Amitabh Bachchan

পোশাক অপছন্দ, জনসমক্ষে পরিচালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ!

১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল অ্যাকশন ঘরানার ছবি ‘শাহেনশাহ’। এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে পরিচালক তিন্নু আনন্দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ বচ্চন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২১
Share:
০১ ১৫

পাঁচ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন। দুশোর বেশি ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। অনুরাগীদের সংখ্যায় এখনও যে কোনও তারকাকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেন তিনি। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ অমিতাভকে নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চাও কম হয় না।

ছবি: সংগৃহীত

০২ ১৫

বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, অমিতাভ যখন কেরিয়ারের মধ্যগগনে, চারিদিকে যখন তাঁকে নিয়ে প্রচুর নামডাক— সেই সময় অমিতাভ নাকি এক পরিচালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

ছবি: সংগৃহীত

Advertisement
০৩ ১৫

বলিপাড়ায় জনপ্রিয়তা এবং রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার ফলেই নাকি অমিতাভের স্বভাবে পরিবর্তন হয় বলে অনেকে মনে করেন।

ছবি: সংগৃহীত

০৪ ১৫

অভিনেতা কাদের খান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অমিতাভের সঙ্গে তাঁর এক সময় খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই নাকি অভিনেতা দাবি করেছিলেন যে তাঁকে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করতে হবে। এই ঘটনা অনেককেই অবাক করেছিল।

ছবি: সংগৃহীত

০৫ ১৫

১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল অ্যাকশন ঘরানার ছবি ‘শাহেনশাহ’। ইনস্পেক্টর বিজয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অমিতাভকে। অমিতাভ ছাড়া এই ছবিতে কাজ করেছিলেন মীনাক্ষী শেষাদ্রি, প্রাণ, প্রেম চোপড়া, কাদের খান, অমরীশ পুরী, সুপ্রিয়া পাঠক-সহ বহু তারকা।

ছবি: সংগৃহীত

০৬ ১৫

‘শাহেনশাহ’ ছবিতে বেশির ভাগ সময় অমিতাভকে পুলিশের উর্দি পরেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই পোশাক নির্বাচন নিয়েই ছবির পরিচালকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ।

ছবি: সংগৃহীত

০৭ ১৫

‘শাহেনশাহ’ ছবির কাজ তখন প্রায় শেষের পথে। কিন্তু অমিতাভকে তখন অন্য ছবির কাজে বিদেশে পাড়ি দিতে হবে। অভিনেতা বাইরে চলে যাওয়ার আগে শুটিঙের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে চাইছিলেন পরিচালক।

ছবি: সংগৃহীত

০৮ ১৫

বিদেশে রওনা হওয়ার আগের দিন অমিতাভ সেটে আসেন। মেকআপ রুমে যেতেই যে পোশাক পরে অমিতাভ শুট করবেন তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরেও অভিনেতা নিজের মেকআপ রুম ছেড়ে বেরচ্ছিলেন না।

ছবি: সংগৃহীত

০৯ ১৫

সেটে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে অমিতাভের সঙ্গে দেখা করতে যান তিন্নু। তখন দেরি হওয়ার আসল কারণ জানতে পারেন তিনি। পুলিশ ইনস্পেক্টরের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন বলে অধিকাংশ দৃশ্যে অমিতাভকে উর্দি পরেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রতি দিন ওই এক পোশাক পরতে চাইছিলেন না নায়ক।

ছবি: সংগৃহীত

১০ ১৫

অমিতাভ পরিচালককে জানান, উর্দি পরে নয়, ব্লেজার পরে তিনি শেষ দিন সেটে অভিনয় করবেন। পরিচালক অমিতাভের কথায় রাজি হননি। তিন্নু বার বার নায়ককে উর্দি পরে সেটে হাজির হতে বলেন।

ছবি: সংগৃহীত

১১ ১৫

অমিতাভ এবং তিন্নুর এই বার্তালাপ ক্রমে বচসায় গড়িয়ে যায়। দু’জনেই নিজেদের কথায় অনড় থাকেন। এ দিকে শুটিঙের সময়ও পিছিয়ে যেতে থাকে।

ছবি: সংগৃহীত

১২ ১৫

পরিস্থিতি সামলাতে সেটে পৌঁছন পরিচালকের বাবা ইন্দ্ররাজ আনন্দ। তাঁর সঙ্গে অমিতাভের পরিচিতি বহু দিনের। সেটে এসে তিনি অমিতাভকে বলেন, ‘‘পতাকার তিনটি রং আলাদা থাকলে তার আলাদা কোনও অর্থ থাকে না। কিন্তু রং তিনটি যখন পাশাপাশি রাখা হয়, তখন সারা দেশ তার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।’’

ছবি: সংগৃহীত

১৩ ১৫

কথার ভাঁজে কথা বলেছিলেন ইন্দ্র। অমিতাভ তা ধরতেও পেরেছিলেন। ইন্দ্র আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন, এই ছবিতে ইনস্পেক্টর বিজয়ের চরিত্রটিকে পর্দায় ভাল করে ফুটিয়ে তোলার জন্য উর্দি পরা প্রয়োজনীয়।

ছবি: সংগৃহীত

১৪ ১৫

পরে অবশ্য অমিতাভকে তাঁর ইচ্ছামতো ব্লেজার পরার অনুমতিও দেন ইন্দর। কিন্তু অমিতাভ তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। কিছু ক্ষণ পর উর্দি পরে সেটে আসেন এবং শুটিং শেষ করেন।

ছবি: সংগৃহীত

১৫ ১৫

তিন্নু এবং অমিতাভের মধ্যে যে বিষয়ে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঝামেলা চলছিল, পরিচালকের বাবা নিমেষের মধ্যে সেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন। বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, শুট করার সময় এমন ছোট ছোট বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা করতেন অমিতাভ। কিন্তু পরে সেই ঝামেলা মিটিয়ে দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের মন জিতে নিতেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement