কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ জোয়ারে ভাসছে গোটা দুনিয়া। কিন্তু এই বিশ্বকাপ সবচেয়ে বেশি ‘মিস’ করবে ফুটবলের ‘গ্ল্যামারাস’ ভক্তকে।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। ফুটবলের সেই ‘গ্ল্যামারাস’ অনুরাগী হলেন নাতালিয়া নেমচিনোভা।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়া এবং সৌদি আরবের সঙ্গে খেলায় গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন এই রাশিয়ান তরুণী। নাতালিয়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব।
বিশ্বকাপে রাশিয়ার প্রথম ম্যাচে ভাইরাল হওয়ার পর নাতালিয়াকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়।
মিশরের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচে ফের নাতালিয়াকে দেখা যায়। ওই ম্যাচেই তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে আসে।
২০১৮-র বিশ্বকাপে সাদা টিশার্ট, মাথায় মুকুট এবং হাতে রাশিয়ার পতাকা ধরা নাতালিয়া ‘হটেস্ট ফুটবল ফ্যান’-এর তকমা পেয়েছিলেন।
নাতালিয়া পেশায় এক জন পর্ন তারকা। ২০১৬ সালে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেন তিনি। নাতালিয়া এক জন মডেলও।
শুধু ২০১৮-র বিশ্বকাপই নয়, ২০১৬ সালের ইউরো কাপেও ফ্রান্সে নাতালিয়াকে দেশের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল।
এক সাক্ষাৎকারে নাতালিয়া বলেন, “২০১২ সালের ইউরোর পর ফুটবল খেলাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। খেলা দেখতে পোল্যান্ডে ছুটে গিয়েছিলাম।”
২০১২-র ইউরোই নয়, ২০১৪-র ব্রাজিল বিশ্বকাপ দেখতেও গিয়েছিলেন ফুটবলের এই ‘হটেস্ট ফ্যান’।
কিন্তু সেই নাতালিয়াই এ বার কাতার বিশ্বকাপে ব্রাত্য। বলা ভাল, নাতালিয়ার দেশ বিশ্বকাপ খেলতে না পারায়, ফুটবল বিশ্বও তাঁকে মিস করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর ঘটনার প্রভাব পড়েছে সে দেশের খেলার উপরেও। ফিফা এবং উয়েফা রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল এবং সে দেশের সমস্ত ক্লাবকে সাসপেন্ড করেছে। বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়া বাদ পড়ে যাওয়ায় তাই নাতালিয়ার সৌন্দর্য থেকেও ব্রাত্য থাকতে হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকে।
নিজেক পর্নস্টার বলতে চান না নাতালিয়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “একটি ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সে আমার একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো ইন্টারনেটে আপলোড করে। আমি কখনও পর্ন তারকা ছিলাম না। কখনও টাকার জন্য নিজের শরীর বিক্রি করিনি। আমি অল্প সময়ের জন্য মডেলিং করেছি।”