ISRO

বিক্রম সারাভাই থেকে সোমনাথ, ইসরোর চেয়ারম্যান পদে বসেছেন ১০ জন, কী তাঁদের সাফল্যের খতিয়ান

বিক্রম সারাভাইয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল এই প্রতিষ্ঠান। সেই ইসরোর মাথায় এখন পর্যন্ত বসেছেন ১০ জন। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁদেরও নাম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৩২
Share:
০১ ২০

১৯৬২ সালে পথচলা শুরু। তার পর একের পর এক গবেষণা, অভিযান, সাফল্য। ব্যর্থতাও রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর ঝুলিতে। সেই ইসরোর মাথায় এখন পর্যন্ত বসেছেন ১০ জন। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁদেরও নাম।

০২ ২০

১৯৬২ সালে ভারত সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ (ইনকোসপার)। বিক্রম সারাভাইয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল এই প্রতিষ্ঠান। তাঁর পরামর্শেই তৈরি হয়েছিল ইনকোসপার।

Advertisement
০৩ ২০

১৯৬৯ সালের ১৫ অগস্ট ইনকোসপারকে বাতিল করে তৈরি হয় ইসরো। কেন্দ্রের অধীনে মহাকাশ বিভাগ (ডিওএস) তৈরি হয়। সেই মহাকাশ বিভাগের অধীনে আনা হয় ইসরোকে।

০৪ ২০

ইসরোর সদর দফতর বেঙ্গালুরুতে। তবে এর কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে। লঞ্চ ভেহিক‌্ল বা উৎক্ষেপণ যান তৈরি হয় তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে উপগ্রহের নকশা হয়। সেগুলি তৈরি করা হয় শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারে। সেখান থেকে উপগ্রহ পাঠানো হয় মহাকাশে।

০৫ ২০

ইসরোর প্রধান হলেন চেয়ারম্যান। তিনি কেন্দ্রীয় সচিবের পদ পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের মহাকাশ বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন তিনি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে রয়েছে এই বিভাগ।

০৬ ২০

১৯৬৩ সাল থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের শীর্ষপদে বসেছেন ১০ জন বিজ্ঞানী। বর্তমানে ইসরোর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন এস সোমনাথ।

০৭ ২০

১৯৬৩ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ইসরোর প্রধান পদে ছিলেন বিক্রম সারাভাই। তাঁকে দেশের মহাকাশ গবেষণার জনক বলা হয়। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সেরে ভারতে ফিরে ১৯৪৭ সালে আমদাবাদে ফিজ়িক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি তৈরি করেন সারাভাই।

০৮ ২০

সারাভাই আমদাবাদের কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে তৈরি করেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট। তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার, কালপক্কমে ফাস্টার ব্রিডার টেস্ট রিয়্যাকটর তৈরি করেছেন তিনি। অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

০৯ ২০

১৯৫৭ সালে রাশিয়া মহাকাশে স্পুৎনিক উপগ্রহ পাঠায়। তার পরেই সারাভাই ভারত সরকারকে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝান। শেষে সেই কাজে সফলও হন। ইসরো প্রতিষ্ঠায় তাঁর পাশে ছিলেন হোমি জহাঙ্গীর ভাবা, যাঁকে বলা হয় ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞান প্রকল্পের জনক।

১০ ২০

১৯৭২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন এমজিকে মেনন। মহাজাগতিক রশ্মি এবং কণা পদার্থবিদ্যায় কাজের জন্য আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি।

১১ ২০

১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সতীশ ধওয়ান। পোলার স্যাটেলাইন লঞ্চ ভেহিক্‌ল (পিএসএলভি) এবং জাতীয় উপগ্রহ (ইনস্যাট)-এর নকশা এবং উৎক্ষেপণে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর।

১২ ২০

সতীশের জন্ম শ্রীনগরে। পড়াশোনা ভারত এবং আমেরিকায়। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ভারতের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নাম তাঁর নামেই রাখা হয়।

১৩ ২০

সতীশের পর ইসরোর চেয়ারম্যানের পদে বসেন উদুপি রামচন্দ্র রাও। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে ভারতের প্রথম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’-এর নকশা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।

১৪ ২০

১৯৯৪ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কৃষ্ণস্বামী কস্তুরিরঙ্গন। পৃথিবীর উপর নজর রাখার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ভাস্কর-১ এবং ভাস্কর-২ তৈরি করেছিল ভারত। সেই প্রকল্পের ডিরেক্টর ছিলেন কস্তুরিরঙ্গন।

১৫ ২০

কস্তুরিরঙ্গন ইসরোর চেয়ারম্যান থাকার সময়ই পিএসএলভি এবি জিএসএলভি উৎক্ষেপণে সাফল্য পায় ভারত।

১৬ ২০

২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান ছিলেন জি মাধবন নায়ার। তিনি এই পদে থাকার সময় চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। মাধবন ছ’বছর চেয়ারম্যান পদে থাকার সময় ২৫টি সফল অভিযান করে ইসরো।

১৭ ২০

২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কে রাধাকৃষ্ণণ। তাঁর আমলে মঙ্গলযান পাঠায় ইসরো। এর আগে অন্য কোনও গ্রহে অভিযান করেনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

১৮ ২০

২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন এএস কিরণ কুমার। চন্দ্রযান-১ এবং মঙ্গলে অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কুমারের। তাঁর নজরদারিতেই ভারতের ন্যাশনাল রিজিয়োনাল নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি হয়েছে।

১৯ ২০

২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কে শিবান। তাঁর আমলেই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোর শুরু হয়েছে ভারতের। তাঁর তত্ত্বাবধানে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান-২। যদিও সেই অভিযান আংশিক ব্যর্থ হয়।

২০ ২০

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ইসরোর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এস সোমনাথ। মন্ত্রিসভার নিয়োগকারী কমিটি (এসিসি) তাঁকে নিয়োগ করে। তাঁর নেতৃত্বেই চাঁদের বুকে সফল ভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement