Couple

নিজেদের বিষ্ঠা থেকে তৈরি গ্যাস দিয়ে রান্না করেন! মরুভূমির মাঝে সুখী গৃহকোণ দম্পতির

২০২০ সালে উইসকনসিন থেকে ৩,২১৮ কিলোমিটার দূরে মরুভূমিতে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন হুইটনিরা। ক্যালিফোর্নিয়ার জোশুয়া জাতীয় উদ্যানে নিজেদের ঠিকানা গড়ার উদ্যোগ নেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ক্যালিফোর্নিয়া শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫৫
Share:
০১ ১৪

শহুরে জীবন ভাল লাগে না। তাই শহর থেকে দূরে কোথাও ঘর বাঁধার ইচ্ছা জাগে হুইটনি নিউকার্ক এবং তাঁর স্বামী ট্রেন্ডের। কিন্তু তা বলে মরুভূমি? প্রথমে নিজেরাই একটু সংশয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন দু’জন। আমেরিকার মরুভূমির মাঝে এখন চুটিয়ে সংসার করছেন তাঁরা।

০২ ১৪

আমেরিকার উইসকনসিনে থাকতেন ৩৪ বছরের হুইটনি আর ২৬ বছরের ট্রেন্ড। দু’বছর আগে শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

Advertisement
০৩ ১৪

এ-ও ঠিক করেন, শহর থেকে যতটা সম্ভব কম জিনিসপত্র কিনে আনবেন। তা সে যতই প্রয়োজনীয় হোক। নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করবেন।

০৪ ১৪

২০২০ সালে উইসকনসিন থেকে ৩,২১৮ কিলোমিটার দূরে মরুভূমিতে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন হুইটনিরা। ক্যালিফোর্নিয়ার জোশুয়া জাতীয় উদ্যানে নিজেদের ঠিকানা গড়ার উদ্যোগ নেন।

০৫ ১৪

মরুভূমির মাঝে ২.৩ একর জমি কেনেন। ২০২০ সালে যার দাম পড়েছিল মাত্র সাত হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা।

০৬ ১৪

জমি কেনার পর তাতে বাড়ি করে বাসযোগ্য করে তুলতে আরও ২০ হাজার পাউন্ড খরচ করতে হয় হুইটনিদের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা।

০৭ ১৪

মরুভূমির মাঝে বিরাট এক তাঁবু বেঁধেছেন হুইটনিরা। মধ্য এশিয়ায় যাযাবররা যেমন করে তাঁবু বাঁধেন, সেই রীতিতে বাঁশ, কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন আস্তানা। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে কাঠামোর উপর রয়েছে মোটা কাপড়ের আচ্ছাদন। একে বলে ইয়ার্ট।

০৮ ১৪

হুইটনি জানিয়েছেন, তিনি মানুষজন ভালবাসেন। কিন্তু ভিড় পছন্দ করেন না। তাই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন। তবে তা কার্যকর করার বিষয়টা সহজ ছিল না। কারণ দিনের বেলা ওই এলাকার তাপমাত্রা থাকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

০৯ ১৪

২০২০ সাল থেকে নিজেদের আস্তানা তৈরির কাজ করছেন হুইটনিরা। অবশেষে তা শেষের পথে। হুইটনির কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে, আমরা এভারেস্ট জয় করেছি। এত আনন্দ জীবনে আগে পাইনি।’’

১০ ১৪

মরুভূমির মাঝে হুইটনিদের ঘরে জ্বলে আলো। গরম থেকে বাঁচতে চলে এসি। কোথা থেকে আসে বিদ্যুৎ? দম্পতি জানিয়েছেন, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁরা। মরুভূমিতে ওই একটি জিনিসের অভাব নেই।

১১ ১৪

আমেরিকার ওই দম্পতি রান্না করেন গ্যাসে। তা কিন্তু শহর থেকে আনেন না। নিজেরাই জৈব গ্যাস উৎপাদন করেন। শাকসবজির খোসা, ফেলে দেওয়া খাবার, এমনকি নিজেদের বিষ্ঠার প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব গ্যাস তৈরি করেন তাঁরা। সেই দিয়েই স্টোভ এবং এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করেন।

১২ ১৪

হুইটনি জানিয়েছে, এখনও নিজেদের ‘ঘাঁটি’ তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। আরও অনেক কাজ বাকি। আরও অনেক পরিষেবার ব্যবস্থা করতে চান তাঁরা। হুইটনি জানালেন, মরুভূমিতে সব থেকে সমস্যায় পড়তে হয় জল নিয়ে।

১৩ ১৪

হুইটনি জানিয়েছে, এখনও যেটুকু জল সঞ্চয় রয়েছে, তা দিয়ে দু’জন রোজই এক বার স্নান করেন। বাসনও মাজেন। তাঁরা চেষ্টা করছেন, ধীরে ধীরে এই জলসঞ্চয় বাড়ানোর।

১৪ ১৪

এখনও গরম জলের ব্যবস্থা করতে পারেননি হুইটনিরা। আগামী দিনে সেই ব্যবস্থাও করে ফেলবেন বলে আশা তাঁদের। আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে হুইটনিদের। ঠিক করেছেন, শাকসবজিও আর শহরের বাজার থেকে কিনে আনবেন না তাঁরা। নিজেদের জমিতেই তৈরি করবেন গ্রিনহাউস। সেখানেই চাষ করবেন শাকসবজি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement