রঞ্জি শেষ হতে এখনও বাকি আছে। তার আগেই অবসর নিলেন পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার। চার রাজ্যের এই পাঁচ ক্রিকেটার কারা?
বাংলা থেকে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পালা ছিল মনোজ তিওয়ারির। মনোজের মতো আরও চার জন অবসর নিলেন চলতি মরসুমে। বেশ কিছু দল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ যাওয়াতেই রঞ্জি চলাকালীন এমন সিদ্ধান্ত তাঁদের।
এ বারের রঞ্জির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলা। সেই দলের অধিনায়ক মনোজ অবসর নিলেন ক্রিকেট থেকে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজারের বেশি রান করা মনোজ বাংলার ব্যাটিংয়ে অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন। ভারতের হয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
শতরানও করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে। তাঁর অবসর অবশ্যই বাংলার জন্য মিডল অর্ডারে ফাঁক তৈরি করবে। আগামী মরসুমে মনোজের অভাব কী ভাবে বাংলা ঢাকবে, সেই দিকে নজর থাকবে সকলের।
শুধু মনোজ নন, অবসর নিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের সৌরভ তিওয়ারিও। প্রথমে বিহার এবং পরে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮০৭৬ রান করেছেন।
ভারতের হয়ে তিনটি এক দিনের ম্যাচও খেলেছিলেন সৌরভ। তবে সাফল্য পাননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যদিও তিনি সাবলীল ছিলেন। ঝাড়খণ্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রচুর ম্যাচও জিতিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার।
শুধু সৌরভ নন, ঝাড়খণ্ডের বরুণ অ্যারনও অবসর নিয়েছেন। ভারতের হয়ে ন’টি টেস্ট খেলা এই পেসার ঝাড়খণ্ডের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ভারতের হয়ে ন’টি এক দিনের ম্যাচও খেলেছিলেন বরুণ। ২৯টি আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়া ঝাড়খণ্ড পেসার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন ১৭৩টি উইকেট।
এই দু’জনও ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এই মরসুমের রঞ্জি খেলে। বাংলার মতো ঝাড়খণ্ডও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে।
মনোজ, সৌরভ এবং বরুণের রঞ্জি পর্ব শেষ হলেও অবসর ঘোষণা করে দেওয়া ধবল কুলকর্নি এবং ফৈয়জ ফজল এখনও নক আউটে খেলার সুযোগ পাবেন।
মুম্বইয়ের পেসার কুলকর্নি ভারতের হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন। মুম্বইয়ের পেসার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৮১টি উইকেট নিয়েছেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২২৩টি উইকেট নেন কুলকর্নি।
বিদর্ভের রঞ্জিজয়ী অধিনায়ক ফৈয়জও নক আউটে খেলার সুযোগ পাবেন। ভারতের হয়ে একটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
সেই ম্যাচে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ফৈয়জ। কিন্তু পরে আর সুযোগ আসেনি ভারতের হয়ে খেলার।
এই দুই ক্রিকেটার অবসর ঘোষণা করলেও এখনও কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন।
অবসর নেওয়া এই পাঁচ ক্রিকেটার কখনও না কখনও ভারতের হয়ে খেলেছেন। তবে এখন আর জাতীয় নির্বাচকদের নজরে নেই। আইপিএলেও সুযোগ পান না তাঁরা।
এমন অবস্থায় খেলা ছেড়ে তরুণদের সুযোগ দেওয়াই ভাল বলে মনে করছেন ঝাড়খণ্ডের সৌরভ।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যদি জাতীয় দলে জায়গা করতে না পারি, আইপিএলে সুযোগ না পাই, তা হলে প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারদের জায়গা ছেড়ে দেওয়াই ভাল।”