India-Russia Defense Collaboration

রাশিয়ার ‘ম্যাঙ্গো’ এ বার তৈরি হবে ভারতে, শত্রুদের ট্যাঙ্ক উড়ে যাবে নিমেষে! চাপে চিন-পাকিস্তান

এই অস্ত্রের পোশাকি নাম ‘ম্যাঙ্গো আর্মার-পিয়ার্সিং ট্যাঙ্ক রাউন্ড’ বা ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’। ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া হয় এই গোলা। এটি খুবই শক্তিশালী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৫
Share:
০১ ১৯

‘ম্যাঙ্গো’ বা আম বলতেই আমাদের মনে ফুটে ওঠে সুস্বাদু ফলের কথা। গরমকাল মানেই দেশের বহু মানুষের ঘরে মজুত থাকে নানা স্বাদের আম। ভারতের আম জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু এ বার ভারতে তৈরি হতে চলেছে এক নতুন ধরনের ‘ম্যাঙ্গো’! যা দেশের শত্রুদের ঘুম উড়িয়ে দেবে।

০২ ১৯

অনেকেই হয়তো ভাবছেন এটা কী ধরনের আম, যা শত্রুদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠবে? এই আম হল এক ধরনের গোলা। যা শত্রুদের ট্যাঙ্ককে ধ্বংস করে দেবে নিমেষে।

Advertisement
০৩ ১৯

এই অস্ত্রের পোশাকি নাম ‘ম্যাঙ্গো আর্মার-পিয়ার্সিং ট্যাঙ্ক রাউন্ড’ বা ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’। ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া হয় এই গোলা। এটি খুবই শক্তিশালী। শত্রুপক্ষের শক্ত বর্ম-যুক্ত ট্যাঙ্ককে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর।

০৪ ১৯

এই গোলা সোজা ট্যাঙ্কের গায়ে গিয়ে আঘাত করবে। তার পর ‘মাখনের মতো’ ট্যাঙ্কের বর্ম ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাবে। তার পর সেই ট্যাঙ্কের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটাবে।

০৫ ১৯

‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ নিয়ে আলোচনা আরও একটি কারণে। তা হল, এই গোলা ভারত এবং রাশিয়া যৌথ ভাবে তৈরি করবে। শুধু তা-ই নয়, ভারতের মাটিতেই তৈরি হবে একের পর এক ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

০৬ ১৯

রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন সামরিক সংস্থা রোস্টেক সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ তৈরি করতে শুরু করেছে। শত্রুর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্যই এই গোলা নকশা করা হয়েছে। ভারত-রাশিয়া যেমন সফল ভাবে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, সে ভাবেই এই পরিকল্পনাকেও বাস্তবায়িত করবে।

০৭ ১৯

রোস্টেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ টি-৯০ ট্যাঙ্কের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই গোলার নাম ৩ভিবিএম১৭। এতে ৩বিএম৪২ ফিন-স্যাবিলাইজ়ড আর্মার-পিয়ার্সিং সাব-ক্যালিবার প্রজেক্টাইল রয়েছে। যা খুবই শক্তিশালী।

০৮ ১৯

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বের কথা কূটনৈতিক মহলের সকলের জানা। সোমবারই রাশিয়া সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নৈশাহারও সেরেছেন তিনি। সেখানেই একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

০৯ ১৯

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারত-রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি সামরিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মোদী-পুতিনের মধ্যে। মোদী সফরের আগেই ভারতকে ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ উপহার দেওয়ার কথা জানাল পুতিনের দেশ।

১০ ১৯

জানা গিয়েছে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং আত্মনির্ভর ভারত— এই দুই প্রকল্পের অধীনেই দেশের মাটিতে তৈরি হবে ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’। রোস্টেকের প্রধান সের্গেই চেমেজ়ড জানিয়েছেন, এই ধরনের সহযোগিতা আমদানিকারক দেশকে তার নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম করে।

১১ ১৯

সামরিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ তৈরির বিষয়টি রাশিয়া-ভারতের সম্পর্কে এক নতুন মাইলফলক যোগ করেছে। ভারতে উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু করতে সহায়তা করবে রাশিয়া।

১২ ১৯

ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাস সুদীর্ঘ এবং শক্তিশালী। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে স্বল্পপাল্লার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইগলা-এস। গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন অস্ত্র-চুক্তি করেছিল ভারত। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিল্লিতে পাঠিয়েছে মস্কো।

১৩ ১৯

‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ নিয়ে আলোচনা এখন শুরু হলেও দু’দেশের মধ্যে এর ভিত্তিপ্রস্তর কয়েক বছর আগে হয়েছে। ২০১৭ সালে ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠিয়েছে রাশিয়ান সংস্থা রোস্টেক। ভারতে যাঁরা এই গোলা তৈরি করবেন তাঁদের প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে।

১৪ ১৯

‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ তৈরির জন্য ভারতে কারখানাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানেই এই গোলা তৈরির কাজ হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কারখানা তৈরি হবে বলে জানা যাচ্ছে।

১৫ ১৯

ইউক্রেনের উপর রাশিয়া হামলার করার পর আমেরিকা-সহ বিশ্বের অনেক দেশই মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি ভারতের।

১৬ ১৯

এক সময় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার ৮০ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র এবং সরঞ্জাম আসত রাশিয়া থেকে। পরবর্তী সময়ে আমেরিকা থেকে ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এবং সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস কেনা হয়েছে। এসেছে এম-৭৭৭ হাউইৎজ়ার কামান। কিন্ত সামগ্রিক ভাবে এখনও ভারতে অস্ত্র সরবরাহের নিরিখে ওয়াশিংটনের তুলনায় মস্কোর পাল্লা অনেকটাই ভারী।

১৭ ১৯

ভারত-রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করল ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’। এই নতুন অস্ত্রে ভয় পাবে পাকিস্তান এবং চিন।

১৮ ১৯

২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষ, ২০২২ সালে তাওয়াংয়ের কাছে প্রকৃত সীমান্তরেখার কাছে ভারত এবং চিনের সেনার মধ্যে সংঘাত দেখা গিয়েছিল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার বেজিংয়ের বিরুদ্ধে সীমান্তে আগ্রাসন এবং ভারতের এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

১৯ ১৯

ভারতীয় সেনার নজরদারির কারণে সীমান্ত পেরিয়ে অগ্রসর হতে পারে না চিনা সেনা। তবে যদি কখনও আবার চিন-ভারত যুদ্ধ হয়, সে ক্ষেত্রে ‘ম্যাঙ্গো রাউন্ড’ খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন অনেকে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement