Cruise

Cruise Ship: জাহাজের মধ্যে সিনেমা হল, ন’হাজার লোকের শোয়ার ঘর...! যাত্রা শুরুর আগেই কেন যাত্রা শেষ

আলোর মুখ দেখতে পেল না ‘গ্লোবাল ড্রিম ২’। যাত্রা শুরুর আগেই শেষ যাত্রা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২২ ১৬:৩৮
Share:
০১ ২০

জাহাজটি ৯০০০ লোক নিয়ে যেতে পারত। ২০ তলার জাহাজটিতে ছিল সিনেমা হল, ওয়াটার পার্ক এবং বিনোদনের সব রকম ব্যবস্থা।

০২ ২০

তবুও আলোর মুখ দেখল না ‘গ্লোবাল ড্রিম ২’। যাত্রা শুরুর আগেই সলিল সমাধি। যাত্রীরাও উপভোগ করতে পারলেন না জাহাজটির বিলাসিতা।

Advertisement
০৩ ২০

সমুদ্রের বদলে সেটির প্রথম যাত্রাপথ যন্ত্রপাতির ভাগাড়। বর্তমানে জার্মানির এক ডকে পড়ে থাকা বিশাল এই জাহাজটিকে নিতে কিন্তু ইচ্ছুক নন কেউই।

০৪ ২০

জাহাজটির ইঞ্জিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কাঠামোটিকে ছাঁট লোহার দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

০৫ ২০

‘এম ভি ওয়েরফতেন’ দ্বারা তৈরি জাহাজটির বহন ক্ষমতা অন্য যাত্রিবাহী জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। তবুও এই পরিণতি কেন ‘গ্লোবাল ড্রিম ২’-র?

০৬ ২০

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল জাহাজটির। কিন্তু তার আগেই বিশ্ব জুড়ে আঘাত হানে করোনা অতিমারি। বড় জাহাজের চাহিদা কমতে থাকে ক্রমশ। পর্যটন ব্যবসায় করোনার প্রভাব সর্বোচ্চ।

০৭ ২০

২০২২-র জানুয়ারিতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে জাহাজটির প্রস্তুতকারক ‘এম ভি ওয়েরফতেন’।

০৮ ২০

নিজেদের ডকটি তারা ‘থাইসেনক্রুপ’কে বিক্রি করে দিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ‘এম ভি ওয়েরফতেন’-কে ওই ডক খালি করে দিতে হবে।

০৯ ২০

থাইসেনক্রুপের নৌসেনা বিভাগ ওই ডকে সেনাবাহিনীর জন্য যন্ত্রপাতি, ডুবোজাহাজ তৈরি করবে ২০২৪ সাল থেকে।

১০ ২০

‘এম ভি ওয়েরফতেন’ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার পাশাপাশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা তুলতে চাইছে।

১১ ২০

জাহাজটির বাইরের অংশটি নানা রকম শিল্পকলাসমৃদ্ধ। সামনে সুন্দর চিত্রকলা রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক উড়ন্ত নভশ্চরকে এবং তাঁর পিছনে রয়েছে একটি উড়ন্ত রকেট।

১২ ২০

জাহাজটির সবচেয়ে ওপরে থাকার কথা ছিল একটি সুবিশাল সুইমিং পুল এবং থিম পার্ক। মাঝের অংশে থাকার কথা ছিল সর্বোৎকৃষ্ট সিনেমা হল।

১৩ ২০

২০ তলা জাহাজটিতে ৯০০০ যাত্রীকে ঠাঁই দেওয়ার জন্য সুসজ্জিত ঘরের ব্যবস্থা ছিল।

১৪ ২০

এশীয় বাজারের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল এই জাহাজটিকে। যদিও জাহাজটির আরও কিছু কাজ বাকি ছিল।

১৫ ২০

যদি ইউরোপ বা আমেরিকার বাজারে ব্যবহার করতে হত, সে ক্ষেত্রে জাহাজটিতে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল। খরচ আরও বাড়ত।

১৬ ২০

নাম শুনেই আন্দাজ করা যায়, ‘গ্লোবাল ড্রিম ২’-র এক বোনও রয়েছে। তার নাম ‘গ্লোবাল ড্রিম’। এই জাহাজটিকে নিয়ে এখনও কোনও চিন্তাভাবনা শুরু করেনি সংস্থা।

১৭ ২০

সব ঠিকঠাক থাকলে দুই বোন একসঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রিবাহী জাহাজের তকমা পেত। তাদের মিলিত ওজন হত দু’লক্ষ ৮ হাজার টন।

১৮ ২০

আয়তনের দিক থেকে তারা হত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম জাহাজ। প্রথম পাঁচে রয়েছে ‘রয়্যাল ক্যারিবায়ান’-এর পাঁচটি জাহাজ।

১৯ ২০

সরকারিভাবে ‘গ্লোবাল ড্রিম ২’-র দাম জানা যায়নি এখনও। আন্দাজ করা হচ্ছে, জাহাজের দাম দিয়ে সরকারের কাছে তাদের ঋণ শোধ করে দিতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা।

২০ ২০

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রিবাহী জাহাজ ‘অ্যাল্যুর অব দ্য সিজ’। এর যাত্রীবহন ক্ষমতা প্রায় সাত হাজার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement