নব্বইয়ের দশকে যে শিশু অভিনেতারা বড় পর্দায় নিজেদের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দর্শকমহলে জায়গা করে নিয়েছিলেন, আজ সেই অভিনেতারা গাঁটছড়া বেঁধেছেন তাঁদের মনের মানুষের সঙ্গে।
প্রেম এবং বন্ধুত্বের উপর কোনও হিন্দি ছবির কথা উঠলে সেই তালিকায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমার নাম আসতে বাধ্য। শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায় এবং কাজলের পাশাপাশি এই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন সানা সইদ। ছবিতে শাহরুখের কন্যা অঞ্জলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয়ের ১৪ বছর পর কর্ণ জোহরের পরিচালনায় ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’, ‘মুন্না মাইকেল’ ছবিতেও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সানাকে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আংটিবদল হয় সানার। নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে এই সুখবর জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। দীর্ঘকালের প্রেমিক সাবা ওয়াগনারের সঙ্গে আংটিবদল করেছেন তিনি।
‘তুসসি যা রহে হো, তুসসি না যাও!’— ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির এই সংলাপ বিখ্যাত। যে শিশু অভিনেতার মুখে এই সংলাপ দেওয়া হয়েছিল, সেই চরিত্রের নাম সর্দার। পারজ়ান দস্তুর এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
এক বিখ্যাত সংস্থার বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পারজ়ানকে। ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘ব্রেক কে বাদ’, ‘সিকন্দর’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
বর্তমানে একটি প্রযোজনা সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতার দায়িত্বে রয়েছেন পারজ়ান। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর দীর্ঘকালের প্রেমিকা ডেলনা শ্রফকে বিয়ে করেছেন তিনি।
‘করিশ্মা কা করিশ্মা’ ধারাবাহিকে রোবটের চরিত্র হোক বা ‘কাল হো না হো’ ছবিতে জিয়ার চরিত্র— ঝনক শুক্ল প্রতিটি চরিত্রকে পর্দায় দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলতেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঝনক তাঁর দীর্ঘকালীন প্রেমিক স্বপ্নিল সূর্যবংশীর সঙ্গে আংটিবদল করেন। ইনস্টাগ্রামে অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে এই সুখবর নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
পুণের একটি কলেজ থেকে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করার পর বর্তমানে নিজের একটি সংস্থা খুলেছেন ঝনক। এই সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
‘শাকা লাকা বুম বুম’ ধারাবাহিকের ‘করুণা’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন হংসিকা মোতওয়ানি।
২০০৩ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘কোই... মিল গয়া’ ছবিটি। এই ছবিতে হৃতিক রোশন, প্রীতি জ়িন্টা এবং রেখার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন হংসিকা।
হিন্দি ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন তামিল এবং তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় হংসিকাকে। বলিপাড়ার একাংশের মতে, হংসিকা বিশেষ ইনজেকশন নেওয়ায় হঠাৎ তাঁর মধ্যে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। কিন্তু এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মুখ খোলেননি।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর হংসিকা তাঁর প্রেমিক সোহেল খাতুরিয়ার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সোহেল।
জয়পুরের মুন্দোতা ফোর্ট অ্যান্ড প্যালেসে বিয়ে করেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হংসিকা এবং সোহেলের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখানো হবে।
ওয়েব সিরিজ় হোক বা হিন্দি ছবি— বলিপাড়ায় ধীরে ধীরে নিজের জমি শক্ত করে নিচ্ছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। বড় পর্দায় তাঁর আবির্ভাব বিশাল ভরদ্বাজের হাত ধরে। ২০০২ সালে শবানা আজমির সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। ‘মকড়ি’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
শবানা আজমির সঙ্গে সমান তালে অভিনয় করেছিলেন শিশু অভিনেতা শ্বেতা। এর পর তিনি থেমে থাকেননি। হিন্দি ছবি থেকে শুরু করে তামিল এবং তেলুগু ভাষার ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে।
ছবির পাশাপাশি হিন্দি ধারাবাহিকেও অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন শ্বেতা। ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহনিয়া’, ‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’, ‘সিরিয়াস মেন’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘হস্টেজেস’, ‘রে’, ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সচ’-এর মতো ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে ছবি নির্মাতা রোহিত মিত্তলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্বেতা। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর রোহিত এবং শ্বেতা আলাদা থাকতে শুরু করেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর শ্বেতা তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের কথা নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ঘোষণা করেন। তবে, রোহিতের সঙ্গে তাঁর এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।