১৫ বছর ধরে অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, কন্নড়, তেলুগু এবং মালয়ালম ভাষার ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুধু তা-ই নয়, দর্শকের রোষের কারণও হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী সানা খান।
২০০৫ সালে ‘ইয়ে হি হ্যায় হাই সোসাইটি’ নামে একটি হিন্দি ছবির হাত ধরে অভিনয়জগতে পা রাখেন সানা। এক বছর পর ‘ই’ নামের একটি তামিল ছবিতে নাচের দৃশ্যে অভিনয় করেন তিনি।
কেরিয়ারের ঝুলিতে একাধিক ছবি পুরেছেন, কিন্তু কোনও ছবিতে অভিনয় করেই বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি সানা। বড় পর্দার পাশাপাশি নামী সংস্থার বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৫ বছরের অভিনয়ের কেরিয়ারে মোট ৫০টি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সানাকে। কিন্তু একটি বিজ্ঞাপন নিয়েই সমালোচনায় বিদ্ধ হন অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে পুরুষের অন্তর্বাসের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে দেখা যায় সানাকে। বিজ্ঞাপনের চিত্রনাট্য অনুযায়ী তাঁকে অন্তর্বাস কাচতে দেখা গিয়েছিল।
অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনটি মুক্তি পাওয়ার পর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সানা। অশ্লীলতার দায়ে বিজ্ঞাপনটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সানা জানিয়েছিলেন, শুধু সরকারি নিষেধাজ্ঞাই ছিল না, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দর্শকের একাংশও।
মুম্বইয়ের রাস্তাঘাটে ওই বিজ্ঞাপনের যা পোস্টার ছিল, তা-ও পুড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা, এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর। তবে শিল্পী মানুষেরা নাকি সেই বিজ্ঞাপন পছন্দ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সানা।
২০২০ সালে ‘স্পেশ্যাল অপস’ নামের ওয়েব সিরিজ়ে শেষ অভিনয় করতে দেখা যায় সানাকে। তার পর আর অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
অভিনয় ছাড়ার পর ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন সানা। তার পর আলোর রোশনাই থেকে দূরে সরে যান তিনি।
বিয়ের প্রায় তিন বছর পর ২০২৩ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সানা। অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও কোনও বলি নায়িকার চেয়ে কম উপার্জন করেন না তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, অভিনয় ছেড়ে ব্যবসায় মন দেন সানা। নিজের দু’টি আলাদা ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
নিজের ব্যবসা ছাড়াও স্বামীর সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি সংস্থা চালান সানা।
সমাজমাধ্যমে নিজস্ব অনুরাগী মহল গড়ে তুলেছেন সানা। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় ৬৭ লক্ষের গণ্ডি ছুঁয়েছে অভিনেত্রীর অনুগামীর সংখ্যা।