নেহাতই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। কিন্তু রবিবারের মেলবোর্ন দেখলে কে বলবে তা। মেলবোর্ন না মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে! তিরঙ্গা পতাকার ঢেউ আর ভারতীয় সমর্থকদের হল্লা যে শব্দব্রহ্মের সৃষ্টি করল, তাকে দেখে ফাইনাল বা সেমিফাইনালের মঞ্চ বলে ভুল করবেন যে কেউ।
কাপ জেতার লক্ষ্যে ক্যাঙারুর দেশে পা রাখা ভারত কেমন খেলল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে? আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে রাহুল, কোহলি, ঋষভরা কত পেলেন?
রোহিত শর্মা— ব্যাট হাতে গত ৮টি টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে ভারতকে ভরসা জোগানো রোহিত রবিবার আবারও ব্যর্থ। ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরলেন সাজঘরে। এ বারও ডিপ স্কোয়ার লেগে লোপ্পা ক্যাচ দিলেন। যে ক্যাচ ফস্কান না ফিল্ডাররা। ১০-এর মধ্যে রোহিত পেলেন ৩।
কে এল রাহুল— আগের ম্যাচেই ফর্মে ফেরার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। স্কোয়ার লেগ-মিড উইকেট চত্বর দিয়ে বিশাল ছয়, কিংবা স্লিপ ও গালির মাঝবরাবর চোখজুড়ানো আপার স্কোয়ারকাটে বাউন্ডারি— মেলবোর্নে এসেও সেখান থেকেই শুরু করলেন রাহুল। ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস এল রাহুলের ব্যাট থেকে। ১০-এর মধ্যে রাহুল পেলেন ৭।
বিরাট কোহলি— দুরন্তে ছন্দে থাকা কোহলি এ দিনও সাবলীল ছিলেন। যদিও ২৫ বলে ২৬ রানেই থমকে গেলেন বিরাট। ব্যাটে রান না পাওয়া পুষিয়ে দিলেন ফিল্ডিং করতে নেমে। জিম্বাবোয়ের প্রারম্ভিক ব্যাটার ফিরলেন কোহলির তালুবন্দি হয়ে। এ নিয়ে ৫০টি ক্যাচ হয়ে গেল বিরাটের। ১০-এর মাপকাঠিতে কোহলি পাচ্ছেন ৬।
সূর্যকুমার যাদব— এবি ডিভিলিয়ার্স না সূর্য, মেলবোর্নের ২২ গজে ঠিক কে খেলছেন বোঝা গেল না। নটরাজ ভঙ্গিতে একের পর এক বল উড়ে গেল গ্যালারিতে। বস্তুত সূর্যের তেজেই ভারত ২০ ওভারে পৌঁছে গেল ১৮৬ রানে। স্কাই করলেন ৬১ রান। খেললেন মাত্র ২৫ বল। ২৪৪ স্ট্রাইক রেটে সূর্য তাপে পুড়ে গেল জিম্বাবোয়ের বোলিং। ১০-এর মাপকাঠিতে সূর্যের প্রাপ্তি সাড়ে ৯।
ঋষভ পন্থ— দীনেশ কার্তিকের জায়গায় রবিবার নেমেছিলেন ঋষভ। কিন্তু হতাশ করলেন ব্যাট হাতে। খেললেন ৫টি বল, করলেন মাত্র ৩। উইকেটের পিছনে অবশ্য চলনসই। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে ১০-এর মধ্যে পন্থ পেলেন ২।
হার্দিক পাণ্ড্য— ১৮ বলে ১৮ রান করলেন ঠিকই কিন্তু ভরসা জোগাতে পারলেন কই। অবশ্য, সূর্যের ঝড় তোলার দিনে করতেনই বা কী। বল হাতে পেলেন দু’উইকেট। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে হার্দিক ১০-এর মধ্যে পেলেন ৬।
অক্ষর পটেল— দিনটা মোটেও ভাল গেল না অক্ষরের। ব্যাট হাতে নেমেছিলেন কিন্তু ব্যাট করার সুযোগ পাননি। বল হাতে যদিও বেদম মার খেয়ে গেলেন জিম্বাবোয়ে ব্যাটারদের। প্রথম ওভারে দিলেন ১৫ রান, দ্বিতীয় ওভারে ১৩। শেষ উইকেট পেলেও ভরসা দিতে পারলেন না। সব মিলিয়ে ১০-এর মধ্যে অক্ষর পাবেন ২।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন— দরকারের সময় ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া ব্যাটারকে বোল্ড করলেন। সব মিলিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে অশ্বিন ১০-এর মধ্যে পাচ্ছেন ৫।
ভুবনেশ্বর কুমার— ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও বল হাতে নেমেই চমকে দিলেন ভুবি। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে ১০-এর মধ্যে পেলেন ৬।
মহম্মদ শামি— নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেট পান শামি। অর্থাৎ, ভারতের তিন জোরে বোলারই নিজেদের প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন। শামি অবশ্য পেলেন আরও একটি উইকেট। সব মিলিয়ে পয়সা উসুল পারফর্ম্যান্স একেই বলে। ১০-এর মধ্যে শামি পেলেন ৭।
আরশদীপ সিংহ— প্রথম ওভারেই আরশদীপের বলে ছিটকে গেল উইকেট। বাঁহাতি এই জোরে বোলার যত দিন যাচ্ছে, ততই রোহিতের ভরসার জায়গা করে তুলছেন নিজেকে। ১০-এর মধ্যে আরশদীপ পাচ্ছেন সাড়ে ৬।