Narendra Modi

ভোটের আগে গোলকধাঁধা গুজরাতে, ঠিক যেখানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি বানিয়েছিলেন মোদী

নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরেই বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা গুজরাতে। তার আগে রবিবার অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর গুজরাতের একতা নগরে এই গোলকধাঁধার দ্বারোদ্ঘাটন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নর্মদা (গুজরাত) শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৭
Share:
০১ ১৫

ভোটমুখী গুজরাতকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগাম উপহার— দেশের বৃহত্তম ‘ভুলভুলাইয়া’।

০২ ১৫

আগেরটি লখনউয়ে আঠারো শতকে তৈরি করেছিলেন নবাব আসাদ-উদ-দৌলা। দেশে তখন দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রজাদের কাজ এবং খাবারের জোগান দিতেই নাকি নবাবসাহেব বড়া ইমামবাড়া তৈরি করিয়েছিলেন। ভুলবশত তৈরি হয়ে গিয়েছিল গোলকধাঁধা। গুজরাতেরটি অবশ্য ভুল করে নয়, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তৈরি।

Advertisement
০৩ ১৫

প্রায় তিন একর এলাকা জুড়়ে ব্যাপ্তি গোলকধাঁধাটির। নকশায় রয়েছে ভারতীয় তন্ত্রসাধনায় ব্যবহৃত যন্ত্রের হুবহু আদল। গত আট মাসের পরিশ্রমের পর বর্তমান রূপ পেয়েছে ধাঁধাটি।

০৪ ১৫

নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরেই বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা গুজরাতে। তার আগে রবিবার অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর গুজরাতের একতা নগরে এই গোলকধাঁধার দ্বারোদ্ঘাটন করবেন গুজরাতের ভূমিপুত্র এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, এই একতা নগরেই ঠিক ৪ বছর আগে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই পটেলের বিশাল ইস্পাতমূর্তির উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে বারও কয়েক মাস পরেই ২০১৯ সালের এপ্রিলে ছিল দেশের লোকসভা ভোট।

০৫ ১৫

প্যাটেলের সেই মূর্তি উচ্চতায় হার মানিয়েছিল বিশ্বের সমস্ত সুউচ্চ বৈগ্রহিক মূর্তিকে। রবিবার সেই মূর্তিরই পাদদেশের এই নতুন গোলকধাঁধার দরজা খুলছে। যা আকারে টেক্কা দেবে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ভুলভুলাইয়া’কে।

০৬ ১৫

‘ভুলভুলাইয়া’ নামটি অবশ্য লখনউয়ের বড়া ইমামবাড়ার গোলকধাঁধারই। মোদীর হাতে উদ্বোধন হওয়া এই গোলকধাঁধার সরকারি নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য মেজ গার্ডেন’। তবে হিন্দিতে তাকে 'ভুলভুলাইয়া' বলেই লেখা হয়েছে গোলকধাঁধার তোরণে।

০৭ ১৫

গোলকধাঁধা সাধারণত দু’ধরনের হয়— একটিতে একটিই বেরোনোর পথ থাকে। অন্য ধরনটিতে প্রবেশপথ থাকে অনেকগুলি, বেরোনোর পথও একাধিক। এই ধরনের গোলকধাঁধা তুলনায় জটিল। গুজরাতের একতা নগরের গোলকধাঁধাটি এই দ্বিতীয় পর্যায়ে পড়ে।

০৮ ১৫

স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পাদদেশে গোলকধাঁধাটি যেখানে তৈরি হয়েছে, সেখানে এর আগে ইমারতি জঞ্জাল এনে ফেলা হত। সেই জায়গাটিই নতুন করে সাজিয়ে বানানো হয়েছে দ্য মেজ গার্ডেন। ৩ একর বিস্তৃত এই গোলকধাঁধায় তৈরি করা হয়েছে ২ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা।

০৯ ১৫

তবে রবিবার গুজরাতের কেভাডিয়ার একতানগরে পর্যটকদের জন্য আরও একটি নতুন আকর্ষণ খুলতে চলেছে। স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পাদদেশে একটি ঘন জঙ্গলের উদ্বোধন করতে চলেছেন মোদী। নাম 'মিয়াওয়াকি অরণ্য'।

১০ ১৫

জাপানের এক উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পদ্ধতি মেনে মাত্র ২-৩ বছরে তৈরি করা হয়েছে এই জঙ্গল। তাই নামকরণও হয়েছে তার নামেই।

১১ ১৫

সাধারণত কৃত্রিম অরণ্য তৈরি করতে সময় লেগে যায় ২০ থেকে ৩০ বছর। কিন্তু জাপানের ওই উদ্ভিদ-বিজ্ঞানী তথা প্রকৃতিবিদের পদ্ধতিতে একসঙ্গে বহু চারাগাছ গায়ে গায়ে পুঁতে দিলে তা দ্রুত বাড়ে। সেই নিয়মেই মেজ গার্ডেনের কাছেই বিস্তৃত এলাকায় প্রায় ১ লক্ষ আশি হাজার চারাগাছ রোপণ করা হয়। গত কয়েক বছরে সেই গাছই বেড়ে তৈরি হয়েছে ঘন প্রাকৃতিক জঙ্গল।

১২ ১৫

গাছের রকমফের অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে মিয়াওয়াকির অরণ্যকে। ফুলের গাছ, ফলের গাছ, কাঠ ব্যবহার করা যায় এমন গাছ, ওষধি গাছ, এমনকি, বিরল জাতের গাছেরও আলাদা চত্বর রয়েছে মিয়াওয়াকি জঙ্গলে।

১৩ ১৫

পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ সালে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির লাগোয়া গুজরাতের কেভাডিয়ার একতা নগরে ৮০ লক্ষ পর্যটক এসেছেন। রবিবার সেই একতা নগরে আরও নতুন দু’টি আকর্ষণ যুক্ত হওয়ায় তা আরও বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে প্রশাসন।

১৪ ১৫

স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে অবশ্য পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণ আগে থেকেই ছিল। পর্যটকদের প্রকৃতির কোলে টেন্ট সিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন থিম পার্ক রয়েছে একতা নগরে।

১৫ ১৫

এক দিকে যেখানে নর্মদা নদী এবং সাতপুরা পর্বত, বিন্ধ্যাচল পর্বতে ঘেরা নৈসর্গিক এলাকায় তাঁবুতে থাকার বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনই রয়েছে আরোগ্য বন, প্রজাপতির বাগান, ক্যাকটাস-বাগান, বিশ্ব বন, ভারত বন, ইউনিটি গ্লো গার্ডেন, জঙ্গল সাফারি পার্ক, শিশুদের জন্য নিউট্রিশন পার্কও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement