চ্যাটজিপিটি। কয়েক মাস ধরে ইন্টারনেটে অন্যতম ঝড় তুলে দেওয়া বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে এই প্রযুক্তি। সংস্থার দাবি, প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর জানে চ্যাটজিপিটি।
এ হেন ‘সিধুজ্যাঠা’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সর্বকালের সেরা ফুটবল একাদশে কারা জায়গা পেতে পারেন? নিজের মতো একাদশ বেছে দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি। কেমন ছিল সেই দল? কারা সুযোগ পেয়েছিলেন? দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল চ্যাটজিপিটির সর্বকালের সেরা একাদশ।
লেভ ইয়াসিন (গোলরক্ষক): তর্কাতীত ভাবে বিশ্বের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের তালিকার একেবারে উপরে থাকবেন। সাবেক সোভিয়েতের এই গোলরক্ষক জিতেছেন বালঁ দ্যর। চ্যাটজিপিটির দলের গোলরক্ষক ছিলেন তিনিই।
কাফু (রাইট ব্যাক): টানা তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ব্রাজ়িলীয় তারকা জিতেছেন দু’টি বিশ্বকাপ। আদর্শ রাইট ব্যাক বলতে যা বোঝায়, কাফু যেন ঠিক সেটাই। দানি আলভেস, ফিলিপ লামরা লড়াইয়ে থাকলেও চ্যাটজিপিটি বেছে নিয়েছে কাফুকেই।
ফ্রান্জ বেকেনবাওয়ার (রাইট সেন্টার ব্যাক): অনেকের মতে বেকেনবাওয়ার বিশ্বের সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডার। এই দলে তাঁর জায়গা না হলে অবশ্য অবাক হতেন অনেকেই। লড়াইয়ে ববি মুর থাকলেও তাঁকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জার্মান তারকা।
পাওলো মালদিনি (লেফ্ট সেন্টার ব্যাক): ক্লাব হোক বা দেশ, মালদিনির ‘দেওয়ালে’ বাধা পেয়ে আটকে গিয়েছেন বহু স্ট্রাইকার। কেরিয়ারের শেষ দিকে সেন্টার ব্যাক হিসাবে খেললেও বেশির ভাগ সময়ে তিনি ছিলেন ভরসাযোগ্য লেফ্ট ব্যাক। র্যামোস, বারেসি, পিকেদের সরিয়ে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছিল চ্যাটজিপিটি।
রোবের্তো কার্লোস (লেফ্ট ব্যাক): অনেক ফুটবলবোদ্ধার মতে কার্লোস সর্বকালের সেরা লেফ্ট ব্যাক। তাঁর শটে ছিল অসম্ভব জোর। অ্যাশলে কোল, মার্সেলোরা এই জায়গার দাবিদার হলেও চ্যাটজিপিটি বেছে নিয়েছিল কার্লোসকেই।
জ়িনেদিন জ়িদান (সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার): ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর। মাঝমাঠকে একাই সামলে দিতে পারতেন জ়িদান। এই জায়গায় জ়িদান ছাড়া অন্য কাউকে ভাবা চ্যাটজিপিটির পক্ষেও ছিল খুবই কঠিন।
লিয়োনেল মেসি (রাইট ফরওয়ার্ড): বিশ্বের যে কোনও সময়ের সর্বকালের সেরাদের দলে অনায়াসে স্থান পেতে পারেন। ক্লাব হোক বা দেশ, সব পর্যায়েই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন মেসি। একাধিক বার বালঁ দ্যর, কোপার পাশাপাশি মেসি জিতেছেন বিশ্বকাপও।
দিয়েগো মারাদোনা (লেফ্ট ফরওয়ার্ড): আর্জেন্টিনা তো বটেই, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফরওয়ার্ডকে ছাড়া দল তৈরির কথা ভাবতে পারেনি চ্যাটজিপিটিও। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জিতিয়ে দিয়েছিলেন মারাদোনা। চ্যাটজিপিটির দলে তিনি লেফ্ট ফরওয়ার্ড।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (লেফ্ট ফরওয়ার্ড): দলে আরও এক জন লেফ্ট ফরওয়ার্ডকে রেখেছিল চ্যাটজিপিটি। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
জোহান ক্রুয়েফ (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার): আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসাবে দলে রয়েছেন টোটাল ফুটবলের জনক জোহান ক্রুয়েফ। ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনা, আয়াখসের হয়ে খেলা নেদারল্যান্ডসের এই প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার কোচ হিসাবেও সফল।
পেলে (স্ট্রাইকার): তাঁকে সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারের তকমা দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। ইউসেবিয়ো, ডে’স্টিফানো, রোনাল্ডোডের টপকে এই দলে জায়গা করে নিয়েছেন ব্রাজ়িলীয় তারকা।