেন তিনি। বিরতির পর কপাল খুলে গেল বাঙালি তারকার।
ব্যাটার মনদীপ সিংহকে ৫০ লক্ষ টাকায় পেয়ে গেল কলকাতা।
১ কোটিতে বিক্রি হলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট। তাঁকে নিল রাজস্থান।