Erling Haaland

এমবাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন! তবুও কি বিশ্বকাপে নামা হবে না এই স্ট্রাইকারের?

হালান্ডকে অনেকেই লিয়োনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করেন। তবে চূড়ান্ত অঘটনের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপের ছোঁয়া হয়তো হালান্ড কোনও দিনই পাবেন না

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:২৯
Share:
০১ ১৯

এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা। তবে তাঁকে দেখা যায়নি কাতার বিশ্বকাপে। অথচ লিয়োনেল মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর কিলিয়ান এমবাপেকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। তবে আদৌ কি কোনও দিন বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন তিনি? না কি জর্জ বেস্ট, দি স্টেফানো বা রায়ান গিগসদের মতোই হাল হবে তাঁর? নিজের সময়ের অন্যতম সেরা হয়েও যাঁরা বিশ্বকাপে পা রাখতে পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৯

হালান্ডকে অনেকেই লিয়োনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করেন। মেসির হাতে প্রথম বার বিশ্বকাপ উঠেছে। কাতার বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারও হয়েছেন মেসি। তবে চূড়ান্ত অঘটনের খেলা হওয়া সত্ত্বেও সে কাপের ছোঁয়া হয়তো কোনও দিন পাবেন না হালান্ড। এমন আশঙ্কাও করছেন তাঁর বহু অনুরাগী।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৯

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে এই প্রথম খেলছেন হালান্ড। আর প্রথম মরসুমেই বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠেছেন ২২ বছরের এই দীর্ঘদেহী স্ট্রাইকার। পেনাল্টি বক্সের বাইরে হোক বা ভিতরে, হালান্ডের ক্ষিপ্রতা, গতি বা জোরালো শটে নাজেহাল প্রতিপক্ষ।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৯

গত কয়েক মাসের অন্যতম চর্চিত ফুটবলতারকা হালান্ড। তবে কাতার বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কী করে, সেখানে খেলার যোগ্যতাই যে অর্জন করতে পারেনি তাঁর দেশ নরওয়ে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৯

ক্লাব ফুটবলে হালান্ডের রেকর্ড অবিশ্বাস্য। তা সত্ত্বেও কি জর্জ বেস্টদের মতো তাঁকে বিশ্বকাপে দেখা যাবে না? এখনও পর্যন্ত ১৯৩৪, ’৯৪ এবং ’৯৮-এর বিশ্বকাপে খেলেছে নরওয়ে। তার মধ্যে ৯৮-এর ফ্রান্স বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর বেশি এগোতে পারেনি তারা। চার বছর পর কি বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে হালান্ডকে?

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৯

যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে নিজেদের গ্রুপে নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্কের পিছনে তৃতীয় স্থান পান হালান্ডরা। অথচ ওই পর্বের ৬টি ম্যাচে হালান্ড ৫টি গোল করলেও শেষ বাধা টপকাতে পারেনি ফিফার র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪২ নম্বরে থাকা নরওয়ে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৯

হালান্ডের সঙ্গে তাঁর সমসাময়িক কিলিয়ান এমবাপের তুলনাও অনেকে টানছেন। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে প্রায় একার হাতেই ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন এমবাপে। এমনটা কি কখনও করতে পারবেন হালান্ড? এমবাপের মতোই হালান্ডের গোল করার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সতীর্থকে গোল করানোতেও কম দক্ষ নন। বুন্দেশলিগা থেকে ইপিএলে সে ঝলক দেখেছে গোটা বিশ্ব।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৯

দক্ষতা সত্ত্বেও হালান্ডের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। অনেকে জর্জ বেস্টের উদাহরণও দিচ্ছেন। ষাট-সত্তরের দশকে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের উইঙ্গার বেস্টকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলা হত। ফিফার বিচারে ১০০ বছরের সেরা ফুটবলারদের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন। ইউরোপের সেরা ফুটবলারও হয়েছেন। অথচ দেশের জার্সিতে কখনও বিশ্বকাপের ময়দানে নামেননি বেস্ট।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৯

বেস্টের আগে একই হাল হয়েছিল অ্যালফ্রেডো দি স্টেফানোর। সর্বকালের সেরাদের মধ্যে অনায়াসে জায়গা করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড। এমনকি, কলম্বিয়ার জাতীয় দলেও খেলেছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপে নামার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৯

নিজের সময়ে অন্যতম সেরা হলেও যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ফ্রান্সের এরিক কঁতোনা, ওয়েলসের রায়ান গিগস অথবা ঘানার আবেদি আয়েয়ুর মতো ফুটবলারের।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৯

বেস্টদের ‘দলে’ কি হালান্ডেরও নাম উঠবে? অথচ ইতিমধ্যেই ক্লাব ফুটবলে ঈর্ষনীয় রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন এই স্ট্রাইকার। চলতি মরসুমে প্রথম বার ইপিএলে খেলতে নেমেছেন। ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বিপক্ষের তেকাঠিতে বল ঠেলেছেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৯

পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটির জার্সিতে ১৭ ম্যাচে হালান্ডের গোলসংখ্যা ২৩। তার মধ্যে ইপিএলের ১৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১৮। এরই ফাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৪ ম্যাচে ৫ গোলেই তাঁর নামে রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৯

হালান্ডের জনপ্রিয়তার নমুনা শুনলে অবাক হতে হয়। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের আগে তাঁর অনুরাগীদের আর্জি ছিল, প্রতিটি দল যেন হালান্ডকে ৩০ মিনিটের জন্য কাতারের ময়দানে খেলার সুযোগ দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই অবাস্তব আর্জি মানা সম্ভব হয়নি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৯

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের থেকে ১৫ কোটি ইউরোয় ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন হালান্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১,২৫২ কোটি টাকা। ইপিএলের ইতিহাসে তিনি প্রথম ফুটবলার, যিনি ঘরের মাঠে পর পর ৩টি হ্যাটট্রিক করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৯

হালান্ডের বাবা অ্যালফিও ইপিএলে ম্যান সিটিতে ১৮১টি ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া নটিংহ্যাম ফরেস্ট এবং লিডস ইউনাইটেডের হয়েও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বস্তুত, অ্যাসফি লিডসে থাকাকালীনই হালান্ডের জন্ম হয়। তবে হালান্ডের ৩ বছর বয়সে তাঁকে নিয়ে নরওয়ের ব্রাইন পাড়ি দিয়েছিলেন অ্যালফি। সেখানেই থাকতে শুরু করেন তাঁরা।

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ১৯

ছোটবেলা থেকে ফুটবল মাঠে দাপাদাপি শুরু হালান্ডের। ৫ বছর বয়সে ব্রাইনের যুব অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ মরসুমে রিজার্ভ দলের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৮ গোল করেছিলেন তিনি। ষোলো বছর বয়সে পা রাখার আগেই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। সে সময় যোগ দেন মলডেতে। সেটা ছিল ২০১৭ সাল।

ছবি: সংগৃহীত।

১৭ ১৯

পরের বছর অস্ট্রিয়ার সালজবার্গ কিনে নেয় হালান্ডকে। ওই ক্লাবের হয়ে ২২ ম্যাচে ২৮ গোল করেন তিনি। এর পরে তিনি সই করেন জার্মানির ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। হালান্ডের সঙ্গে সাড়ে ৪ বছরের চুক্তি হয়েছিল বরুসিয়ার। ক্লাবের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছিলেন হালান্ড। তা-ও ১টি নয়, ৩টি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৮ ১৯

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে ২০টি গোল করার নজির রয়েছে হালান্ডের। নরওয়ের জার্সিতে এখনও ২২টি ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৯ ১৯

ফুটবল ছাড়াও আরও একটি নেশা রয়েছে হালান্ডের। ২০১৬ সালে ইউটিউবে ‘ফ্লো কিংস’ দলের একটি মিউজ়িক ভিডিয়ো ভেসে উঠেছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, নরওয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ এরিক বথেইম এবং এরিক টোবিয়াস স্যান্ডবার্গের সঙ্গে গানের দলে রয়েছেন হালান্ড।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement