ঘরের ভিতরে সব ধরনের গাছ রাখা যায় না। কম আলোয় বাঁচতে পারে যে গাছ, রাখতে হয় সেগুলিই।
ঘরের ভিতরের গাছ দিনের আলোয় কার্বন ডাই আক্সইডকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনে পরিণত করে। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও গাছ বেনজিন, ফর্মালডিহাইডের মতো দূষিত পদার্থকেও বাতাস থেকে টেনে নেয়।
যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, এই ধরনের বাতাস পরিশুদ্ধকারী গাছ তাঁদের নানা উপকার করতে পারে।
‘নাসা’-র তরফে এক গবেষণা চালানো হয় এই ধরনের গাছ নিয়ে। গবেষণায় বেশ কয়েকটি গাছকে এই তালিকায় রাখা হয়। দেখে নেওয়া যাক তার মধ্যে অন্যতম কোনগুলি।
স্প্যাথিফাইলাম (পিস লিলি): বেনজিন, ফর্মালডিহাইড থেকে অ্যামোনিয়া— বাতাস থেকে বেশির ভাগ দূষিত পদার্থই টেনে নিতে পারে এই গাছ। তবে এর পাতা শিশু এবং পোষ্যদের শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
আইভি লতা: বাড়ির দেওয়ালে অনেকে এই গাছ লাগান। কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ঘরের ভিতরে রাখাই ভাল। তাতে বাতাসও পরিশুদ্ধ হয়।
স্পাইডার প্লান্ট: এই গাছ ঘরের ভিতরে বাঁচানো খুব সহজ। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে টেনে নেয় এই গাছ। শিশু এবং পোষ্যরাও নিরাপদ এই গাছ থেকে।
মানি প্লান্ট (পথোস): বহু বাড়িতেই এই গাছ থাকে। একে বাঁচানোর জন্যও বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। এমনকি মাটিও লাগে না এই গাছ বাঁচাতে। শুধু জলে রেখে দিলেও বেঁচে থাকে।
পার্লার পাম: বহু ধরনের পাম গাছ হয়। তার মধ্যে পার্লার পাম প্রজাতিটি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে সবচেয়ে কাজের। লেডি পাম এবং বাম্বু পামও এর কাছাকাছি থাকবে।
রাবার গাছ: এটিও অত্যন্ত পরিচিত গাছ। অনেকের বাড়িতেই থাকে। এই গাছ বাতাস পরিশুদ্ধও করতে পারে। ফর্মালডিহাইড জাতীয় দূষিত পদার্থ টেনে নিতে এর জুড়ি নেই।
অ্যান্থুরিয়াম (ফ্ল্যামিংগো লিলি): এটিও স্প্যাথিফাইলাম গোত্রের গাছ। কিন্তু এর ফুলের রং আলদা। অন্দরসজ্জা এবং বাতাস পরিশুদ্ধ করা— দু’টিই করতে পারে এই গাছ।
অ্যালো ভেরা: নানা গাছ লাগে এই গাছের রস। তার পাশাপাশি ঘরের বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ সাফ করার কাজও ভালই পারে এই গাছ।