সলমন খানের প্রেমজীবন বলিপাড়ায় একটি চর্চার বিষয়। ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চললেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সঙ্গীতা বিজলানিও।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন সঙ্গীতা। সেই সূত্রে তাঁর আলাপ হয় সলমনের সঙ্গে। সলমনের সঙ্গে সঙ্গীতার বন্ধুত্ব ক্রমে বাড়তে থাকে। ১৯৮৬ সালে সম্পর্কে আসেন তাঁরা।
টানা আট বছর সম্পর্কে ছিলেন সলমন এবং সঙ্গীতা। দুই পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের বিয়েতে মত দিয়ে ফেলেছিলেন। বিয়ের দিনক্ষণও পাকা হয়ে গিয়েছিল।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এই সময় পাকিস্তানি অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সলমন। এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিয়ে ভেঙে দেন সঙ্গীতা।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, বলি অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সঙ্গীতা। সেই সময়ে জ্যাকির সঙ্গে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে।
জ্যাকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ফোটোশুটও করেছিলেন সঙ্গীতা। জ্যাকির সঙ্গে সঙ্গীতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে নাকি অস্বস্তিতে ভুগতেন সলমন।
সঙ্গীতা নাকি সলমনের সঙ্গে জ্যাকির তুলনা করতেও ছাড়েননি। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘পুরুষ হিসাবে সলমনের চেয়ে জ্যাকি ঢের ভাল।’’
সঙ্গীতা বলেন, ‘‘জ্যাকি পুরুষ। কিন্তু সলমন নয়।’’ প্রাক্তন প্রেমিকার মুখে এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান সলমন। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেতা।
বরং জ্যাকির সঙ্গে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেন সলমন। কিন্তু সঙ্গীতার সঙ্গে জ্যাকির সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি।
জ্যাকির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মহম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ে সঙ্গীতার। ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক আজহারের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
দু’বছর সম্পর্কে থাকার পর আজহারকে বিয়ে করেন সঙ্গীতা। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ে হয় তাঁদের।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জোয়ালা গাট্টার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আজহার। সেই কারণে ১৪ বছর সংসার করার পর বিয়ে ভেঙে যায় দু’জনের।
২০১০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সঙ্গীতার। তবে, সলমনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্কে এখনও চিড় ধরেনি। সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে সঙ্গীতা বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানেই তাঁর উপর রাগ বা অভিমান করে থাকার কোনও মানে হয় না। এমন একটা সময় ছিল, যখন আমি খুব বোকা ছিলাম। শিশুর মতো ছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমিও পরিণত হয়েছি। জীবন যে অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ, তা বুঝতে শিখেছি।’’
সলমনের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে অভিনেতার বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতা। তিনি যখন অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছিলেন, সেই সময় তাঁকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু এঁকে দিয়েছিলেন সলমন। এই দৃশ্য পাপারাৎজিদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ায় আবার বলিপাড়ায় তাঁদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু তাতে কান দেননি সলমন।
এখন অবশ্য অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন সঙ্গীতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছে বহু প্রস্তাব এলেও তিনি সব খারিজ করে দিয়েছেন। অভিনয়ে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেননি তিনি।