অক্টোবরের গোড়া থেকে ছোট পর্দায় শুরু হয়েছে ‘বিগ বস’। মুক্তির প্রারম্ভেই এই শো জড়িয়ে পড়েছে বিতর্কে। বিতর্কের আসল কারণ, পরিচালক সাজিদ খান। কেন তাঁকে এই শোয়ের প্রতিযোগী হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অহনা কুমরা থেকে সালোনি চোপড়া। ‘মিটু’ আন্দোলনে পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেও কেন তিনি এত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে এসেছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই।
সাজিদের নাম শুধু ‘মিটু’ আন্দোলনেই নয়, টিনসেল নগরীর একের পর এক নামকরা অভিনেত্রীর সঙ্গেও জড়িয়েছিল। বলিপাড়ায় এমন গুঞ্জনও রয়েছে, তাঁর ছবিতে যে অভিনেত্রী কাজ করতেন, তাঁর সঙ্গেই সম্পর্কে জড়াতেন সাজিদ।
২০১০ সালে বলিউডে পা রাখেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। সেই সময় নবাগতা অভিনেত্রীর সঙ্গে সাজিদের সম্পর্ক দানা বাঁধে। তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেও যায়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, প্রেমিকার জীবনের প্রতি অতিরিক্ত অধিকারবোধ দেখাতে শুরু করেন সাজিদ। এমনকি, জ্যাকলিন কোনও ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেলেও নাকি তাঁকে বাধা দিতেন পরিচালক।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, হৃতিক রোশনের সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাজিদ তাঁকে সেই ছবিতে কাজ করতে দেননি। পরে জ্যাকলিন বুঝতে পারেন, এই সম্পর্কের জন্য তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি হচ্ছে। তাই তিনি এই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
অভিনেত্রী গওহর খানের সঙ্গেও এক বছরের জন্য সম্পর্কে ছিলেন পরিচালক। তাঁরা একে অপরকে বিয়েও করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরায় আলাদা হয়ে যান দু’জন।
এই প্রসঙ্গে পরিচালক এক সাক্ষাৎকারে মেনে নেন, তাঁর চরিত্র সেই সময় খারাপ ছিল। সকলকেই প্রেম নিবেদন করতেন তিনি। এমনকি, বিয়ের প্রস্তাবও দিতেন সাজিদ। অভিযোগ ওঠে, মেয়েদের নিয়ে মজেছিলেন তিনি, তাই গওহরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙেছিল।
২০১৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘হিম্মতওয়ালা’ ছবিটি। সাজিদ খানের পরিচালনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগন এবং তামান্না ভাটিয়া। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় তামান্নার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন সাজিদ।
পরে অবশ্য এই নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। জানান, তিনি সাজিদকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন। সাজিদের বিরুদ্ধে যখন ‘মিটু’ আন্দোলনের সময় অভিযোগ উঠেছিল, তখন পরিচালকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘সাজিদ কখনও আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেননি।’’
২০১৪ সালে সাজিদ খানের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হমশকলস’ ছবিটি। সইফ আলি খান, রীতেশ দেশমুখ, রাম কপূরের মতো তারকারা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এষা গুপ্ত।
বলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যায়, ছবির শ্যুটিং চলাকালীন পরিচালকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এষা। এই নিয়ে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
শুধু বড় পর্দার অভিনেত্রীই নয়, ছোট পর্দার তারকাদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল সাজিদ খানের। ‘কসৌটি জিন্দেগী কে’ ধারাবাহিকের ‘কমলিকা’কে মনে পড়ে? ছোট পর্দার খলনায়িকাদের তালিকায় এখনও শীর্ষস্থানীয় উর্বশী ঢোলাকিয়া। সাজিদের সঙ্গে তাঁরও সম্পর্ক ছিল বলে কানাঘুষো শোনা যায়।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, সাজিদের সঙ্গে তাঁর বহু দিনের সম্পর্ক। তবে, প্রেমের সম্পর্কে নয়, ১৫-২০ বছর ধরে সাজিদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ রকশন্দা খান। সাজিদের জীবনে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ছিল রকশন্দার সঙ্গে। প্রায় ১০ বছর সাজিদ এবং রকশন্দা একে অপরকে ডেট করেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছিল, তার আসল কারণ এখনও অজানা।