দৈনন্দিন ব্যবহারিক জিনিসের দাম সম্পর্কে আমরা অবহিত। কোন জিনিসের কত দাম বাড়ছে, সে সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু জানেন কি যে টাকা খরচ করে আপনি কোনও জিনিস কিনছেন, সেই টাকা বানাতে সরকারের কত খরচ হয়?
তথ্যের অধিকার (আরটিআই) সম্পর্কিত একটি মামলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই তথ্য দিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আঁচ শুধুমাত্র আমজনতার গায়েই লাগে না, টাকা তৈরিতেও দ্রব্যমূল্যের প্রভাব পড়ে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাকা তৈরির কাঁচামালের দামেও প্রভাব পড়ে। যার জেরে টাকা ছাপতেও বিপুল খরচ হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।
বিজনেসলাইন-এর এক প্রতিবেদনে আরটিআই প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৫০০ টাকার নোট ছাপতে যে খরচ হয়, তার তুলনায় ২০০ টাকার নোট ছাপতে বেশি খরচ হয়। আরটিআই-এর জবাবে এমনটাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
আরবিআই জানিয়েছে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে, ১০ টাকার নোটের তুলনায় ২০ টাকার নোট ছাপতে বেশি খরচ হয়েছে।
ওই অর্থবর্ষে ১০ টাকার এক হাজার নোট ছাপতে শীর্ষব্যাঙ্কের খরচ হয় ৯৬০ টাকা।
২০ টাকার এক হাজার নোট ছাপতে খরচ পড়ে ৯৫০ টাকা।
৫০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয় ২,২৯০ টাকা। সেখানে ২০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ পড়ে ২,৩৭০ টাকা।
১০০ টাকার এক হাজার নোট ছাপাতে আরবিআইয়ের খরচ হয়েছে ১,১৭০ টাকা।
২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে ২০০০ টাকার এক হাজারটি নোট ছাপাতে খরচ হয়েছিল ৩,৫৩০ টাকা।
যে হেতু ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাই ২০১৯-’২০, ২০২০-’২১ এবং ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের ক্ষেত্রে এই হিসাব পাওয়া যায়নি।
নোট ছাপানোর খরচ যে হেতু বেড়েছে এক বছরে, সেই হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ৫০ টাকা ছাপানোর দামের ক্ষেত্রে।
২০২০-’২১ অর্থবর্ষে এক হাজার ৫০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয়েছিল ৯২০ টাকা। সেখানে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে এক হাজার ৫০ টাকার নোট ছাপাতে আরবিআইয়ের খরচ ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,১৩০ টাকা।
দামের সবচেয়ে কম প্রভাব পড়েছে ২০ টাকার নোট ছাপাতে। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে এক হাজার ২০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয়েছিল ৯৪০ টাকা। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে এক হাজার ২০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয়েছে ৯৫০ টাকা।