উৎসব মানেই সব দিক ভুলে আইন ভাঙার ধুম। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর সময় থেকে শুরু হয় এই হইচইয়ের আমেজ। পুলিশ-প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে, যাবতীয় ট্র্যাফিক আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়দিনের শহর দেখল আইন-শৃঙ্খলা ভেঙেই আনন্দ হুল্লোড়।
ট্র্যাফিক বিধি না মেনেই গাড়ি বাইক চলেছে সারা সন্ধে। বিশেষত, সোমবার সকাল থেকে রাত সারাদিনই হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ঠাসা ছিল শহরের সব রাস্তা। ট্র্যাফিক পুলিশের সতর্কতাও ছিল দেখার মতো। কিন্তু তার পরও একের পর এক ঘটল বেপরোয়া ঘটনা।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেল, বড়দিনে সব মিলিয়ে ৫৩২টি আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে গ্রেফতারি হয়েছে অর্ধেকেরও বেশি ঘটনায়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি মদও।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের সন্ধ্যায় যখন ‘পার্টি’তে ব্যস্ত জনতা, তখন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর সেই অভিযানেই মোট ৫০.৪ লিটার বেআইনি মদ উদ্ধার করেছে তারা।
এ ছাড়া মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা বা বেপরোয়া ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভেঙে গাড়ি বা বাইক চালানোর ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০৩টি। বেপরোয়া ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে ১০৮টি।
এ ছাড়া হেলমেট না পরে গাড়ি চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ১৯৯টি। বাইকের পিছনের আসনে বসে হেলমেট না পরার ঘটনায় ৯২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এগুলি ছাড়া আরও অন্যান্য আইন ভাঙার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৩০টি। সব মিলিয়ে, বড়দিনে ৫৩২টি আইনভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮৮ জনকে।
গত বারের তুলনায় এ বছর আইন ভাঙার অভিযোগের সংখ্যাটা অনেক বেশি। ২০২২ সালের বড়দিনে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৪৩০টি। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩১৪ জনকে।
এ বছর গ্রেফতারির সংখ্যা সামান্য কমলেও অভিযোগের সংখ্যা ১০০ বেড়েছে। এ ছাড়া গত বছর বড়দিনে ৩৯ লিটার বেআইনি মদ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ বছর সেই উদ্ধার হওয়া বেআইনি মদের পরিমাণও অনেক বেড়েছে।