আট সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল বলি অভিনেতা সলমন খানের সঞ্চালনায় ‘বিগ বস্ ওটিটি’র দ্বিতীয় পর্ব। চলতি মাসে শোয়ের সকল প্রতিযোগীকে হারিয়ে জয়ের সিংহাসনে বলেন এলভিস যাদব। এলভিসের জয় হলেও এখনও দর্শকের মনে রয়েছে দুই প্রতিযোগীর ৩০ সেকেন্ডের চুম্বনদৃশ্য।
দুবাইয়ের মডেল জাড হাদিদের সঙ্গে মডেল-অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা পুরীর চুম্বনদৃশ্য নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে জাড এবং আকাঙ্ক্ষা দু’জনেই যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে নেই সে বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন দুই প্রতিযোগী।
এ বার ‘বিগ বস্ ওটিটি’র ঘরের ভিতরে নয়, ঘরের বাইরেও জাড এবং আকাঙ্ক্ষাকে চুম্বন করতে দেখা গেল। মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে দু’জনকে একসঙ্গে দেখে ছবিশিকারিরা তাঁদের ঘিরে ধরে। সকলের সামনে আকাঙ্ক্ষাকে জড়িয়ে ধরেন জাড।
আকাঙ্ক্ষাকে চুম্বনও করেন জাড। আকাঙ্ক্ষা দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও জাড আবার তাঁকে কাছে টেনে নেন। জাডের এই আচরণ তাঁকে কটাক্ষের মুখে ফেলেছে। জাড এবং আকাঙ্ক্ষার সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি করতে থাকেন যে আকাঙ্ক্ষাকে জোর করে স্পর্শ করছেন জাড।
পরে অবশ্য জাডের গালে চুমু এঁকে দেন আকাঙ্ক্ষা নিজেই। বলিপাড়ার গায়ক মিকা সিংহের প্রেমিকা হিসাবে পরিচিত আকাঙ্ক্ষা। তাঁকে এ ভাবে প্রকাশ্যে অন্য কাউকে চুম্বন করতে দেখে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
তবে ‘বিগ বস্ ওটিটি’তে জাড এবং আকাঙ্ক্ষার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বিবাহবিচ্ছেদের পর জাড তাঁর কন্যাসন্তানের সঙ্গে থাকেন। তিনি যখন ‘বিগ বস্’-এর ঘরে ছিলেন তখন তাঁর কোনও প্রেমিকা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে প্রেমিকার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে জাডকে।
‘বিগ বস্’ অনুরাগীদের একাংশের অনুমান, প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর জাড নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। জাডের প্রেমিকাকেও অবশ্য আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জবাবে বলেন, ‘‘আকাঙ্ক্ষা, আমার জাডের থেকে দূরে থেকো। ঠিক আছে?’’
জাডের প্রেমিকার উত্তর শুনে হালকা হেসে প্রেমিকার গালে চুমু এঁকে দেন জাড। তাঁর প্রেমিকার জবাব টেনেই বলেন, ‘‘ঠিক আছে।’’ এই ঘটনা কি পুরোটাই মজার না কি আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জাডের বন্ধুত্ব ছাড়াও অন্য সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে।
তবে মিকার সঙ্গে যে আকাঙ্ক্ষার সম্পর্ক নেই তা খোলসা করেছেন তিনি নিজেই। ২০২২ সালে মিকার স্বয়ম্বর শোয়ে আকাঙ্ক্ষাকেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে ছিলেন গায়ক। সকলেই মিকা এবং আকাঙ্ক্ষার বিয়ের দিন গুনছিলেন।
কিন্তু মিকা এবং আকাঙ্ক্ষার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। আকাঙ্ক্ষা জানান, মিকা তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু কারও সঙ্গে প্রেম করছেন না তিনি।
১৯৮৮ সালে ২৬ জুলাই মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে জন্ম আকাঙ্ক্ষার। তাঁরা বাবা পুলিশে কর্মরত। মা জ্যোতিষচর্চা করেন। ভাই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করে বিমানকর্মীর পেশায় নিযুক্ত হন আকাঙ্ক্ষা। পরে বিভিন্ন নামী সংস্থার জন্য বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন তিনি।
২০১৩ সালে একটি তামিল ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় আকাঙ্ক্ষাকে। তিন বছর পর ছোট পর্দাতেও অভিনয় শুরু করেন তিনি।
২০১৫ সালে বলিপাড়ায় পা রাখেন আকাঙ্ক্ষা। ‘ক্যালেন্ডার গার্লস’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
তামিল ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষার ছবিতেও অভিনয় করেছেন আকাঙ্ক্ষা। হিন্দি টেলিভিশনজগতে মাতা আদি পরাশক্তির চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হন তিনি।
টেলি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আকাঙ্ক্ষা। তিনি জানান, সম্পর্কে আসার আগেই তাঁরা একে অপরের ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন।
টেলি অভিনেতা পরস ছাবরার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু পরসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর ভেঙে পড়েন আকাঙ্ক্ষা। অভিনেত্রী জানান, পরস তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য এক মহিলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তার পরেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে চিড় ধরে।
‘বিগ বস্ ওটিটি’তে প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করার পর আকাঙ্ক্ষার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যা ৩১ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।