রবিবার বলি অভিনেত্রী সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আম আদমি পার্টির সংসদ রাঘব চড্ডার সঙ্গে। রাজস্থানের উদয়পুরে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ সারলেন দু’জনে। বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মা থেকে শুরু করে রণবীর সিংহ-দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর কপূর-আলিয়া ভট্ট, সিদ্ধার্থ মলহোত্র-কিয়ারা আডবাণী, ভিকি কৌশল-ক্যাটরিনা কইফ তারকা জুটিদের বিয়ে ছবিগুলি আজও নেটপাড়ায় সাড়া ফেলে। আত্মীয় পরিজন এবং ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছেন এই তারকা দম্পতিরা।
তবে বলিপাড়ায় এমন বহু তারকা রয়েছেন যাঁরা গোপনে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছিলেন। সেই তালিকায় দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্রের মতো বলি অভিনেতা থেকে শুরু করে রয়েছেন শ্রীদেবী এবং অদিতি রাও হায়দারির মতো বলি নায়িকারা।
১৯৫৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় দেব আনন্দের ছবি ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’। এই ছবিতে দেব আনন্দের বিপরীতে অভিনয় করেন কল্পনা কার্তিক। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দেব আনন্দের ভাই চেতন আনন্দ।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবির শুটিং চলাকালীন নাকি কল্পনাকে বিয়ে করেছিলেন দেব আনন্দ। কিন্তু সে বিষয়ে কাউকে কিছুই জানাননি অভিনেতা।
১৯৫৪ সালে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সহ-অভিনেত্রী কল্পনাকে বিয়ের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন দেব আনন্দ।
১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। বিবাহিত থাকাকালীন সহ-অভিনেত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা।
১৯৮০ সালে হেমাকে লোকচক্ষুর আড়ালে বিয়েও করে ফেলেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পর এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন দুই তারকা।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিপাড়ায় নিজের কেরিয়ার শুরু করেন গোবিন্দ। ১৯৮৬ সালে ‘ইলজাম’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। একই বছর সুনীতা আহুজাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ।
কিন্তু নিজের বিয়ের কথা গোপন করে রাখেন গোবিন্দ। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, নিজের কেরিয়ার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন গোবিন্দ। তিনি ভাবেন, বিয়ের কথা ফাঁস হয়ে গেলে তাঁর কেরিয়ারেও সেই প্রভাব পড়বে।
গোবিন্দ ভাবেন, কোনও অভিনেতা বিবাহিত জানলে তাঁর কাজ পাওয়ার সুযোগ কমে যেতে থাকে। গোবিন্দের মহিলা অনুরাগীদের সংখ্যাও ছিল প্রচুর। আশির দশকে তখন সদ্য সদ্য কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি।
গোবিন্দ বিয়ে করেছেন জানলে তিনি তাঁর অনুরাগীদের বিশাল অংশ হারিয়ে ফেলতে পারেন। এমনকি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগও হারানোর ভয় পেয়েছিলেন তাই বিয়ের কথা গোপন করেন গোবিন্দ। তবে বিয়ের এক বছর কেটে যাওয়ার পর সুনীতাকে বিয়ের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন অভিনেতা।
১৯৮৬ সালে রীনা দত্তের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খান। ১৬ বছর সংসারের পর ২০০২ সালে তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন আমির এবং রীনা।
নিজের বিয়ের কথা গোপন করেন আমিরও। এমনকি রীনাকে যে তিনি বিয়ে করেছেন সে কথা আমির তাঁর বাবার কাছেও গোপন রেখেছিলেন। পরে অবশ্য বিয়ের কথা নিজেই ঘোষণা করেন অভিনেতা।
১৯৯৬ সালে বলিপাড়ার প্রথম সারির প্রযোজক বনি কপূরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শ্রীদেবী। বিয়ের কথা গোপন করে রেখেছিলেন অভিনেত্রী।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, বিয়ের কয়েক মাস পরেও তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি শ্রীদেবী। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বনিকে বিয়ের কথা ঘোষণা করেন অভিনেত্রী।
২০০৯ সালে ২৪ বছর বয়সে বলি অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বলি অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি। কিন্তু নিজের বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে অদিতি এবং সত্যদীপের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিবাহবিচ্ছেদের প্রায় দশ বছর পর খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্তকে বিয়ে করেন সত্যদীপ।
১৯৮৭ সালে রিচা শর্মার সঙ্গে বিয়ে করেন সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৬ সালে রিচার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সঞ্জয়ের। দু’বছর পর ১৯৯৮ সালে রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন তিনি। ২০০৮ সালে রিয়ার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায় অভিনেতার।
২০০৮ সালে সঞ্জয় তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা মান্যতাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তৃতীয় বিয়ের কথা গোপন রাখেন সঞ্জয়। আইনি মতে ‘কোর্ট ওয়েডিং’ করেছিলেন তাঁরা। কানাঘুষোয় সেই কথা জানাজানি হয়ে গেলে তার পর বিয়ের কথা স্বীকার করেন সঞ্জয়।
২০১৪ সালে প্রিয়া র়ুঞ্চলকে বিয়ে করেন বলিপাড়ার অভিনেতা জন আব্রাহম। বিয়ের কথা গোপন করেন তিনিও। বিয়ের এক বছর পর অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করার সময় নিজেকে বিবাহিত বলে ঘোষণা করেন অভিনেতা।