ক্রিকেটে একটি বৈধ বলে সর্বোচ্চ কত রান নেওয়া যায়? ৩, ৪, ৫, ৬! ওভার বাউন্ডারি হলে ৬ রান আসে। ধারাভাষ্যকাররাও তাই মাঝেমধ্যেই ওভার বাউন্ডারিকে ‘ম্যাক্সিমাম’ আখ্যা দিয়ে থাকেন।
একটি বৈধ ডেলিভারিতে ব্যাটাররা দৌড়ে সর্বোচ্চ কত রান নিতে পারেন? এ ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু ধোঁয়াশা। আশ্চর্য কিছু নজিরও রয়েছে।
কিন্তু এক বলে সর্বোচ্চ রানের যে রেকর্ড রয়েছে, তা ক্রিকেটপ্রেমীদের তাজ্জব বানিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, বল যত ক্ষণ খেলার মধ্যে থাকবে, তত ক্ষণ দৌড়ে যত খুশি রান নিতে পারেন ব্যাটাররা।
এ ক্ষেত্রে ক্রিকেটের সবচেয়ে কাছাকাছির ইতিহাস বলছে, ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক বলে ৮ রান নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।
ওই টেস্ট ম্যাচে চার রান এসেছিল দৌড়ে। সাইমন্ডস এবং মাইকেল ক্লার্ক দৌড়ে চার রান নেন। আর বাকি চার রান এসেছিল ওভার থ্রো থেকে।
তবে সাইমন্ডস একা নন। ১৯২৮-’২৯ মরসুমে ইংল্যান্ডের প্যাটি হেনড্রেন এবং ১৯৮০-’৮১ মরসুমে নিউজিল্যান্ডের জন রাইটও একই ভাবে এক বলে আট রান নিয়েছিলন। কিন্তু এর কোনওটিই এক বলে সব থেকে বেশি রান হওয়ার রেকর্ড নয়।
গিনেস বুক বলছে একটি বৈধ বলে সর্বোচ্চ রান নেওয়ার রেকর্ডটি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্লাবের। গ্যারি চ্যাপম্যান নামের এক ব্যাটার এই রান করেছিলেন।
১৯৯২ সালের ওই ম্যাচে মাঠের লম্বা ঘাসে বল হারিয়ে যায়। ফলে ব্যাটাররা শুধুমাত্র দৌড়ে ১৭ রান নিয়েছিলেন। তবে এটিও নাকি ১ বলে নেওয়া সব থেকে বেশি রান নয়।
এক বলে সর্বোচ্চ রানের ক্ষেত্রে বহু বছরের পুরনো একটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। যেখানে ব্যাটাররা ১ বলে ৫-১০ রান নয়, ২৮৬ রান নিয়েছিলেন!
ব্রিটেনের পত্রিকা ‘পল মল গেজেট’-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮৯৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বানবারিতে ভিক্টোরিয়া একাদশ বনাম স্ক্র্যাচ একাদশের খেলা হয়েছিল ওই দিন। আর এই অনন্য নজির নাকি গড়েছিলেন ভিক্টোরিয়া একাদশের ব্যাটাররা।
অস্ট্রেলিয়ান লিগের ওই ম্যাচে ভিক্টোরিয়া একাদশের এক ব্যাটারের একটি শটে বল মাঠের ভিতরে থাকা একটি গাছে উঠে যায়।
ফিল্ডাররা বল হারিয়ে যাওয়ার আবেদন করলেও আম্পায়াররা তা নাকচ করে দেন। কারণ বলটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
কী ভাবে বল পাড়া যায় তা নিয়ে যখন ফিল্ডাররা ব্যস্ত, ব্যাটাররাও তখন নাকি রান নিতে ব্যস্ত ছিলেন।
মগডাল থেকে বল পাড়তে গাছ কাটার সিদ্ধান্তও নাকি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কুড়ুল পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে ব্যাটাররা দৌড়েই যাচ্ছিলেন! অবশেষে একটি রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ে যখন বল গাছ থেকে নামানো হল, তখন স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে সবাই থ’।
দেখা যায়, ব্যাটাররা দৌ়ড়ে ২৮৬ রান নিয়ে ফেলেছেন! তবে ওই একটি পত্রিকার প্রতিবেদন ছাড়া এই ঘটনা আদৌ ঘটেছিল কি না তার কোনও প্রমাণ্য নথি নেই।
এই মুহূর্তে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ৯টি ম্যাচের ৯টিতেই জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে রোহিত-বিরাটদের দল। ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ। ১৯ তারিখ বিশ্বকাপের ফাইনাল। কোন দেশের ক্রিকেট দলের মুখে শেষ হাসি ফোটে, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তামাম ক্রিকেটপ্রেমীরা।