Bollywood

Bollywood: এককালে বিপুল রোজগার হলেও শেষ জীবনে নিঃস্ব! বাস্তবেও ট্র্যাজেডিতে ভরা মীনা কুমারীদের জীবন

এককালে দু’হাতে টাকা ওড়ালেও শেষজীবনে কড়িহীন হয়ে পড়েন বলি‌উডের বহু তারকা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২ ১৩:৪৮
Share:
০১ ১৫

সিনেমার পর্দায় ঝাঁ-চকচকে দুনিয়ার মতোই এককালে সদারঙিন ছিল তাঁদের জীবন। তবে পরিচালকের ‘কাট’ বলার সঙ্গে সঙ্গে যেমন বাস্তবে ফিরে আসেন অভিনেতারা, তেমনই এক লহমায় বদলে গিয়েছিল বহু বলি‌উড তারকার শেষজীবন। এককালে দু’হাতে টাকা ওড়ালেও শেষজীবনে তাঁরাই কড়িহীন হয়ে পড়েন। অনেকের তো হাসপাতালের বিল মেটানোরও সামর্থ ছিল না। অনেকে আবার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৫

‘ইতনা সন্নাটা কিঁউ হ্যায় ভাই?’ রহিম চাচার এ প্রশ্ন আজও ঘোরাফেরা করে বহু দর্শকের মুখে মুখে। ‘শোলে’-তে সেই সংলাপকে অমরত্ব দিয়েছিলেন একে হাঙ্গল। এককালে হিন্দি সিনেমায় নায়ক-নায়িকার বাবা অথবা স্নেহশীল অভিভাবকের চরিত্র যাঁকে ছাড়া অকল্পনীয় ছিল। তবে শেষজীবনে নিঃসঙ্গ, কপর্দকহীন ভাবে কেটেছে এই প্রবীণ অভিনেতার।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৫

স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে মঞ্চাভিনেতা— এককালে বলিউডের অভিভাবকতুল্য হাঙ্গলকে সিনেমায় পর্দায় প্রথম বার দেখা গিয়েছিল ৫২ বছর বয়সে। তার পর থেকে পাঁচ দশকে কমপক্ষে ২২৫টি ছবিতে অভিনয়। ‘শোলে’ ছাড়াও ‘নমক হারাম’, ‘হীর রঞ্ঝা’, ‘কোরা কাগজ’, ‘বাওর্চি’, ‘চিতচোর’, ‘গুড্ডি’ বা ‘লগান’— ৯২ বছরের হাঙ্গলের কেরিয়ারকে উজ্জ্বল করেছে। তবে ২০১২ সালে মৃত্যুর সময় তিনি নিঃস্ব। হাসপাতালের বিল মেটাতেও পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৫

হাঙ্গলের মতোই তাঁর চরিত্রও যেন বাঁধা ছিল। এককালে নায়ক-নায়িকার মা বা ঠাকুরমার চরিত্রে অচলা সচদেবই থাকতেন। ১৩০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তবে ১৯৬৫ সালে বলরাজ সাইনির সঙ্গে জুটিতে ‘ওয়াক্ত’ বা হালের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’-তে অনেকেই অচলাকে ভুলতে পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৫

দেশভাগের আগে লাহৌরের বাসিন্দা ছিলেন অচলা। সেখানে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে কাজ করতেন তিনি। স্বাধীনতার পর দিল্লিতে এসে সে কাজই চালিয়ে যান। হিন্দি সিনেমা থেকে সরে যাওয়ার পর পুণের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তবে ২০১১ সালে মৃত্যুর পাঁচ বছর আগে ওই ফ্ল্যাটটি দান করেন একটি সংগঠনকে। শর্ত ছিল, আমৃত্যু তাঁর দেখাশোনা করবে তারা। শেষবয়সে কিচেনে পড়ে গিয়েছে পা ভেঙে যায় তাঁর। পরের বছর ৯১ বছর বয়সে মারা যান অচলা। সে সময় পক্ষাঘাতগ্রস্থ, দৃষ্টিহীন এবং নিঃস্ব অচলাকে দেখাশোনার করার কেউ ছিল না।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৫

পেশাদারি জীবনের তুঙ্গে থাকাকালীন তৎকালীন বম্বের গভর্নরের থেকেও নাকি বেশি রোজগার ছিল রুবি মায়ার্সের। সিনেমার পর্দায় যিনি সুলোচনা নামেই পরিচিত। টেলিফোন অপারেটর হিসাবে কাজ করতে করতে বলিউডে প্রবেশ। তিরিশের দশকে নির্বাক যুগের হিন্দি সিনেমায় রাজত্ব করেছেন সুলোচনা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৫

নির্বাক যুগের সেই উজ্জ্বল তারকার শেষজীবন একেবারেই সচ্ছল ছিল না। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত এই অভিনেতা। মুম্বইয়ের যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, তার ভাড়া মেটানোর টাকাও ছিল না সুলোচনার।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৫

চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে নায়িকায় ভূমিকায় নিয়মিত ছিলেন নলিনী জয়ন্ত। ১৯৪১ সালের ‘বহেন’ ছবিতে তাঁর কাজ অনেকেই মনে রেখেছেন। নূতন, তনুজার মা শোভনা সমর্থের তুতো বোনের ব্যক্তিগত জীবন প্রায় পর্দায় ঢাকাই ছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৫

শেষজীবনে একলাই কেটেছে নলিনীর। ১৯৪৫ সালে পরিচালক বীরেন্দ্র দেশাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তবে তা মাত্র বছর তিনেক টিকেছিল। এর পর ১৯৬০ সালে অভিনেতা প্রভু দয়ালের সঙ্গে সংসার পাতেন। ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর চেম্বুরে মারা যান তিনি। যদিও মৃত্যুর পর তিন দিন ওই বাংলোতেই পড়েছিল ৮৪ বছরের বৃদ্ধা নলিনীর দেহ। পড়শিরা জানিয়েছিলেন, ২০০১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর মেলামেশা বন্ধ করে দেন নলিনী। আর্থিক দিক থেকেও দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৫

‘শোলা যো ভড়কে’ গানটি মনে পড়ে? আজও সাদা-কালো ছবিতে নাচগানের প্রসঙ্গ উঠলে চলে আসে ‘আলবেলা’-র সেই গানটির কথা। বলিউডি নাচে নিজস্ব স্টাইল এনেছিলেন ভগবান আভাজি পলব থুড়ি ভগবানদাদা। সিনেমার পর্দায় নাচের স্টেপ করতে গিয়ে ভগবানদাদাকেই অনুকরণ করতেন অমিতাভ বচ্চন থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকা।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৫

এককালে জুহুতে ২৫টি ঘরের বাংলো ছিল ভগবানদাদার। গ্যারাজে ছিল সাতটি গাড়ি। সপ্তাহের প্রতি দিনের জন্য একটি করে গাড়ি। তবে পরের পর ফ্লপ সিনেমার জেরে সে সবই হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। শেষ বয়সে দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। বাংলো থেকে মুম্বইয়ের বস্তিতে গিয়ে উঠতে হয়। ২০০২ সালে সেখানেই মারা যান ৮৮ বছরের শিল্পী।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৫

এককালে বলিউডি পর্দায় ভরত ভূষণের সঙ্গে মীনা কুমারী, মধুবালা বা নূতনের জুটি বেশ জমে গিয়েছিল। ভরত ভূষণের ‘বৈজু বাওরা’ বা ‘চিত্রলেখা’-কে ধ্রুপদী হিন্দি ছবির তালিকায় রাখেন অনেকেই।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৫

পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু। জীবনের শেষ দিকে নব্বইয়ের দশকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এককালে বলিউডের সবচেয়ে বেশি রোজগেরে অভিনেতা ছিলেন ভরত ভূষণ। তবে তাঁর প্রযোজনা সংস্থায় বিপুল লোকসানের ধাক্কায় সামলাতে পারেননি। ১৯৯২ সালে মারা যান ভরত ভূষণ। সে সময় তিনি পুরোপুরি নিঃস্ব।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৫

বলিউডের পর্দায় তিনি ‘ট্র্যাজেডি কুইন’। ব্যক্তিজীবনেও তাঁকে অনায়াসে ওই তকমা দেওয়া যায়। অনেকেই হিন্দি সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেতা বলে মনে করেন মীনা কুমারীকে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৫

১৯৩৯ সাল থেকে ’৭২— দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে রুপোলি পর্দা জুড়ে ছিলেন মীনা কুমারী। তবে তার বাইরে মীনা কুমারীর জীবন ফিকে হতে শুরু করেছিল। অবসাদ, মদ্যপানের আসক্তির সঙ্গে ছিল দেনার দায়। মাত্র ৩৮ বয়সে মারা যান। সে সময় ঋণের পাহাড়ে ডুবেছিলেন মীনা কুমারী।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement