মহারাষ্ট্রের মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে চালু হয়েছে অত্যাধুনিক রিটায়ারিং রুম। সস্তায় যাত্রীরা এ বার স্টেশনেই বিলাসবহুল হোটেলের আরাম উপভোগ করতে পারবেন। অত্যাধুনিক এই রিটায়ারিং রুমকে বলা হচ্ছে ‘পড’।
পড-এর ধারণাটি প্রথম আসে জাপান থেকে। জাপানে প্রথম এই পড হোটেল চালু হয়। একে ক্যাপসুল হোটেলও বলা হয়। পর্যটকদের জন্য কম খরচে বিলাসবহুল ব্যবস্থা নিয়ে হাজির হয়েছিল এই হোটেল। পরবর্তীকালে ভারতেও এই ধরনের পড হোটেল চালু হয়েছে। এ বার স্টেশনেই চালু হল পড হোটেল।
দেশের বিভিন্ন বড় স্টেশনগুলিতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফেই সেই ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে খুব কম সময়ের জন্য ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন যাত্রীরা। সহজে বললে এ রকমই ঘরের উন্নত সংস্করণ হল এই পড। মহারাষ্ট্রের মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে এই পড ঘরের ব্যবস্থা করেছে রেল।
এর নাম দেওয়া হয়েছে আর্বানপড। আধুনিক হোটেলে যে সব সুবিধা পাওয়া যায়, মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনের পড-এও সে রকমই বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে।
বাদামি এবং সাদা রঙে ঢাকা এই ঘরগুলি। কী কী থাকছে এই পড-এ?
প্রতি পডে শোওয়ার জন্য বিছানা থাকছে। এখানে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই দেবে রেল। মালপত্র রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে।
এ ছাড়া ঝাঁ চকচকে আলাদা স্নানাগারও থাকছে। স্নানাগারের আয়তন বেশ বড়। সেখানে আলাদা ওয়াশরুমও থাকছে।
প্রতি ব্যক্তির জন্য আলাদা টিভি থাকছে। জরুরি নথি রাখার জন্য একটি ছোট লকার রয়েছে, আয়না রয়েছে।
প্রতিটি পড-এ আলাদা আলোর ব্যবস্থা থাকছে। সেই আলো জ্বেলে রাতে পড়াশোনা করতে পারবেন যাত্রীরা। এতে পাশের পড-এ থাকা যাত্রীর কোনও অসুবিধা হবে না।
যে যাঁর নিজস্ব পড-এর তাপমাত্রা প্রয়োজন অনুযায়ী বদলে নিতে পারেন। তার জন্য প্রতি পড-এ আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে। মোবাইল চার্জ দেওয়ার জায়গা এবং ধোঁয়া নির্ণায়ক (স্মোক ডিটেক্টর) যন্ত্রও লাগানো রয়েছে।
মোট ৪৮টি এ রকম থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত তিন শ্রেণির পড রয়েছে স্টেশনে। ৩০টি ক্ল্যাসিক পড, সাতটি পড শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত, ১০টি ব্যক্তিগত পড এবং একটি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সংরক্ষিত।
কেমন ভাড়া এই পডগুলির? কোন শ্রেণির পড, কত ঘণ্টার জন্য নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে এর ভাড়া। ১২ ঘণ্টার জন্য জন প্রতি ভাড়া ন্যূনতম ৯৯৯ টাকা। ২৪ ঘণ্টার জন্য ১৯৯৯ টাকা দিতে হবে।