জুরাসিক পার্ক। অনেকের শৈশবের স্মৃতির সঙ্গে মিশে রয়েছে এই সিনেমা। ডাইনোসরের সঙ্গে অনেকেরই ‘প্রথম পরিচয়’ এই সিনেমার মাধ্যমে।
সেই জুরাসিক পার্কের সবথেকে ভয়ঙ্কর ডাইনোসর টি-রেক্স। পর্দার ওপারে যে ডাইনোসরকে দেখে ভয় লাগে, বাস্তবের টি-রেক্সও ছিল ততটাই ভয়ানক। তবে, এই ডাইনোসরকেও টেক্কা দেওয়ার মতো এক সামুদ্রিক দানব ছিল।
সমুদ্রের এমনই এক ভয়ঙ্কর দানবের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৬ সালে ইউরোপ ও সুমেরু অঞ্চলের মধ্যবর্তী এলাকায় এমনই এক জন্তুর দু’টি খুলির খোঁজ মেলে।
পরে ওই এলাকা থেকে আরও জীবাশ্মের সন্ধান পান তাঁরা। গবেষণা চলাকালীন বিজ্ঞানীরা এই অজানা জন্তুর নাম দেন ‘প্রিডেটর এক্স’।
প্রত্নতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানীরা এত বড় সরীসৃপের অস্তিত্ব ছিল ভেবেই চমকে যান। পরীক্ষা করে জানা যায়, এটি জুরাসিক যুগের প্রাণী।
পরে বিজ্ঞানীরা ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সরীসৃপের নাম বদল করে রাখেন ‘পিলোসরাস ফাঙ্কেই’।
এর ওজন ৪৫ টনের কাছাকাছি (আনুমানিক ৪০,৮২৩ কিলোগ্রাম)। সমুদ্রের তলায় শিকারিদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ছিল এই পিলোসরাস।
এর খুলির ওজন টি-রেক্সের খুলির ওজনের দ্বিগুণ। দেহের আকার অনেকটা টিকটিকির মতো। ধারালো দাঁতবিশিষ্ট এই সরীসৃপের গলার দৈর্ঘ্য অনেকটাই লম্বা।
এই সরীসৃপের এক বিশেষ নাসিকাগ্রন্থি রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, শিকারের গায়ের গন্ধ অনুসরণ করে শিকার খুঁজে বার করত তারা। খুব সন্তর্পণে শিকার করত এই ‘প্রিডেটর’।
সমগোত্রীয় ডাইনোসর প্রজাতির সঙ্গে এর গতিবেগের তুলনা করলে জানা যায়, ক্যামেরাসোরাসের চেয়ে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ মিটার দূরত্ব বেশি অতিক্রম করে এই ভয়ঙ্কর সরীসৃপ।