India VS Pakistan

India VS Pakistan: মুখোমুখি ১০ বার, স্কোর ৮-২, টি২০তে ভারতের কাছে হারতেই ‘অভ্যস্ত’ পাকিস্তান

ভারতের এই একচেটিয়া জয়ের শুরুটা দেড় দশক আগে। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি২০-এর সেই ম্যাচ হয়েছিল ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, ডারবানে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ১০:৫৭
Share:
০১ ২১

আবার ভারত বনাম পাকিস্তান। এবং আবার ভারতের জয়। দুই দেশের মধ্যে টি২০ ম্যাচ হলেই ভারতের জয় যেন মোটামুটি নিশ্চিত। অন্তত পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে। রেকর্ড বলছে, ক্রিকেট মাঠের দুই চিরশত্রু পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলেছে ১০টি টি২০ ম্যাচ। রবিবারের ম্যাচ নিয়ে এর মধ্যে ভারত জিতেছে আটটি। পাকিস্তান জিতেছে মাত্র দু’টিতে।

০২ ২১

ভারতের এই একচেটিয়া জয়ের শুরুটা দেড় দশক আগে। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি২০-এর সেই ম্যাচ হয়েছিল ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, ডারবানে। প্রথমে ব্যাট করে মহম্মদ আসিফের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে নড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আসিফ। রবিন উথাপ্পা ছাড়া সে ভাবে কেউ ব্যাট করতেই পারেননি। মাত্র ১৪১ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।

Advertisement
০৩ ২১

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইরফান-আরপি সিংহদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলতে পারেনি পাকিস্তান। ব্যতিক্রম মিসবা-উল-হক। ৩৫ বলে ৫৩ করে ম্যাচ প্রায় জিতিয়ে দিচ্ছিলেন। শেষ বলে রান আউট হন তিনি। পাকিস্তানও শেষ করে ১৪১ রানেই। বোল আউটে ম্যাচ জেতে ভারত।

০৪ ২১

ওই টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে আবার মুখোমুখি হয় দুই দল। জো’বার্গের সেই ম্যাচে গৌতম গম্ভীরের ব্যাটে ভর করে ভারত ১৫৭ রান করে। ৫৪ বলে ৭৫ রান করেন গম্ভীর। ছ’নম্বরে নেমে ১৬ বলে ৩০ করেন রোহিত শর্মা।

০৫ ২১

জবাবে ১৫২ রানে শেষ করে পাকিস্তান। শেষ ওভারে যোগিন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দিয়ে সবাইকে চমকে দেন ক্যাপ্টেন কুল। মিসবাকে আউট করে ভারতকে ট্রফি এনে দেন যোগিন্দর। ভারত জেতে পাঁচ রানে।

০৬ ২১

এর পর দুই দেশের দেখা হয় পাঁচ বছর পর, ২০১২ সালে। ওয়ার্ল্ড টি২০-এর সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অশ্বিন-যুবরাজদের ঘূর্ণিতে মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় মহম্মদ হাফিজের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। বিরাট কোহলীও একটি উইকেট পান।

০৭ ২১

রান তাড়া করতে নেমে পাক বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করেন কোহলী। তাঁর ৬১ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের দাপটে তিন ওভার বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত।

০৮ ২১

‘দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ’য় পর পর তিন ম্যাচ হেরে চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয় পায় পাকিস্তান। ওই বছরই ২৫ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে দেখা হয় দুই দলের। প্রথমে ব্যাট করে গম্ভীর-রহাণে জুটির সৌজন্যে দুর্দান্ত শুরু করে ভারত। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংস শেষ করে মাত্র ১৩৩ রানে।

০৯ ২১

কম রানের পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেন ভুনেশ্বর কুমার-অশোক ডিন্ডারা। কিন্তু বাদ সাধে মহম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিকের ব্যাট। হাফিজ ৬১ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ বার করেন শোয়েব। ভারত হারে পাঁচ উইকেটে।

১০ ২১

সিরিজের পরের ম্যাচেই কামব্যাক করে ভারত। আমদাবাদের সেই ম্যাচে ঝলসে ওঠে যুবরাজ সিংহের ব্যাট। ৩৬ বলে ৭২ রান করেন তিনি।

১১ ২১

১৯২ রানের বড় লক্ষ্য সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভালই খেলছিল পাকিস্তান। কিন্তু হাফিজের অর্ধশতরানকে মাত দিয়ে দেয় ডিন্ডার তিন উইকেট। ভারত ম্যাচ জেতে ১১ রানে।

১২ ২১

পরের বার দুই দেশের দেখা দু’বছর পর। ২০১৪ সালে মীরপুরে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অমিত মিশ্র আর রবীন্দ্র জাডেজার স্পিনে বেসামাল পাকিস্তান করে মাত্র ১৩০ রান।

১৩ ২১

রোহিত-ধবন-কোহলী-রায়নাদের ব্যাটে ভর করে সে রান সহজেই তুলে ফেলে ভারত। ম্যাচে এক বারের জন্যও মনে হয়নি পাকিস্তান জিততে পারে। সাত উইকেটে ন’বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে ভারত।

১৪ ২১

পরের দেখা এশিয়া কাপে সেই মীরপুরেই। ভয়ঙ্কর কঠিন পিচে প্রথমে ব্যাট করে শাহিদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। কিন্তু দু’জন বাদে কারও রানই দু’অঙ্কের ঘর পেরোয়নি। ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফ্রিদিদের ইনিংস।

১৫ ২১

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র আট রানে তিন উইকেট হারায় ভারত। তখনই রক্ষাকর্তার ভূমিকায় নামে বিরাট কোহলীর ব্যাট। ৫১ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ভারত ম্যাচ জেতে পাঁচ উইকেটে।

১৬ ২১

এক মাসের মধ্যেই আবার দেখা হয় দুই দেশের। ইডেনে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অশ্বিন-জাডেজাদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১১৮ রানের বেশি করতে পারেনি আফ্রিদির দল।

১৭ ২১

রান তাড়া করতে নেমে আবার কোহলী-ম্যাজিকে ভর করে ম্যাচ জেতে ভারত। ১৬ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ জেতে ধোনির দল। ভারত জেতে ছ’উইকেটে।

১৮ ২১

টানা চার ম্যাচ হেরে নবম সাক্ষাতে দুবাইয়ে প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে শাহিন শাহ আফ্রিদির বাঁহাতি পেসে নড়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিং। ১৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ভারতকে। কোহলী আর পন্থ ছাড়া কেউই সে ভাবে রান পাননি।

১৯ ২১

রান তাড়া করতে নেমে পাক ব্যাটিংয়ে দাঁত ফোটাতে পারেননি বুমরা-শামিরা। মহম্মদ রিজওয়ান-বাবর আজমের ওপেনিং জুটিই ম্যাচ জিতে নেয়। ভারত হারে ১০ উইকেটে।

২০ ২১

দুবাইয়ে শেষ বার হারের মধুর প্রতিশোধ ভারত নিল রবিবার। এশিয়া কাপের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভারত জেতে পাঁচ উইকেটে। হার্দিক পাণ্ড্য এবং ভুবনেশ্বর কুমারের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ১৪৭ রান করায় মনে হচ্ছিল সহজেই ম্যাচ জিতবে ভারত।

২১ ২১

কিন্তু তরুণ পাক বোলাররা সহজে হাল ছাড়েননি। কোহলী-জাডেজার ৩৫ রানের পর ব্যাট হাতেও ঝলসে ওঠেন হার্দিক। ১৭ বলে ৩৩ রান করে ম্যাচ জেতান পাণ্ড্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement