ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনিই ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হবেন।
আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে ১৪তম রাষ্ট্রপতির মেয়াদ। তার পরেই শপথ নেবেন দ্রৌপদী।
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন দ্রৌপদী। কোনও দেশের সাংবিধানিক প্রধানের বাসভবন হিসাবে এটিই বিশ্বের বৃহত্তম।
এই ঐতিহাসিক ভবনে চারটি তলা মিলিয়ে ৩৪০টি ঘর রয়েছে। আড়াই কিলোমিটার করিডর এবং ১৯০ একর জমির উপরে রয়েছে বাগান।
এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য হায়দরাবাদে রয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়ম’ নামে একটি বিলাসবহুল ভবন।
একই রকম ভাবে ছুটি কাটানোর জন্য সিমলায় রয়েছে রিট্রিট বিল্ডিং।
রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের পাঁচ জন কর্মী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় দু’শো জন কর্মী রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন।
রাষ্ট্রপতি বেতন পান মাসিক ৫ লাখ টাকা। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল দেড় লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরের পরে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালদেরও বেতন বাড়ায়।
বেতন ছাড়াও রাষ্ট্রপতিরা বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পান সারা জীবন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে কর্মীদের বেতন থেকে অতিথি আপ্যায়ন এবং খাওয়া দাওয়ার জন্য বছরে বরাদ্দ থাকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ব্যবহারের জন্য পান কালো রঙের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি।
মার্সিডিজ বেঞ্জ ছাড়াও রাষ্ট্রপতির ব্যবহারের জন্য একটি লিমুজিন গাড়িও থাকে।
রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী বা স্বামী বিশ্বের যে কোনও দেশে বিনা খরচে ঘুরতে পারেন।
অবসরের পরে রাষ্ট্রপতিরা পান মাসে দেড় লাখ টাকা।
অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির স্বামী বা স্ত্রী মাসে পান ৩০ হাজার টাকা।
অবসরের পরে থাকার জন্য আসবাবপত্র-সহ একটি সরকারি বাংলো পান বিনা খরচে।
দু’টি ল্যান্ডলাইন ও একটি মোবাইল ফোনও বিনা খরচে ব্যবহার করতে পারেন আজীবন।
অবসরের পরে প্রয়োজনীয় কর্মীদের বেতন বাবদ বছরে পান ৬০ হাজার টাকা।
একজন সঙ্গী নিয়ে অবসরের পরেও রাষ্ট্রপতিরা বিমান বা ট্রেনে বিনা খরচে ভ্রমণ করতে পারেন।