কপিল শর্মার অনুষ্ঠান দেখে দর্শকেরা অনাবিল মজা পান। তাঁর শোয়ের টিআরপি সবসময়ই থাকে উপরের দিকে। কিন্তু বদলে কপিল কী পান?
গত এক দশক ধরে দর্শকদের পেটে খিল দিয়ে হাসিয়েছেন। কপিলের ভক্তরা বলেন, তাঁর অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব হল টাইমিং। সময় বুঝে ঠিক জিনিসটা ঠিক সময়ে বলে দেওয়া। এটাই কপিলের গুণ।
সেলেবরাও সেই গুণে ঘায়েল হয়েছেন। হাসতে হাসতে কুপোকাত হয়েছেন। কপিলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছেন নিজেদের ছবির প্রচারের জন্য।
কপিল শর্মার অনুষ্ঠান এক সময়ে পারিবারিক নৈশাহারের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। কপিলের সর্বজনগ্রাহী জনপ্রিয়তাই তাঁর শোকে ‘প্রাইমটাইম হিট’-এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সব ভালই কোনও না কোনও দিন শেষ হয়। কপিল শর্মার অনুষ্ঠানও গত ৫ জুন শেষ বার সম্প্রচারিত হল।
কপিল তাঁর ছোট পর্দার কর্মজীবনে দু’টি কমেডি অনুষ্ঠান করেছেন— প্রথমটির নাম ছিল ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’, দ্বিতীয়টি ‘দ্য কপিল শর্মা শো’।
দু’টি অনুষ্ঠানকেই শুরু থেকে ছোটপর্দায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে টেনে এনেছিলেন কপিল, তাঁর প্রতিভাগুণে।
অভিনেতা হতে মুম্বইয়ে এসে শেষে কমেডি শোয়ের সঞ্চালক হওয়ার সুযোগ হয়েছিল এক সময়ে থিয়েটার অন্তপ্রাণ কপিলের। তখন তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এমন পরিবার যেখানে ছেলেমেয়েরা অভিনেতা হওয়ার শখ পোষণের সাহস সাধারণত দেখান না।
তবে কপিল দেখিয়েছিলেন। ফল যে পেয়েছেন, তা তাঁর বর্তমান জীবনযাপনেই স্পষ্ট। শোনা যায়, সব মিলিয়ে নাকি ৩৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কপিল শর্মা!
অন্ধেরি ওয়েস্টের ডিএলএইচ এনক্লেভে ১৫ কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে কপিলের। পঞ্জাবে রয়েছে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাংলো।
আর কমেডি শো পিছু কত উপার্জন করেছেন কপিল? রিপোর্ট বলছে, প্রথম এবং দ্বিতীয় সিজনেই কপিল প্রতি পর্ব পিছু ৩০ লক্ষ টাকা করে নিতেন।
অনুষ্ঠানের বিপুল সাফল্য দেখে তৃতীয় সিজন থেকে ৫০ লক্ষ টাকা করে নিতে শুরু করেন কপিল।
তৃতীয় সিজনে ৮০টি পর্ব ছিল কপিল শর্মার। একটি সিজন থেকেই ৪০ কোটি টাকা উপার্জন করেন কৌতুকাভিনেতা।
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের থিয়েটারপ্রেমী এক যুবক থেকে এ ভাবেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন কপিল।
তবে তাঁর এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই তাঁর নিজের। কোনও পরিচিতি ছাড়াই হিন্দি মনোরঞ্জনের জগতে যে ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি তা শিক্ষণীয় বলেই মনে করেন অনেকে।