FIFA World Cup Qatar 2022

অভিজ্ঞ দেশঁ, না উদ্যমী স্কালোনি? মেসি-এমবাপের সঙ্গে লড়াইয়ে দুই ‘হেডস্যর’ও

১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে মেসি-এমবাপের পাশাপাশি মুখোমুখি হতে চলেছেন স্কালোনি-দেশঁও। তবে তাঁরা মাঠের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে ভিড়বেন না। তাঁদের লড়াই মাঠের বাইরে। তাঁদের লড়াই মস্তিষ্কের।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:২২
Share:
০১ ২০

কথায় বলে, ফুটবল হল কোচের মস্তিষ্কের খেলা— এই খেলায় কোচই সব। তিনি ঠিক করেন স্ট্র্যাটেজি। ঠিক করেন কোন ফুটবলার কোথায় খেলবেন, কে খেলবেন, কে বসবেন। যতই লড়িয়ে দেওয়া হোক মেসি বনাম এমবাপেকে কিংবা আলভারেজ় বনাম গ্রিজ়ম্যানকে, বিশ্বকাপ ফাইনালের মহারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দুই ‘হেডস্যার’— লিয়োনেল স্কালোনি এবং দিদিয়ের দেশঁর।

ফাইল চিত্র।

০২ ২০

লিয়োনেল স্কালোনি এবং দিদিয়ের দেশঁ— দু’জনেই এক সময় নিজের দেশের হয়ে চুটিয়ে খেলেছেন। পরে দু’জনেই আবার দেশের ফুটবল ভবিষ্যৎ সামলানোর ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

ফাইল চিত্র।

Advertisement
০৩ ২০

রাইট ব্যাক বা রাইট মিডফিল্ডার হিসাবে খেলতেন স্কালোনি। জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন স্পেনের দেপোর্তিভো লা করুনা ক্লাবের হয়ে খেলে।

ফাইল চিত্র।

০৪ ২০

অন্য দিকে, দেশের হয়ে মাঠে নামার পাশাপাশি ফ্রান্সের তিনটি ক্লাব, ইতালির জুভেন্টাস, ইংল্যান্ডের চেলসি ও স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া দলের হয়ে মাঝমাঠ সামলেছেন দেশঁ। খেলতেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে।

ফাইল চিত্র।

০৫ ২০

স্কালোনির তুলনায় দেশঁর অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী। ৫৪ বছরের দেশঁ বেশ কয়েক বছর ফ্রান্সের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁর অধিনায়ক থাকাকালীন ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরো কাপ জিতেছিল ফ্রান্স।

ফাইল চিত্র।

০৬ ২০

কোচ হিসাবেও দেশঁ বেশ সফল। কোচিংয়ে কর্মজীবন শুরু মোনাকো ক্লাবে। দেশঁ ২০০৩ সালে মোনাকো ক্লাবকে ‘কুপ দা লা লিগ’ জেতান এবং ২০০৪-এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নিয়ে যান।

ফাইল চিত্র।

০৭ ২০

২০০৬ থেকে ২০০৭-এর মরসুমে তিনি জুভেন্টাসকেও অনেক ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেন। ২০০৪ সালে তিনি লিগ ওয়ানের বর্ষসেরা কোচ হন।

ফাইল চিত্র।

০৮ ২০

পরে তিনি নিজের খেলা আরও এক ক্লাব মার্সেইয়ের কোচ হিসাবে যোগ দেন। ২০০৯-১০ মরসুমে ‘লিগ ওয়ান’ শিরোপা জেতে এই দল। ২০১০ থেকে টানা তিন বছর সেই ক্লাবকে ‘কুপ দ্য লা লিগ’-এর শিরোপা জিততে সাহায্য করেন।

ফাইল চিত্র।

০৯ ২০

২০১২ সালের ৮ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দলের কোচ হন দেশঁ। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৪-র বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২০১৬ সালে ইউরোর ফাইনাল খেলে ফ্রান্স।

ফাইল চিত্র।

১০ ২০

২০১৮ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চে আবার ফ্রান্সের তরুণ দলকে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন দেশঁ। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সে বছরের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।

ফাইল চিত্র।

১১ ২০

মারিও জাগালো ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের পর তিনিই তৃতীয় ফুটবলার যাঁর খেলোয়াড় এবং কোচ, উভয় ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে। পাশাপাশি তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি অধিনায়ক ও কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ জয় করেন। প্রথম জন হলেন বেকেনবাউয়ার।

ফাইল চিত্র।

১২ ২০

অন্য দিকে, আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনির বয়স এবং অভিজ্ঞতা দেশঁর থেকে কম হলেও তাঁর উদ্যমে এক ফোঁটা খামতি নেই।

ফাইল চিত্র।

১৩ ২০

২০১৬-এর ১১ অক্টোবর সেভিয়া এফসি-তে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির দলের সহকারী হয়ে যোগ দেন স্কালোনি। ২০১৭-র জুনে সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার কোচ নিযুক্ত হলে স্কালোনিকে আবার তাঁর সহকারী হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

ফাইল চিত্র।

১৪ ২০

রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ব্যর্থতার পর স্কালোনি এবং পাবলো আইমারকে বছরের শেষ পর্যন্ত সাময়িক কোচের জায়গা দেওয়া হয়।

ফাইল চিত্র।

১৫ ২০

স্কালোনির নেতৃত্বে ২০২১-এ ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতে আর্জেন্টিনা। ২৮ বছর পরে সেই বছরই প্রথম আর্জেন্টিনা এই ট্রফি জিতেছিল। সেই বছর ফিফার সেরা কোচের পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনীত হন। যদিও এই খেতাব জেতেননি।

ফাইল চিত্র।

১৬ ২০

২০২২-র জুন মাসে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিনালিসিমা জেতে স্কালোনির আর্জেন্টিনা।

ফাইল চিত্র।

১৭ ২০

তবে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হারের পর বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েন স্কালোনি। তবে তার পর থেকে তাঁকে আর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। তাঁর নেতৃত্বে দল এখন বিশ্বকাপের মহারণে।

ফাইল চিত্র।

১৮ ২০

নিজে খেলার সময় দেপোর্তিভো লা করুনা ছাড়াও লাজিও এবং আটলান্টার হয়েও খেলেছেন স্কালোনি। তিনটি ক্লাবের হয়ে লা লিগায় ১২ মরসুমে মোট ২৫৮টি ম্যাচ তিনি খেলেছেন। গোল করেছেন ১৫টি। খেলোয়াড় হিসাবে ২০০৬-এর বিশ্বকাপ দলেরও অংশ ছিলেন তিনি।

ফাইল চিত্র।

১৯ ২০

ফুটবলার হিসাবে স্কালোনিকে সফল বলা চলে কি না, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে কোচ হিসাবে যে তিনি সফল, তা মেনে নিয়েছেন ফুটবল বিশারদরা। অন্য দিকে, দেশঁকে খেলোয়াড় এবং কোচ— দুই ভূমিকাতেই মেনে নিয়েছেন ফুটবল অনুরাগীরা। ২০০৪ সালের মার্চে পেলেকে সেরা ১২৫ জীবিত ফুটবলারদের নাম জানতে চাওয়া হলে, তিনি সেই তালিকায় দেশঁকে উপরের দিকেই রেখেছিলেন।

ফাইল চিত্র।

২০ ২০

আগামী রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছেন মেসি-এমবাপে, আলভারেজ়-গ্রিয়াজ়মান। মুখোমুখি হতে চলেছেন স্কালোনি-দেশঁও। তবে তাঁদের লড়াই মাঠের বাইরে। লড়াই মস্তিষ্কে। অনেকটা যেন ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের আমেরিকা-সোভিয়েত।

ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement