বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিল ভারত। দুধর্ষ সব জয় এসেছিল একের পর এক। কোনও দলই ভারতের সামনে এঁটে উঠতে পারেনি। কিন্তু ফাইনালে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তারপর?
বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জেতার পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সেই ধাক্কা কী ভাবে সামলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা? কেমন ছিল ভারতের সাজঘরের অন্দরের ছবিটা?
ফাইনালের ২৫ দিন পরে মুখ খুললেন মহম্মদ শামি। সব কথা প্রকাশ্যে বললেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরের কয়েক ঘণ্টার বিবরণ দিয়েছেন শামি।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা কী করব বুঝতে পারছিলাম না। অনেকে বলছিল, আমরা ভুল পিচ বেছেছি। অনেকে বলছিল, আরও বেশি রান করতে হত। যার যা মনে হচ্ছিল বলছিল। কিন্তু তারা তো কেউ মাঠে নেমে খেলেনি। আমরা খেলেছি। একটা দল হিসাবে খেলেছি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টায় সব বদলে গিয়েছিল।’’
ফাইনালে হারলেও কেউ কাউকে দোষারোপ করেননি তাঁরা। কারণ, তাঁরা জানতেন দলের প্রত্যেকে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। শুধু বাস্তবটা মেনে নিতে পারছিলেন না।
শামি বলেন, ‘‘ফাইনালে ওঠার পরে সবাই জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি। কিন্তু জিততে পারিনি। তবে তার জন্য কেউ কারও দিকে আঙুল তোলেনি। কারণ, আমরা জানতাম সবাই চেষ্টা করেছে। আগের ১০টা ম্যাচে দল হিসাবে জিতেছিলাম। ফাইনালে দল হিসাবেই হেরেছি। শুধু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’’
বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ দিকে আমদাবাদের মাঠে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলা শেষে ভারতের সাজঘরে গিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাজঘরে যাওয়ায় তাঁদের খুব সুবিধা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন শামি।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মন ভেঙে গিয়েছিল। চুপ করে সবাই বসেছিলাম। কারও কথা বলতে ইচ্ছা করছিল না। কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী এসে দলের সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি আসায় খুব সুবিধা হয়েছিল।’’
শামি জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রীর আসার খবর তাঁরা জানতেন না। তাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভারতীয় পেসারের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে আসবেন সেটা কেউ আমাদের বলেনি। ওঁকে দেখে চমকে উঠেছিলাম। উনি আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমাদের প্রশংসা করেছিলেন। মাথা উঁচু করে থাকতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আসার পরেই আমরা আবার সবাই সবার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলাম। বুঝতে পারছিলাম এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে হবে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট দলে রয়েছেন শামি। তবে তাঁর খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, এখনও চোট সারেনি শামির। চোট সারলে তবেই দলে সুযোগ পাবেন ভারতীয় পেসার। ২৬ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরু ভারতের প্রথম টেস্ট।