অতিমারির বছর হলেও ২০২০ সালে আরও ৪০ জন ভারতবাসীর নাম যুক্ত হয়েছে ধনকুবেরের তালিকায়। তবে পাশাপাশি বিপর্যস্ত এই সময়ে ধনীরা অর্থসাহায্য করে পাশেও দাঁড়িয়েছেন জনসাধারণের। আসুন, দেখে নিই অতিমারি ধ্বস্ত দেশকে কতটা সাহায্য করেছেন ভারতীয় ধনকুবেররা।
উইপ্রো প্রতিষ্ঠাতা আজিম প্রেমজি বরাবরই তাঁর বড় অঙ্কের দানের জন্য বিখ্যাত। ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক প্রেমজি মূলত দান করেন শিক্ষা ও পরিবেশ খাতে। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে দান করেছেন ৭ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।
পরিবেশখাতে প্রেমজির দানের অঙ্ক ৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১ বছরে তিনি দান করেছেন ৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। দিনপিছু তাঁর দানের অঙ্ক প্রায় ২২ কোটি টাকা। এর আগের বছর তিনি দান করেছিলেন ৪২৬ কোটি টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন শিব নাদার। এইচসিএল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এই শিল্পপতি শেষ হয়ে আসা এই আর্থিক বর্ষে তিনি দান করেছেন ৭৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৫৯ কোটি টাকা তিনি দিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণে। তার আগের বছর তিনি দান করেছিলেন ৮২৬ কোটি টাকা।
দাতাদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মুকেশ অম্বানী। ধনীতম ভারতবাসী মুকেশ ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে দান করেছেন ৪৫৮ কোটি টাকা। তার আগের বছর তাঁর দানের পরিমাণ ছিল ৪০২ কোটি টাকা।
আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা আছেন তালিকায় চতুর্থ স্থানে। তাঁর পরে পঞ্চম স্থানে বেদান্ত শিল্পগোষ্ঠীর প্রধান অনিল আগরওয়াল।
এ ছাড়াও আরও অনেক শিল্পপতি বড় অঙ্কের অর্থ দান করেছেন। ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি দান করেছেন ১৫৯ কোটি টাকা।
হিন্দুজা গোষ্ঠীর তরফে দান করা হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৩৪ কোটি টাকা তাঁরা দান করেছেন জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে।
অর্ঘ্যম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রোহিনী নিলেকানি পরিবেশখাতে দান করেছেন ৪৭ কোটি টাকা।
বায়োকন কর্ণধার কিরণ মজুমদার শ’ শিক্ষাক্ষেত্রে দান করেছেন ৩৪ কোটি টাকা। তবে তাঁর দান করা মোট অঙ্ক, প্রকাশিত হয়নি।
ভারতের ধনী শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম অনু আগা। তিনিও শিক্ষাখাতে দান করেছেন ৩৬ কোটি টাকা। তবে এ ছাড়া অন্যান্য খাতে কত টাকা দান করেছেন, জানা যায়নি।
লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান অনিল মণিভাই লায়েক ৭৬ কোটি টাকা দান করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের কল্যাণ প্রকল্পে। বজাজ গোষ্ঠীর প্রধান রাহুল বজাজ ২২ কোটি টাকা দান করেছেন জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধির প্রকল্পে।