Simi Garewal

টাটা থেকে পটৌডি, ‘মেরা নাম জোকার-’এর অভিনেত্রীর জীবনে পুরুষের আনাগোনা

ইউটিউবে সিমি গারেওয়ালের নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তাঁর শো এবং ডকুমেন্টারির বিভিন্ন অংশ পোস্ট করেন অভিনেত্রী।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৩
Share:
০১ ২২

সিমি গারেওয়াল। বাংলা হোক বা হিন্দি, সত্তরের দশকে তথাকথিত সুন্দরী বলি অভিনেত্রীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। তবে, সিমি অধিক পরিচিত ছিলেন ‘দ্য লেডি ইন হোয়াইট’ নামে। সাদা রঙের পোশাকেই বেশি দেখা যেত বলে তাঁর এমন নাম।

ছবি: সংগৃহীত

০২ ২২

সঞ্চালক হিসাবে টক শোয়ে বলিপাড়ার বিভিন্ন তারকার ব্যক্তিগত জীবন খোলসা করেছেন সিমি। কিন্তু তাঁর জীবনেও পুরুষের আনাগোনা কম ছিল না। ভারতের উপরের সারিতে থাকা শিল্পপতি থেকে ক্রিকেটার— সকলের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছিল সিমির।

ছবি: সংগৃহীত

Advertisement
০৩ ২২

১৭ বছর বয়সে প্রথম প্রেমে পড়েন সিমি। গুজরাতের জামনগরের মহারাজার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, সিমি যখন ইংল্যান্ডে থাকতেন, তখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন এই মহারাজা। সেই সূত্রেই প্রথম আলাপ দু’জনের। সেই আলাপই প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি।

ছবি: সংগৃহীত

০৪ ২২

শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সিমি। জনসমক্ষে রতনকে নিয়ে প্রশংসাও করতেন অভিনেত্রী। রতন ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন, তা-ও ভাগ করতেন সিমি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বিদেশে থাকার সময় রতনকে যেমন চিন্তামুক্ত দেখায়, দেশে ফিরলে সে রকম থাকেন না তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

০৫ ২২

সিমি বলেছিলেন, ‘‘আমি আর রতন একসঙ্গে অনেকটা পথ হেঁটেছি। পুরুষ মানুষ হিসাবে ও নিখুঁত। ওর বোধও দুর্দান্ত। এত ভদ্র মানুষ খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। অর্থ ওকে কোনও দিনও চালনা করেনি।’’

ছবি: সংগৃহীত

০৬ ২২

তবে, রতন টাটার সঙ্গে সিমির সম্পর্কের মেয়াদ টেকেনি। ১৯৭০ সালে রবি মোহনকে বিয়ে করেন ‘মেরা নাম জোকার-’এর অভিনেত্রী। বিয়ের আগে তিন মাস ‘লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ’-এ থাকার পর ২৭ বছর বয়সে রবির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক যে বেশি দিন টিকবে না, তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন সিমি।

ছবি: সংগৃহীত

০৭ ২২

পুরনো এক সাক্ষাৎকারে সিমি বলেছিলেন, ‘‘দিল্লির এক অভিজাত পরিবারের সদস্য ছিলেন রবি। ওর সঙ্গে আমার চিন্তাধারার কোনও মিল ছিল না। বিয়ের পর মহিলারা বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি করবেন, তা মেনে নিতে পারতেন না রবি।’’

ছবি: সংগৃহীত

০৮ ২২

রবির সঙ্গে বিয়ে করার পর তাঁদের সম্পর্কে আর ভালবাসা বেঁচে ছিল না বলে দাবি সিমির। ৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিমি এবং রবির। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান সিমি।

ছবি: সংগৃহীত

০৯ ২২

বিবাহবিচ্ছেদের পর ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পটৌডির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সিমি। দীর্ঘ দিন মনসুরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁদের দু’জনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে চলে আসেন শর্মিলা ঠাকুর।

ছবি: সংগৃহীত

১০ ২২

বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, শর্মিলার সঙ্গে মনসুরের পরিচয়ের পর সিমির কাছ থেকে মন সরে যেতে থাকে খেলোয়াড়ের।

ছবি: সংগৃহীত

১১ ২২

পরে শর্মিলার দিকেই ঝুঁকে পড়েন মনসুর। সিমির সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর শর্মিলার সঙ্গে সম্পর্কে আসেন মনসুর। পরে শর্মিলা এবং মনসুর গাঁটছড়া বাঁধেন।

ছবি: সংগৃহীত

১২ ২২

বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, ১৯৮০ সাল নাগাদ পাকিস্তানি শিল্পপতি সলমন তসীরের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সিমি। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের সুতো মজবুত ছিল না। তবে এই ঘটনা কতটা সত্য তা নিয়ে সন্দেহও রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

১৩ ২২

কিশোরীজীবন থেকেই ফিল্ম জগতের সঙ্গে পরিচয় সিমির। ছবি-নির্মাতা যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলার তুতো বোন হন সিমি। ১৯৪৭ সালের ১৭ অক্টোবর দিল্লিতে জন্ম সিমির।

ছবি: সংগৃহীত

১৪ ২২

সিমির বাবা ভারতীয় সেনায় নিযুক্ত ছিলেন। দিল্লিতে জন্ম হলেও সিমির বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। সেখানকার নিউল্যান্ড হাউস স্কুলে পড়াশোনাও করেছেন। শৈশবের বেশির ভাগ সময় ইংল্যান্ডে থাকার পর ভারতে ফিরে আসেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

১৫ ২২

দীর্ঘ দিন ইংল্যান্ডে থাকার সুবাদে ইংরেজি ভাষায় ছোট থেকেই দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন সিমি। ইংরেজি ভাষায় স্পষ্ট উচ্চারণ করতে পারেন বলে ১৯৬২ সালে তাঁকে ছবিতে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৫ বছর বয়সে ফিল্ম জগতে পা রাখেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

১৬ ২২

১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টারজান গোস টু ইন্ডিয়া’ ছবিতে ফেরোজ় খানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় সিমিকে। তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে যান বলিপাড়ার ছবি নির্মাতারা। ১৫ বছর বয়সেই বিকিনি পোশাকে দেখা দিয়েছিল সিমিকে। এর পর আর সিমিকে কেরিয়ারে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ছবি: সংগৃহীত

১৭ ২২

মেহবুব খান, রাজ কপূর, শম্মি কপূর, রাজেশ খন্না, হেমা মালিনী, বৈজয়ন্তীমালার মতো বলি তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন সিমি। তবে, পোশাক নিয়ে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ছবিতে কখনও মিনি স্কার্ট পরে, কখনও বা বিকিনিতে দেখা যেত সিমিকে।

ছবি: সংগৃহীত

১৮ ২২

হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সিমিকে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং মৃণাল সেনের ‘পদাতিক’-এও কাজ করেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

১৯ ২২

১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সিদ্ধার্থ’ ছবিতে শশী কপূরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সিমি। এই ছবিতে একটি নগ্ন দৃশ্যে সিমিকে অভিনয় করতে দেখা দিয়েছিল। এই দৃশ্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড।

ছবি: সংগৃহীত

২০ ২২

পরে ‘সিদ্ধার্থ’ ছবি থেকে কয়েকটি দৃশ্য ছেঁটে বাদ দেওয়ার পর বাছাই করা প্রদর্শনীতে এই ছবি দেখানো হয়। এর পর ‘কভি কভি’, ‘চলতে চলতে’, ‘কর্জ়’-এর মতো বহু হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সিমি। ‘উড়ীকান’ নামে পঞ্জাবি ভাষার একটি ছবিতেও কাজ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

ছবি: সংগৃহীত

২১ ২২

১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি এবং প্রযোজনার দিকে আগ্রহ তৈরি হতে থাকে সিমির। নিজস্ব একটি প্রযোজনা সংস্থাও খুলে ফেলেন তিনি। রাজ কপূর এবং রাজীব গান্ধীর উপর ডকুমেন্টারিও বানিয়েছেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

২২ ২২

পরে টেলি‌ভিশনের বিভিন্ন টক শোয়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ধরা দিতে শুরু করলেন সিমি। নিজের নামে একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে তাঁর। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সিমি তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। শুধু তা-ই নয়, ইউটিউবেও সিমির নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তাঁর শো এবং ডকুমেন্টারির বিভিন্ন অংশ পোস্ট করেন অভিনেত্রী।

ছবি: সংগৃহীত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement