৭ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তামিল পরিচালক অ্যাটলি। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে ছবিনির্মাতাদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে অ্যাটলির নাম। কানাঘুষো শোনা যায়, ‘জওয়ান’ ছবির জন্য কম পারিশ্রমিক নিয়েছেন অ্যাটলি।
সাধারণত একটি ছবি পরিচালনা করতে ৫২ কোটি টাকা নেন অ্যাটলি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জওয়ান’ ছবি থেকে ৩০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন অ্যাটলি।
‘গোলমাল’, ‘সিঙঘম’, ‘সিম্বা’, ‘সূর্যবংশী’র মতো একাধিক হিন্দি ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রোহিত শেট্টি। ছবিপ্রতি ১৮ থেকে ২৫ কোটি টাকা উপার্জন করেন রোহিত।
চলতি বছরে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী বলি পরিচালকদের তালিকায় শীর্ষে নাম লিখিয়েছেন রাজকুমার হিরানি। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’, ‘সঞ্জু’র মতো হিট ছবি রয়েছে রাজকুমারের কেরিয়ারের তালিকায়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এক একটি ছবি পরিচালনা করে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন রাজকুমার।
রাজকুমারের পর উপার্জনের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবত’, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র মতো একাধিক হিট ছবি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয়।
ছবিপিছু ৫০ থেকে ৫৫ কোটি টাকা উপার্জন করেন সঞ্জয়।
‘এক থা টাইগার’, ‘টিউবলাইট’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘৮৩’-র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন কবীর খান। ছবিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা উপার্জন করেন
২৬ বছর বয়সে বলিপাড়ায় পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন অয়ন মুখোপাধ্যায়। ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান— শিবা’র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এক একটি ছবি পরিচালনা করতে ১০ থেকে ৩০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক আদায় করেন অয়ন।
চলতি বছরে ‘পাঠান’ ছবি পরিচালনা করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছন সিদ্ধার্থ আনন্দ। ‘ওয়ার’ এবং ‘অনজানা অনজানি’র মতো ছবিও পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ।
পরিচালনার জন্য ছবিপিছু ৭৫ থেকে ৮০ কোটি টাকা উপার্জন করেন সিদ্ধার্থ।
‘জব উই মেট’, ‘রকস্টার’, ‘তামাশা’ এবং ‘হাইওয়ে’র মতো ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইমতিয়াজ আলি। ছবিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা উপার্জন করেন তিনি।
বলিপাড়ার সর্বোচ্চ উপার্জনকারী পরিচালকদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’, ‘মনমরজিয়া’, ‘দোবারা’র মতো হিন্দি ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, একটি ছবি পরিচালনা করতে ১১ থেকে ১৫ কোটি টাকা উপার্জন করেন অনুরাগ।
‘আ ওয়েডনেসডে’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনার জগতে পা রাখেন নীরজ পান্ডে। ‘বেবি’, ‘স্পেশ্যাল ২৬’, ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
একটি ছবি পরিচালনা করতে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা উপার্জন করেন নীরজ।
‘বরফি’ ছবি পরিচালনা করে বলিপাড়ায় নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন অনুরাগ বসু। ‘জগ্গা জাসুস’, ‘লুডো’ এবং ‘মার্ডার’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, এক একটি ছবি পরিচালনা করতে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি।
‘হেট স্টোরি’, ‘দ্য তাসখন্দ ফাইল্স’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবিপিছু ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা উপার্জন করেন বিবেক।