ভিন্গ্রহীরা পৃথিবীতেই থাকতে পারে। লুকিয়ে থাকতে পারে আমাদের মধ্যেই। মানুষের রূপ ধরে থাকতে পারে তারা। এমনটাই বলছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণাপত্রের নাম ‘দ্য ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল হাইপোথেসিস: এ কেস ফর সায়েন্টিফিক ওপেননেস টু আ কনসিলড আর্থলি এক্সপ্ল্যানেশন ফর আনআইডেন্টিফায়েড অ্যানোমালাস ফেনোমেনা (ইউএপি)’। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভিন্গ্রহীরা আদতে রয়েছে পৃথিবীতেই।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, অজানা কিছু উড়োযান (ইউএফও) আসলে মহাকাশযান। সেগুলি নাকি প্রায়ই আসে পৃথিবীতে।
নিউ ইয়র্ক পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মানুষ ছাড়াও পৃথিবীতে রয়েছে আরও কিছু ‘নন হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স’। তারা আমাদের সঙ্গেই বসবাস করছে। তবে লুকিয়ে রয়েছে তারা।
ভিন্গ্রহীরা যে এ পৃথিবীতে থাকতে পারে, এই দাবির সপক্ষে চারটি তত্ত্বও দিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
দাবি করা হয়েছে, ‘হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ হিসাবে আমাদের মধ্যে থাকতে পারে ভিন্গ্রহীরা। এরা কারা? গবেষকদের দাবি, এরা আদতে পৃথিবীতে বাস করত প্রাচীন কালে। প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই উন্নত।
বন্যা বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু যুগ আগেই সেই সভ্যতা হয়তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদেরই কিছু অংশ অবশিষ্ট হিসাবে থেকে গিয়েছে, যাদের বলা হয় ‘হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ‘হোমিনিড’ বা ‘থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ হিসাবেও থাকতে পারে ভিন্গ্রহীরা। মনে করা হয় এরা প্রাচীন বানরের বংশধর। কোনও ‘অজানা বুদ্ধিমান প্রজাতির ডায়নোসর’-এরও বংশধর হতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, এরা প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নতমানের ‘অ-মানব সভ্যতা’র অংশ ছিল। তারাই বিবর্তনের মাধ্যমে থেকে গিয়েছে পৃথিবীতে।
প্রাক্তন ‘এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল’ বা ‘এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ রূপেও থাকতে পারে ভিন্গ্রহীরা। গবেষকদের মতে অন্য কোনও গ্রহ থেকে তারা এসেছিল পৃথিবীতে। তার পর থেকে গিয়েছিল। মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থেকেও উঠে আসতে পারে তারা। তার পর থেকে গিয়েছে পৃথিবীতে, ভিন্ন রূপে।
‘ম্যাজিক্যাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ হিসাবেও পৃথিবীর বুকে থেকে যেতে পারে ভিন্গ্রহীরা। এদের সঙ্গে বাস্তবের যোগ খোঁজা হয়তো সম্ভব নয়। যোগ রয়েছে ‘জাদু’-র।
গবেষকেরা মনে করেন, এরা পৃথিবীতে জন্মায় না। বরং আদতে কোনও ‘পরী’, যারা পৃথিবীতে আসতে চায়।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের এই গবেষণাপত্র হয়তো সমালোচনার মুখে পড়বে। বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই কটাক্ষ করতে পারেন তাঁদের। বিজ্ঞানীদের কাছে তাঁদের আর্জি, এই গবেষণাকে যেন ‘খোলা মনে নমনীয় ভাবে’ দেখা হয়। এই গবেষণাপত্রের পর্যালোচনা এখনও হয়নি।
এর আগে আমেরিকার এক গোয়েন্দা আধিকারিক দাবি করেছিলেন, সে দেশের সরকার অজানা উড়োযান (ইউএফও) লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তার আয়তন প্রায় একটা ফুটবল মাঠের সমান।