‘রক অ্যান্ড রোল’ ঘরানার রাজা বলে গণ্য করা হয় গায়ককে। বিংশ শতাব্দীতে তিনি সঙ্গীতজগতের খ্যাতনামী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। মৃত্যুর পরেও বিপুল উপার্জন করেন এলভিস প্রেসলি।
১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি মিসিসিপিতে জন্ম এলভিসের। এলভিস যখন তাঁর শৈশব জীবন কাটাচ্ছেন, তখন ‘নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়া’র মতো আর্থিক অবস্থা ছিল এলভিসের পরিবারের।
উপার্জনের প্রয়োজনে নানা জায়গায় যাযাবরের মতো ঘুরতেন এলভিস এবং তাঁর বাবা-মা। গির্জাতেও পরিবারসমেত আশ্রয় নিয়েছিলেন গায়ক। সেখানে থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল এলভিসের।
হলিউড সূত্রে খবর, ১৯৪৬ সালে এলভিসের একাদশতম জন্মদিনে পুত্রকে গিটার উপহার দিয়েছিলেন তাঁর মা।
মেমফিস শহরে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন এলভিস। স্কুলে পড়াকালীন এক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন তিনি।
১৯৫৩ সালে কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর গায়ক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করার পথে যাত্রা শুরু করেন এলভিস।
উপার্জনের জন্য চাকরি খোঁজারও চেষ্টা করেন এলভিস। ১৯৫৪ সাল থেকে সঙ্গীতকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন তিনি।
খুব কম সময়ের মধ্যেই গায়ক হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এলভিস। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরার প্রতি আসক্তিও জেগে ওঠে তাঁর। অতিরিক্ত মদ্যপান করার ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান এলভিস।
১৯৭৭ সালের ১৬ অগস্ট মারা যান এলভিস। মৃত্যুর সময় এলভিসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৮ কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু মৃত্যুর পরেও সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে গায়কের।
সঙ্গীতে এলভিসের যা স্বত্ব রয়েছে সেখান থেকে এখনও বিপুল উপার্জন করে এলভিসের পরিবার।
১৯৯৩ সালে এলভিসের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন তাঁর কন্যা লিজ়া মেরি। সেই সময় এলভিসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩৮ কোটি টাকা।
এলভিসের গান বিক্রি সংক্রান্ত যা ব্যবসা রয়েছে তার সঙ্গে ১৯৯৮ সালে জড়িয়ে পড়েন লিজ়া।
ব্যবসার ৮৫ শতাংশের মালিকানা ছিল লিজ়ার কাছে। ২০০৫ সালে সেই অংশ বিক্রি করে দিয়েছিলেন লিসা।
গান ছাড়াও এলভিসের অন্যান্য যে ‘মার্চেন্ডাইজ়’ রয়েছে, সমস্ত কিছু থেকে তাঁর পরিবার ভারতীয় মুদ্রায় এখনও বছরে ৯০০ কোটি টাকার উপার্জন করে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।