মুঠোফোন দিয়ে কত কী-ই না করা যায়! সারাদিনের রোজনামচা ক্যামেরাবন্দি করে বিশ্বসংসারকে দেখিয়ে অনেকেই টাকা কামাচ্ছেন। যাঁদের কিনা পোশাকি ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘ভিডিয়ো ব্লগার’। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চারদিকে এখন ভিডিয়ো ব্লগারদেরই রমরমা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সমাজমাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ভিডিয়ো মনোগ্রাহী করতে তুলতে চেষ্টার কসুর করেন না ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটর’রা। ভিডিয়ো যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ পছন্দ করেন, অর্থাৎ ‘ভিউ’ বাড়ে, তার জন্য যা খুশি করতে দু’দণ্ড ভাবেন না অনেকে। এমনই এক ‘ভিডিয়ো ব্লগার’-এর কাণ্ডকারখানা এ বার সাড়া ফেলেছে। যাঁকে দেখে ঘুম উড়েছে বহু পুরুষের।
পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রি। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় কাঠের নানা জিনিস তৈরি হচ্ছে। তবে সেই সব সৃষ্টি যতটা না নজর কেড়েছে, তার থেকে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা।
দেখতে সুন্দরী। চেহারার গড়ন ছিপছিপে। তাঁকে এক ঝলক দেখেই চোখ ফেরানো মুশকিল। সেই তরুণী কাঠমিস্ত্রিই এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে তুফান তুলেছেন।
সুন্দরী কাঠমিস্ত্রি বলে কথা, নজর তো কাড়বেনই। তবে বিশেষ যে কারণে পুরুষ হৃদয়ে তুফান তুলেছেন ওই ললনা, তা হল তাঁর বেশভূষা। পরনে শুধুমাত্র বিকিনি। আর তা পরেই কাঠের কাজ করে চলেছেন ওই তরুণী।
বিকিনি পরে অনেক তরুণীকে জলকেলি করতে দেখা যায়। কিংবা সমুদ্রসৈকতে বিকিনি সুন্দরীদের আকছার দর্শন মেলে। কিন্তু কাঠমিস্ত্রির পরনে কিনা বিকিনি! এই দিকটিই নজর কেড়েছে সকলের।
কাঠের নানা জিনিস তৈরি করেন ওই তরুণী। তাঁর তৈরি করা বিভিন্ন কাঠের সরঞ্জামও নজরকাড়া। কাঠের কাজের প্রতি ওই তরুণীর ভালবাসা অগাধ। কাঠের তৈরি নানা সরঞ্জামের প্রতি তাঁর ভাললাগা কলেজ জীবন থেকেই। নিজের ভালবাসাকে মর্যাদা দিতেই পরবর্তী কালে কাঠমিস্ত্রি হিসাবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন ওই তরুণী।
তবে শুধু কাঠমিস্ত্রি বললে বোধহয় ভুল হবে। কারণ তিনি মোহময়ী কাঠমিস্ত্রি। রোজ কাঠের কাজের সময় তাঁর সামনে ক্যামেরার রেকর্ডার অন করা থাকে। কাঠের কাজের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়ে সেই ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়োই পরে নিজের সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন ওই তরুণী।
বিকিনি পরিহিতা তরুণীর কাঠের কাজের ওই ভিডিয়ো দেখে রাতের ঘুম উড়েছে বহু পুরুষের। এই ভিডিয়ো দেখে তো কেউ কেউ বলছেন, ‘‘কাঠমিস্ত্রিও এতটা মোহময়ী হয়!’’ আবার কেউ বলছেন, ‘‘এমন লাস্যময়ী কাঠমিস্ত্রি আগে দেখিনি।’’
ওই তরুণী কাঠমিস্ত্রির নাম জানা যায়নি। তবে ‘ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর ইনস্টাগ্রামে প্রোফাইলের নাম ‘হার্ডউড বানি’।
ইন্সটা প্রোফাইলে ঢুঁ মারলেই বোঝা যাবে তরুণীর কাঠের প্রতি ভালবাসার কথা। পাশাপাশি এ-ও বোঝা যাবে বিকিনির প্রতি তাঁর প্রেম। প্রোফাইলে অসংখ্য ভিডিয়ো রয়েছে। যেখানে নানা ধরনের বিকিনি পরে কাঠের কাজ করতে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে।
কাঠের কাজই শুধু নয়। বিকিনি পরেই নানা ভঙ্গিতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ওই তরুণী। যা দেখে মজেছেন অনেকেই। ইনস্টাগ্রামে ওই তরুণীর অনুরাগীর সংখ্যা ৩ লক্ষেরও বেশি।
কাঠের কাজকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন ওই তরুণী। এই নিয়ে তাঁর ব্যবসাও রয়েছে। ‘স্টেন অ্যান্ড ইঙ্ক’ নামে একটি দোকান রয়েছে তরুণীর। অনলাইনেও নানা জিনিস বিক্রি করেন তিনি।
তবে ওই তরুণীকে দেখে যেমন মুগ্ধ হয়েছেন অনেকে, আবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। বিকিনি পরে এ ভাবে ভিডিয়ো পোস্ট করা নিয়ে তরুণীর সমালোচনা করেছেন নিন্দকরা।
কেউ কেউ বলেছেন, বিকিনি পরে এ ভাবে জনসমক্ষে ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই তরুণী শালীনতা ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাঁর ভিডিয়োগুলি শোভন নয়।
নিন্দকদের মধ্যে এক জন বলেছেন, ‘‘আসলে সবটাই ভিডিয়োতে ভিউয়ের জন্য করছেন।’’ তাঁর কথায়, ভিডিয়ো ভিউ বাড়াতে মানুষ কী না করতে পারেন!
কাঠের কাজের সময় কোনও রকম সাবধানতা মেনে চলেন কি না, এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। চশমা, গ্লাভস না পরেই কী ভাবে কাঠের কাজ করছেন তরুণী, এই নিয়ে তাঁর সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ।
তবে নিন্দাকরা যাই বলুক না কেন। তাঁর অনুরাগীরা মোহিত। এক জনের কথায়, ‘‘তিনি কী করছেন, জেনে কাজ নেই। ভিডিয়োগুলি দারুণ।’’ আর এক জন অনুরাগী বলেছেন, ‘‘দেখতে কিন্তু দারুণ!’’
সারাদিন কাঠের কাজ করেন। তার পরও নিজেকে কী ভাবে মোহময়ী করে মেলে ধরেন ওই তরুণী? এই সৌন্দর্যের নেপথ্যে রহস্য কী? জানা গিয়েছে, চেহারার গড়ন ঠিক রাখতে কাজের ফাঁকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন ওই তরুণী। কাঠমিস্ত্রি ছাড়াও ওই তরুণীর আরও এক পরিচয় রয়েছে। তিনি জিম ট্রেনারও বটে। তবে ওই তরুণীর বাড়ি কোথায়, তা জানা যায়নি। তা রহস্যাবৃতই রয়ে গিয়েছে।