সিনে দুনিয়ায় সে ভাবে নজর কাড়তে না পারায় অনেক অভিনেতাই বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছেন। আবার অনেকে অভিনেতা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার পরও স্বেচ্ছায় ‘লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের’ জগৎকে বিদায় জানিয়েছেন। তবে তাঁরা প্রচারের আলো থেকে শত যোজন দূরে থাকলেও, তাঁদের ভুলতে পারেননি সিনেপ্রেমীরা। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে অভিনেতা বিবেক মাশরুর সঙ্গে।
অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বিবেক। তবে অভিনেতা পরিচয় নিয়ে বেশি দূর পথ চলেননি। সেই বিবেকই এই মুহূর্তে নতুন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে হিন্দি টেলি দুনিয়ায় শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় সিরিজ় ‘সিআইডি’। সেই সিরিজ়েই দেখা গিয়েছিল বিবেককে।
১৯৯৮ সাল শুরু হয়েছিল ‘সিআইডি’। যত দিন গড়ায়, ততই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিজ়। টানা ২০ বছর ধরে চলেছিল এই শো।
‘সিআইডি’-তেই অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন বিবেক। তবে তার পর বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি এই অভিনেতা।
ওই সিরিজ়ে এক জন সাব-ইনস্পেক্টরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিবেক। তাঁর অভিনীত চরিত্রের নামও ছিল বিবেক।
২০০৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই সিরিজ়ে অভিনয় করেছিলেন বিবেক। সিরিজ়ে তাঁর অভিনীত প্রথম পর্বটির নাম ছিল, ‘দ্য কেস অফ দ্য কিলার আয়েজ।’
বিবেকের অভিনীত শেষ পর্ব ছিল ‘রহস্যময় বুলেট— ৩’। এত বছর পরও ‘সিআইডি’ নিয়ে দর্শকমহলে উন্মাদনা কম নয়। সেই সঙ্গে এই সিরিজের অভিনেতাদের নিয়েও কৌতূহলের সীমা নেই।
সম্প্রতি সেই বিবেকই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন। ওই শোয়ে বিবেকের একটি ছবি টুইট করেছেন কয়েক জন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিবেককে ঘিরে উন্মাদনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে।
বিবেকের অতীতের ছবি পোস্ট করে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘যদি আপনারা জানেন ওঁকে, আপনার শৈশবের কথা মনে পড়বে।’’
বিবেকের ওই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই অতীতচারী হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ‘সিআইডি’র নানা মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করেছেন।
যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই বিবেকও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। যে টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর ছবি পোস্ট করেছিলেন, সেই টুইটটি তুলে ধরে বিবেক লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ, তোমার এই ভালবাসার জন্য। এটা আমার কাছে বিরাট বড় প্রাপ্তি। অনেক ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা।’’
অনেকেই জানতে চেয়েছেন, কোথায় গেলেন বিবেক? কেনই বা অভিনয় ছাড়লেন তিনি? এখন কী করেন তিনি? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে সমাজমাধ্যমে।
বিনোদন দুনিয়া থেকে এখন অনেক দূরে বিবেক। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অর্থাৎ, অভিনেতা থেকে হয়ে গিয়েছেন অধ্যাপক।
বেঙ্গালুরুতেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন বিবেক। অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেও খুশি তিনি। প্রচারের আলো থেকে নিজেকে আড়ালেই রেখেছেন তিনি। তবে সমাজমাধ্যমের দৌলতে আবার প্রচারের আলোয় আলোকিত বিবেক।