একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন আট ভারতীয় নৌ সৈনিক। দেশে ফিরেই ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কাতারের এই ঘটনাকে কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখছে বিদেশ মন্ত্রকও।
কাতারের আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল আট জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ ছিল গুরুতর। সেই নির্দেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলেছে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই আট জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তি পেয়ে সাত জন ইতিমধ্যে দেশে ফিরেও এসেছেন। কাতারের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা।
সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘‘কাতারের সংস্থায় কর্মরত আট প্রাক্তন নৌ সেনা আধিকারিককে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। ওঁদের মধ্যে সাত জন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন।’’
গত ডিসেম্বরে ভারতীয় নৌ সৈনিকদের মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছিল কাতারের আদালত। সাজা কমিয়ে তাঁদের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ভারত সরকারের তরফে কাতারের আদালতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তার পরেই ওই আধিকারিকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় কাতার।
মুক্তি পেয়ে সাত জন দিল্লি ফিরেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আজ আমাদের পক্ষে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হত না। ভারত সরকারের ক্রমাগত চেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’’
কাতারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ওই আট অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা হলেন, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিংহ গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ।
২০২২ সালের অগস্ট মাসে এই আট জন আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা।
তাঁরা কাতারের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলে চরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল।